বিদেশ গিয়ে ফেরেননি চার শিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অব্যাহতি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অননুমোদিত ছুটিতে থাকায় চার শিক্ষককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ৩০৯তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এই চার শিক্ষক হলেন- ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ চৌধুরী, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সায়েমা খাতুন, দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আরিফুর রহমান।

অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষকদের মধ্যে নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সায়েমা খাতুন ২০২০ সালে ৯ আগস্ট থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ছুটি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র গেলেও পরে বেশ কয়েক দফা ছুটি বর্ধিত করেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ওই বছরের ৮ আগস্ট তাকে বিভাগে যোগ দেওয়ার জন্য বলা হয়। কিন্তু একাধিকবার বলার পরও যোগদান না করায় ২০২০ সালের ১৩ জুলাই থেকে তাকে চাকরি হতে অপসারণ করা হয়। ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ চৌধুরী ব্যক্তিগত প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের জন্য গত ২০১৭ সালের ২২ ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ছুটি নেন। কিন্তু ৭ জানুয়ারি থেকে ২১ মে পর্যন্ত অতিরিক্ত ১০৫ দিন বিদেশে অবস্থান করেন। পরে ২২ মে বিভাগে যোগদান করলেও একই বছরের জুন থেকে অনুপস্থিত ছিলেন। এরপর গত ১২ সেপ্টেম্বর ই-মেইলে অবসরের আবেদনের বিষয়টি বিবেচনা করে ২০১৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে তাকে চাকরি হতে অবসর প্রদান করা হয়।

এছাড়া দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী ২০২০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেন না। বিভাগীয় শিক্ষা কার্যক্রমে অনুপস্থিতির কারণে তাকে চলতি বছরের ৫ সেপ্টেম্বর থেকে বরখাস্ত  করা হয়। অন্যদিকে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আরিফুর রহমান অননুমোদিতভাবে বিদেশ গমন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০২১ সালের ১২ আগস্ট তাকে অপসারণ করা হয়।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম বলেন, ‘নির্ধারিত ছুটি শেষে বিভাগে যোগদান না করায় আমরা তাদের বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানায় চিঠি দেই। চিঠির জবাব দেওয়ার জন্য এক মাস সময় দেওয়া হলেও তারা যোগাযোগ করেন নাই। এর প্রেক্ষিতে সিন্ডিকেট গঠিত স্ট্রাকচার্ড কমিটির সুপারিশে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ’

বিদেশ গিয়ে ফেরেননি চার শিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অব্যাহতি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অননুমোদিত ছুটিতে থাকায় চার শিক্ষককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ৩০৯তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এই চার শিক্ষক হলেন- ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ চৌধুরী, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সায়েমা খাতুন, দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আরিফুর রহমান।

অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষকদের মধ্যে নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সায়েমা খাতুন ২০২০ সালে ৯ আগস্ট থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ছুটি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র গেলেও পরে বেশ কয়েক দফা ছুটি বর্ধিত করেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ওই বছরের ৮ আগস্ট তাকে বিভাগে যোগ দেওয়ার জন্য বলা হয়। কিন্তু একাধিকবার বলার পরও যোগদান না করায় ২০২০ সালের ১৩ জুলাই থেকে তাকে চাকরি হতে অপসারণ করা হয়। ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ চৌধুরী ব্যক্তিগত প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের জন্য গত ২০১৭ সালের ২২ ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ছুটি নেন। কিন্তু ৭ জানুয়ারি থেকে ২১ মে পর্যন্ত অতিরিক্ত ১০৫ দিন বিদেশে অবস্থান করেন। পরে ২২ মে বিভাগে যোগদান করলেও একই বছরের জুন থেকে অনুপস্থিত ছিলেন। এরপর গত ১২ সেপ্টেম্বর ই-মেইলে অবসরের আবেদনের বিষয়টি বিবেচনা করে ২০১৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে তাকে চাকরি হতে অবসর প্রদান করা হয়।

এছাড়া দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী ২০২০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেন না। বিভাগীয় শিক্ষা কার্যক্রমে অনুপস্থিতির কারণে তাকে চলতি বছরের ৫ সেপ্টেম্বর থেকে বরখাস্ত  করা হয়। অন্যদিকে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আরিফুর রহমান অননুমোদিতভাবে বিদেশ গমন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০২১ সালের ১২ আগস্ট তাকে অপসারণ করা হয়।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম বলেন, ‘নির্ধারিত ছুটি শেষে বিভাগে যোগদান না করায় আমরা তাদের বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানায় চিঠি দেই। চিঠির জবাব দেওয়ার জন্য এক মাস সময় দেওয়া হলেও তারা যোগাযোগ করেন নাই। এর প্রেক্ষিতে সিন্ডিকেট গঠিত স্ট্রাকচার্ড কমিটির সুপারিশে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ’