প্রাথমিকে চাকরি পেয়েও যোগ দেননি ২,৫৫৭ জন

আব্দুর রাজ্জাক সরকার

ফাইল ছবি: প্রথম আলো

তিন ধাপে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে গত ১৪ ডিসেম্বর সহকারী শিক্ষক পদে ৩৭ হাজার ৫৭৪ জনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়। নির্বাচিত প্রার্থীদের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব সনদের মূলকপি, জাতীয় পরিচয়পত্রের তিন সেট কপি, যথাযথভাবে পূরণ করা পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম ও সিভিল সার্জনের দেওয়া স্বাস্থ্যগত উপযুক্ততার সনদ নিজ নিজ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে জমা দিতে বলা হয়।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, নির্বাচিত প্রার্থীদের মধ্যে ১ হাজার ৯০২ জন নিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় এসব কাগজপত্র জমা দেননি।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা চাকরিপ্রার্থী আবু সাঈদ প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিকের নিয়োগে প্রতিবারই দুই থেকে তিন হাজার প্রার্থী চাকরি পেয়েও যোগ দেন না। এসব পদ শূন্য থাকায় নিয়োগের পরও শিক্ষকসংকটে ভোগে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে যদি প্যানেল পদ্ধতি থাকত, তাহলে শূন্য পদগুলো ধাপে ধাপে পূরণ করতে পারত অধিদপ্তর। তাহলে একদিকে যেমন চাকরিপ্রত্যাশীরা উপকৃত হতেন, তেমনি বিদ্যালয়গুলোতেও শিক্ষকসংকট থাকত না।

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক পদে নতুন যাঁরা যোগ দিয়েছেন, তাঁদের আগামী দুই বছর পর্যন্ত শিক্ষানবিশকাল হিসেবে গণ্য করা হবে। শিক্ষানবিশকালে যেকোনো ধরনের অসদাচরণের জন্য কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই চাকরি থেকে অপসারণ করতে পারবে কর্তৃপক্ষ।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েও চাকরিতে যোগ দেননি ২ হাজার ৫৫৭ জন। এর মধ্যে ১ হাজার ৯০২ জন নিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেননি। অন্যরা কাগজপত্র জমা দেওয়ার পরও চাকরিতে যোগ দেননি।

নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা জাতীয় বেতন স্কেলের ১৩তম গ্রেড অনুসারে বেতন পাবেন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রমের ইতিহাসে এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। সহকারী শিক্ষক পদে অনির্দিষ্টসংখ্যক জনবল নিয়োগের জন্য ২০২০ সালের অক্টোবরে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর অনলাইনে আবেদন শুরু হয়। আবেদন করেছিলেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ প্রার্থী।

তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের প্রার্থীরা বাদে বাকি জেলার প্রার্থীরা আবেদনের সুযোগ পেয়েছিলেন। আবেদন ফি ছিল ১১০ টাকা।

প্রাথমিকে চাকরি পেয়েও যোগ দেননি ২,৫৫৭ জন

আব্দুর রাজ্জাক সরকার

ফাইল ছবি: প্রথম আলো

তিন ধাপে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে গত ১৪ ডিসেম্বর সহকারী শিক্ষক পদে ৩৭ হাজার ৫৭৪ জনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়। নির্বাচিত প্রার্থীদের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব সনদের মূলকপি, জাতীয় পরিচয়পত্রের তিন সেট কপি, যথাযথভাবে পূরণ করা পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম ও সিভিল সার্জনের দেওয়া স্বাস্থ্যগত উপযুক্ততার সনদ নিজ নিজ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে জমা দিতে বলা হয়।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, নির্বাচিত প্রার্থীদের মধ্যে ১ হাজার ৯০২ জন নিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় এসব কাগজপত্র জমা দেননি।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা চাকরিপ্রার্থী আবু সাঈদ প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিকের নিয়োগে প্রতিবারই দুই থেকে তিন হাজার প্রার্থী চাকরি পেয়েও যোগ দেন না। এসব পদ শূন্য থাকায় নিয়োগের পরও শিক্ষকসংকটে ভোগে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে যদি প্যানেল পদ্ধতি থাকত, তাহলে শূন্য পদগুলো ধাপে ধাপে পূরণ করতে পারত অধিদপ্তর। তাহলে একদিকে যেমন চাকরিপ্রত্যাশীরা উপকৃত হতেন, তেমনি বিদ্যালয়গুলোতেও শিক্ষকসংকট থাকত না।

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক পদে নতুন যাঁরা যোগ দিয়েছেন, তাঁদের আগামী দুই বছর পর্যন্ত শিক্ষানবিশকাল হিসেবে গণ্য করা হবে। শিক্ষানবিশকালে যেকোনো ধরনের অসদাচরণের জন্য কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই চাকরি থেকে অপসারণ করতে পারবে কর্তৃপক্ষ।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েও চাকরিতে যোগ দেননি ২ হাজার ৫৫৭ জন। এর মধ্যে ১ হাজার ৯০২ জন নিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেননি। অন্যরা কাগজপত্র জমা দেওয়ার পরও চাকরিতে যোগ দেননি।

নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা জাতীয় বেতন স্কেলের ১৩তম গ্রেড অনুসারে বেতন পাবেন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রমের ইতিহাসে এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। সহকারী শিক্ষক পদে অনির্দিষ্টসংখ্যক জনবল নিয়োগের জন্য ২০২০ সালের অক্টোবরে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর অনলাইনে আবেদন শুরু হয়। আবেদন করেছিলেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ প্রার্থী।

তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের প্রার্থীরা বাদে বাকি জেলার প্রার্থীরা আবেদনের সুযোগ পেয়েছিলেন। আবেদন ফি ছিল ১১০ টাকা।