কঠিন বিজ্ঞানের সহজ সমাধান

ইমতিয়াজুল হক অর্নব

‘স্টোরিহেড’-এর ইমতিয়াজুল হক অর্নব। ছবি: সংগৃহীত

বিজ্ঞানের সঙ্গে ‘দুর্বোধ্য’ কিংবা ‘দাঁতভাঙা’ শব্দগুলোর ব্যবহার প্রচলিত। তবে ইমতিয়াজুল হক অর্নব দেখালেন, বিজ্ঞানের কঠিন বিষয়গুলোকে গল্পে গল্পে সহজেই উপস্থাপন করা যায়। ভিডিও বানাতে শুরু করেন, যে কাজটিকে তিনি নিজের ‘অবসেশন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ফেসবুক-ইউটিউবসহ অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে ‘স্টোরিহেড’ নামে ভিডিওগুলো সবার কাছে পৌঁছে দেন তিনি। জনপ্রিয়তাও পেয়েছেন দ্রুত। দৈনিক বাংলার সঙ্গে এসব নিয়েই আলাপ করলেন শনিবার।

নিজের সম্পর্কে বলুন। কনটেন্ট ক্রিয়েটরের বাইরে নিজেকে আর কীভাবে পরিচিত করতে চান?

আমি ইমতিয়াজুল হক অর্নব। ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা শেষ করলাম। এখন স্নাতক নিয়ে ভাবছি। নতুন কিছু জানা ও নতুন আইডিয়া নিয়ে কাজ করা আমার সবচেয়ে আগ্রহের বিষয়। আর নিজে যা কিছু জানলাম, তা সবার সঙ্গে শেয়ার করার ইচ্ছা থেকেই কনটেন্ট তৈরিতে আসা।

এর বাইরে নিজের সম্পর্কে বলতে হলে, আমি ফুটবল খেলতে খুবই ভালোবাসি। কলেজ টিমে গোলকিপার ছিলাম। সাইকেলও আমার খুব পছন্দের। স্কুল ছুটির পর সাইকেল চালিয়ে ঢ্যাং ঢ্যাং করে অনেক দূর পর্যন্ত চলে যেতাম। এক্সপার্ট না হলেও শখের বসে দাবা খেলি।

স্টোরিহেড নামটি নিলেন কেন?

আমি আসলে গল্প বলতে চাই। বিজ্ঞানকে বোধগম্য উপায়ে গল্পের মাধ্যমে উপস্থাপন করতে চাই। কারণ, গল্পই মানুষকে টানে। সেখান থেকেই ‘স্টোরিহেড’ নামটা নেয়া।

ভিডিওর টপিক নির্বাচন ও কনটেন্ট রিসার্চ করেন কীভাবে?

ভিডিও তৈরির সময় টপিক রিলেটেড কিছু প্রশ্ন থাকে। সেগুলোর উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হয়। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আমি কাজ করি উল্টা পথে। কোনো টপিক সম্পর্কে আমি যতটুকু জানি, আগে সেটি নিয়ে একটা স্টোরি বানাই। অর্থাৎ আমি যে উত্তর জানি, তার ওপর নির্ভর করে প্রশ্ন তৈরি করি।

কনটেন্ট রিসার্চের বেলায় বই থেকে সাহায্য নেয়া যেতে পারে, কোনো আর্টিকেল থেকে হতে পারে, হতে পারে কোনো একটি ইন্টারভিউ, আবার বিশ্বস্ত কোনো ওয়েবসাইট সোর্স হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। কোনো বিষয়ে পারদর্শী কারও সাহায্যও নেয়া হয়। আমি সব সময় চেষ্টা করি আমার উত্তর যেন মিসলিডিং না হয়ে যায়। নিজের মাথায় অনেক টপিক আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছি, পাশাপাশি কমেন্টেও অনেকে টপিকের আইডিয়া দেন।

ভিডিওগুলো কি আপনি নিজেই সম্পাদনা করেন?

আমি মাসে একটি করে ভিডিও বানাতাম। ভিডিও সম্পাদনা থেকে শুরু করে থাম্বনেইল নকশা, কনটেন্ট রিসার্চ, রাইটিং সব একাই করি। তবে এখন আগের চেয়ে বেশি ভিডিও বানাতে চাচ্ছি। সে ক্ষেত্রে কোনো ভিডিও এডিটরের সাহায্য নেয়ার চেষ্টা করছি।

আপনার পছন্দের কনটেন্ট ক্রিয়েটর কে?

কেসি নাইস্ট্যাটের সঙ্গে আর কারও তুলনা হয় না। এরপর আছে মাইকেল স্টিভেনস, ভি-সস নামে পরিচিত তিনি। দেশের ভেতর হলে নাদির অন দ্য গো, সঙ্গে অবশ্যই এনায়েত চৌধুরী ভাই। ইদানীং খাদিজাতুল কোবরা সোনিয়া আপুর ভিডিওগুলো খুবই ভালো লাগছে। রাফসান দ্য ছোট ভাই আছেন, আবার আমিন হান্নান চৌধুরীকেও আমার খুবই ভালো লাগছে। খালিদ ফারহান ভাই, নিয়ন অ্যান্ড অন, চমক হাসান ভাইকে আমি শুরুর দিক থেকে ফলো করি। আসলে নাম বলতে গেলে আরও অনেকের নাম বলতে হয়।

কেউ নতুন করে শুরু করতে চাইলে আপনার পরামর্শ কী হবে?

আমি নিজেও নতুন। তবে আমার সংক্ষিপ্ত জার্নি থেকে বলি। আগে বুঝতে হবে ‘জাস্ট ডু ইট’ দিয়ে হয় না। আপনাকে বুঝতে হবে, যেটি নিয়ে আপনি ভিডিও বানাতে চাচ্ছেন, সে বিষয়ে আপনার প্যাশন আছে কি না। এরপর দেখতে হবে যে জিনিস নিয়ে আপনি কাজ করতে যাচ্ছেন, সেটির মার্কেট কেমন, ঘরানাটা কতটুকু বড়। মার্কেট না থাকলে কীভাবে তৈরি করা যায়, কিংবা আদৌ যায় কি না।

শুরু করার জন্য গিয়ার তেমন গুরুত্বপূর্ণ না। স্টোরি বা আইডিয়াই মূল। শুরুর দিকে স্মার্টফোন যথেষ্ট, তবে লাইটিং এবং সাউন্ডে গুরুত্ব দিতে হবে। আর যেখানে আটকে যাবেন, ইউটিউব তো আছেই।

স্টোরিহেড শুরুর পেছনে আপনার কোন ইচ্ছাটা কাজ করেছে?

সব সময় কনটেন্ট তৈরির ইচ্ছা ছিল। ২০২০ সালে শুরু করে একটি বিরতি নিয়েছিলাম, ২০২১ সাল থেকে আবার শুরু করি। আমার চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো শিক্ষা ঘরানায় বাংলাদেশে সেরা ভিডিওটি তৈরি করা। জানি না সে লক্ষ্য কত দিনে পূরণ করতে পারব। তবে বাকি জীবন আমি ভিডিওই বানিয়ে যেতে চাই।

কঠিন বিজ্ঞানের সহজ সমাধান

ইমতিয়াজুল হক অর্নব

‘স্টোরিহেড’-এর ইমতিয়াজুল হক অর্নব। ছবি: সংগৃহীত

বিজ্ঞানের সঙ্গে ‘দুর্বোধ্য’ কিংবা ‘দাঁতভাঙা’ শব্দগুলোর ব্যবহার প্রচলিত। তবে ইমতিয়াজুল হক অর্নব দেখালেন, বিজ্ঞানের কঠিন বিষয়গুলোকে গল্পে গল্পে সহজেই উপস্থাপন করা যায়। ভিডিও বানাতে শুরু করেন, যে কাজটিকে তিনি নিজের ‘অবসেশন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ফেসবুক-ইউটিউবসহ অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে ‘স্টোরিহেড’ নামে ভিডিওগুলো সবার কাছে পৌঁছে দেন তিনি। জনপ্রিয়তাও পেয়েছেন দ্রুত। দৈনিক বাংলার সঙ্গে এসব নিয়েই আলাপ করলেন শনিবার।

নিজের সম্পর্কে বলুন। কনটেন্ট ক্রিয়েটরের বাইরে নিজেকে আর কীভাবে পরিচিত করতে চান?

আমি ইমতিয়াজুল হক অর্নব। ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা শেষ করলাম। এখন স্নাতক নিয়ে ভাবছি। নতুন কিছু জানা ও নতুন আইডিয়া নিয়ে কাজ করা আমার সবচেয়ে আগ্রহের বিষয়। আর নিজে যা কিছু জানলাম, তা সবার সঙ্গে শেয়ার করার ইচ্ছা থেকেই কনটেন্ট তৈরিতে আসা।

এর বাইরে নিজের সম্পর্কে বলতে হলে, আমি ফুটবল খেলতে খুবই ভালোবাসি। কলেজ টিমে গোলকিপার ছিলাম। সাইকেলও আমার খুব পছন্দের। স্কুল ছুটির পর সাইকেল চালিয়ে ঢ্যাং ঢ্যাং করে অনেক দূর পর্যন্ত চলে যেতাম। এক্সপার্ট না হলেও শখের বসে দাবা খেলি।

স্টোরিহেড নামটি নিলেন কেন?

আমি আসলে গল্প বলতে চাই। বিজ্ঞানকে বোধগম্য উপায়ে গল্পের মাধ্যমে উপস্থাপন করতে চাই। কারণ, গল্পই মানুষকে টানে। সেখান থেকেই ‘স্টোরিহেড’ নামটা নেয়া।

ভিডিওর টপিক নির্বাচন ও কনটেন্ট রিসার্চ করেন কীভাবে?

ভিডিও তৈরির সময় টপিক রিলেটেড কিছু প্রশ্ন থাকে। সেগুলোর উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হয়। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আমি কাজ করি উল্টা পথে। কোনো টপিক সম্পর্কে আমি যতটুকু জানি, আগে সেটি নিয়ে একটা স্টোরি বানাই। অর্থাৎ আমি যে উত্তর জানি, তার ওপর নির্ভর করে প্রশ্ন তৈরি করি।

কনটেন্ট রিসার্চের বেলায় বই থেকে সাহায্য নেয়া যেতে পারে, কোনো আর্টিকেল থেকে হতে পারে, হতে পারে কোনো একটি ইন্টারভিউ, আবার বিশ্বস্ত কোনো ওয়েবসাইট সোর্স হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। কোনো বিষয়ে পারদর্শী কারও সাহায্যও নেয়া হয়। আমি সব সময় চেষ্টা করি আমার উত্তর যেন মিসলিডিং না হয়ে যায়। নিজের মাথায় অনেক টপিক আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছি, পাশাপাশি কমেন্টেও অনেকে টপিকের আইডিয়া দেন।

ভিডিওগুলো কি আপনি নিজেই সম্পাদনা করেন?

আমি মাসে একটি করে ভিডিও বানাতাম। ভিডিও সম্পাদনা থেকে শুরু করে থাম্বনেইল নকশা, কনটেন্ট রিসার্চ, রাইটিং সব একাই করি। তবে এখন আগের চেয়ে বেশি ভিডিও বানাতে চাচ্ছি। সে ক্ষেত্রে কোনো ভিডিও এডিটরের সাহায্য নেয়ার চেষ্টা করছি।

আপনার পছন্দের কনটেন্ট ক্রিয়েটর কে?

কেসি নাইস্ট্যাটের সঙ্গে আর কারও তুলনা হয় না। এরপর আছে মাইকেল স্টিভেনস, ভি-সস নামে পরিচিত তিনি। দেশের ভেতর হলে নাদির অন দ্য গো, সঙ্গে অবশ্যই এনায়েত চৌধুরী ভাই। ইদানীং খাদিজাতুল কোবরা সোনিয়া আপুর ভিডিওগুলো খুবই ভালো লাগছে। রাফসান দ্য ছোট ভাই আছেন, আবার আমিন হান্নান চৌধুরীকেও আমার খুবই ভালো লাগছে। খালিদ ফারহান ভাই, নিয়ন অ্যান্ড অন, চমক হাসান ভাইকে আমি শুরুর দিক থেকে ফলো করি। আসলে নাম বলতে গেলে আরও অনেকের নাম বলতে হয়।

কেউ নতুন করে শুরু করতে চাইলে আপনার পরামর্শ কী হবে?

আমি নিজেও নতুন। তবে আমার সংক্ষিপ্ত জার্নি থেকে বলি। আগে বুঝতে হবে ‘জাস্ট ডু ইট’ দিয়ে হয় না। আপনাকে বুঝতে হবে, যেটি নিয়ে আপনি ভিডিও বানাতে চাচ্ছেন, সে বিষয়ে আপনার প্যাশন আছে কি না। এরপর দেখতে হবে যে জিনিস নিয়ে আপনি কাজ করতে যাচ্ছেন, সেটির মার্কেট কেমন, ঘরানাটা কতটুকু বড়। মার্কেট না থাকলে কীভাবে তৈরি করা যায়, কিংবা আদৌ যায় কি না।

শুরু করার জন্য গিয়ার তেমন গুরুত্বপূর্ণ না। স্টোরি বা আইডিয়াই মূল। শুরুর দিকে স্মার্টফোন যথেষ্ট, তবে লাইটিং এবং সাউন্ডে গুরুত্ব দিতে হবে। আর যেখানে আটকে যাবেন, ইউটিউব তো আছেই।

স্টোরিহেড শুরুর পেছনে আপনার কোন ইচ্ছাটা কাজ করেছে?

সব সময় কনটেন্ট তৈরির ইচ্ছা ছিল। ২০২০ সালে শুরু করে একটি বিরতি নিয়েছিলাম, ২০২১ সাল থেকে আবার শুরু করি। আমার চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো শিক্ষা ঘরানায় বাংলাদেশে সেরা ভিডিওটি তৈরি করা। জানি না সে লক্ষ্য কত দিনে পূরণ করতে পারব। তবে বাকি জীবন আমি ভিডিওই বানিয়ে যেতে চাই।