৩২ ইঞ্চি উচ্চতার শাহিদা প্রতিষ্ঠিত হতে চান

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল
শাহিদা আক্তার

উচ্চতা পৌনে তিন ফুট, অর্থাৎ ৩২ ইঞ্চি। দেখতে ছোট্ট বালিকার মতো হলেও বয়স ১৮ পেরিয়েছে। আর দশটা ছেলেমেয়ের মতোই চলাচল করে শাহিদা আক্তার। জন্ম থেকে গ্রোথ হরমোনজনিত (সোমাটোট্রপিন) জটিলতার কারণে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠা হয়নি তার। এই শারীরিক গঠন নিয়ে প্রথম অবস্থায় সহপাঠী, প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে শুনতে হয়েছে নানা কটূ কথা। তবে এ সবের কিছুই তাকে দমাতে পারেনি।

কৃতিত্বের সঙ্গে পেরিয়েছেন পিএসসি ও জিএসসির গণ্ডি। এখন এসএসসি শেষ করে ভালো কলেজে পড়ার স্বপ্ন তার চোখেমুখে। তার বর্তমান বয়স ১৮ বছর চার মাস ৪৫ দিন। জানা যায়, শাহিদার বাড়ি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাতুলী ইউনিয়নের উত্তর কাতুলী গ্রামে। ওই গ্রামের মৃত শামসুল হকের মেয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী শাহিদা আক্তার। তিন বোন, দুই ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট শাহিদা আক্তার। তার উচ্চতা ৩২ ইঞ্চি, পৌনে তিন ফুট।

এবার কাতুলী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে শাহিদা এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। পড়ালেখায় সে অনেক ভালো। দরিদ্র কৃষক পরিবারে জন্ম শাহিদা আক্তারের। জন্ম থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধী সে। ডাক্তার দেখানোর পরও কোন সুফল আসেনি। শাহিদা প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে প্রতিবেশীরা অনেকেই নানা কথা বলেছেন।

শাহিদার মা জেবুনেসা বেগম বলেন, শাহিদা জন্ম থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধী। চিকিৎসা করেও আমরা সুফল পায়নি। শাহিদা প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে প্রথম অবস্থায় মানুষের কাছে নানা কটূ কথা শুনতে হয়েছে। শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও আজ পর্যন্ত তাকে কেউ সহযোগিতা করেনি। শাহিদাকে যেন প্রতিমাসে সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হয়- এটাই সরকারের কাছে আমার দাবি।

শারীরিক প্রতিবন্ধী শাহিদা আক্তার বলে, আমি কাতুলী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছি। আমি ওই বিদ্যালয়ে পাঁচটি বছর পড়ালেখা করেছি। কোন ছাত্রছাত্রী আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেনি। সবাই আমার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেছে। সপ্তম শ্রেণিতে থাকাকালীন স্কুলের সবাই আমাকে কেবিনেট নির্বাচনে দাঁড় করিয়ে দেয়। আমি তখন বিপুল ভোটে পাস করি। দ্বিতীয়বারও নির্বাচনে আমি বিপুল ভোটে পাস করি।

আমি পড়ালেখা করে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে চাই। আমি প্রতিষ্ঠিত হয়ে সমাজের সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে চাই। সবার ভুল ধারণা যেন পাল্টে যায়, শারীরিক প্রতিবন্ধীরাও প্রতিষ্ঠিত হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে। কারও যেন ভুল ধারণা সৃষ্টি না হয়, শারীরিক প্রতিবন্ধীরা দেশের বোঝা। সরকারিভাবে যদি আমাকে প্রতিমাসে চলার জন্য ব্যবস্থা করে দেয়। তাহলে আমি পড়াশোনা ও ভালোভাবে চলতে পারব। এ জন্য আমি সরকারের কাছে সহযোগিতা চাই।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রানুয়ারা খাতুন বলেন, সরকারিভাবে প্রতিবন্ধীদের সব সময় সহযোগিতা করা হয়। যদি শাহিদা প্রতিবন্ধী ভাতা না পেয়ে থাকে, তার কাগজপত্র নিয়ে আসলে তাকে সহযোগিতা করা হবে।

৩২ ইঞ্চি উচ্চতার শাহিদা প্রতিষ্ঠিত হতে চান

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল
শাহিদা আক্তার

উচ্চতা পৌনে তিন ফুট, অর্থাৎ ৩২ ইঞ্চি। দেখতে ছোট্ট বালিকার মতো হলেও বয়স ১৮ পেরিয়েছে। আর দশটা ছেলেমেয়ের মতোই চলাচল করে শাহিদা আক্তার। জন্ম থেকে গ্রোথ হরমোনজনিত (সোমাটোট্রপিন) জটিলতার কারণে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠা হয়নি তার। এই শারীরিক গঠন নিয়ে প্রথম অবস্থায় সহপাঠী, প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে শুনতে হয়েছে নানা কটূ কথা। তবে এ সবের কিছুই তাকে দমাতে পারেনি।

কৃতিত্বের সঙ্গে পেরিয়েছেন পিএসসি ও জিএসসির গণ্ডি। এখন এসএসসি শেষ করে ভালো কলেজে পড়ার স্বপ্ন তার চোখেমুখে। তার বর্তমান বয়স ১৮ বছর চার মাস ৪৫ দিন। জানা যায়, শাহিদার বাড়ি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাতুলী ইউনিয়নের উত্তর কাতুলী গ্রামে। ওই গ্রামের মৃত শামসুল হকের মেয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী শাহিদা আক্তার। তিন বোন, দুই ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট শাহিদা আক্তার। তার উচ্চতা ৩২ ইঞ্চি, পৌনে তিন ফুট।

এবার কাতুলী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে শাহিদা এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। পড়ালেখায় সে অনেক ভালো। দরিদ্র কৃষক পরিবারে জন্ম শাহিদা আক্তারের। জন্ম থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধী সে। ডাক্তার দেখানোর পরও কোন সুফল আসেনি। শাহিদা প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে প্রতিবেশীরা অনেকেই নানা কথা বলেছেন।

শাহিদার মা জেবুনেসা বেগম বলেন, শাহিদা জন্ম থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধী। চিকিৎসা করেও আমরা সুফল পায়নি। শাহিদা প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে প্রথম অবস্থায় মানুষের কাছে নানা কটূ কথা শুনতে হয়েছে। শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও আজ পর্যন্ত তাকে কেউ সহযোগিতা করেনি। শাহিদাকে যেন প্রতিমাসে সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হয়- এটাই সরকারের কাছে আমার দাবি।

শারীরিক প্রতিবন্ধী শাহিদা আক্তার বলে, আমি কাতুলী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছি। আমি ওই বিদ্যালয়ে পাঁচটি বছর পড়ালেখা করেছি। কোন ছাত্রছাত্রী আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেনি। সবাই আমার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেছে। সপ্তম শ্রেণিতে থাকাকালীন স্কুলের সবাই আমাকে কেবিনেট নির্বাচনে দাঁড় করিয়ে দেয়। আমি তখন বিপুল ভোটে পাস করি। দ্বিতীয়বারও নির্বাচনে আমি বিপুল ভোটে পাস করি।

আমি পড়ালেখা করে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে চাই। আমি প্রতিষ্ঠিত হয়ে সমাজের সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে চাই। সবার ভুল ধারণা যেন পাল্টে যায়, শারীরিক প্রতিবন্ধীরাও প্রতিষ্ঠিত হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে। কারও যেন ভুল ধারণা সৃষ্টি না হয়, শারীরিক প্রতিবন্ধীরা দেশের বোঝা। সরকারিভাবে যদি আমাকে প্রতিমাসে চলার জন্য ব্যবস্থা করে দেয়। তাহলে আমি পড়াশোনা ও ভালোভাবে চলতে পারব। এ জন্য আমি সরকারের কাছে সহযোগিতা চাই।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রানুয়ারা খাতুন বলেন, সরকারিভাবে প্রতিবন্ধীদের সব সময় সহযোগিতা করা হয়। যদি শাহিদা প্রতিবন্ধী ভাতা না পেয়ে থাকে, তার কাগজপত্র নিয়ে আসলে তাকে সহযোগিতা করা হবে।