সরকারি চাকরির ১৩-২০তম গ্রেডেও থাকবে অপেক্ষমাণ তালিকা

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়

সরকারি চাকরির ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডেও এখন থেকে অপেক্ষমাণ তালিকা সংরক্ষণ করা হবে। এ বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও এর অধীন সরকারি দপ্তর/পরিদপ্তর/অধিদপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা এবং বিভিন্ন করপোরেশনের চাকরিতে ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের পদে কর্মচারী নিয়োগে অপেক্ষমাণ তালিকা সংরক্ষণ করা হবে।

যেভাবে অপেক্ষমাণ তালিকা সংরক্ষণ করা হবে

  • ১. নিয়োগ কমিটি লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মেধাতালিকা এবং বিদ্যমান কোটাপদ্ধতি অনুসরণ করবে। শূন্য পদে প্রার্থী সুপারিশের পাশাপাশি সুপারিশকৃত প্রতিটি পদের বিপরীতে ১:২ অনুপাতে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্য থেকে অপেক্ষমাণ তালিকা তৈরি করে কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষরে সিলগালা করা খামে গোপনীয়তার সঙ্গে সংরক্ষণ করবে। অপেক্ষমাণ তালিকা তৈরির সময় ডিপিসি শূন্য পদে নিয়োগে যে জেলার জন্য প্রার্থী সুপারিশ করবেন, সেই জেলার যোগ্য প্রার্থীদের মধ্য থেকে প্রতিটি সুপারিশকৃত প্রার্থীর বিপরীতে ১:২ অনুপাতে অপেক্ষমাণ তালিকা তৈরি করবে। তবে অপেক্ষমাণ তালিকা তৈরির সময়ে কোনো কোটার অধীন কোনো জেলার যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সংশ্লিষ্ট সাবেক বৃহত্তর জেলার অন্তর্ভুক্ত জেলার মধ্যে যে জেলার চাকরিজীবীর সংখ্যা সর্বাপেক্ষা কম, সেই জেলার যোগ্য প্রার্থীদের মধ্য থেকে মেধাক্রমের ভিত্তিতে অপেক্ষমাণ তালিকা তৈরি করতে হবে। সংশ্লিষ্ট সাবেক বৃহত্তর জেলার অন্তর্ভুক্ত কোনো জেলা থেকে উপরোক্তভাবে কোটার শূন্য পদ পূরণ করা সম্ভব না হলে সংশ্লিষ্ট বিভাগের জেলাগুলোর যে জেলার চাকরিজীবীর সংখ্যা সর্বাপেক্ষা কম, সেই জেলার যোগ্য প্রার্থীদের মধ্য থেকে মেধাক্রমের ভিত্তিতে অপেক্ষমাণ তালিকা তৈরি করতে হবে।

  • ২. অপেক্ষমাণ তালিকা সংরক্ষণের মেয়াদ হবে বিবেচ্য বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে প্রথম নিয়োগের সুপারিশ প্রদানের তারিখ থেকে এক বছর বা শূন্য পদ পূরণের জন্য পরবর্তী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ, যেটি আগে ঘটে।
  • ৩. নিয়োগের জন্য সুপারিশকৃত প্রার্থীদের মধ্যে কেউ চাকরিতে যোগদান না করলে বা চাকরিতে যোগদানের পর চাকরি থেকে ইস্তফা দিলে শূন্য পদ পূরণের প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট ডিপিসির সভায় অপেক্ষমাণ তালিকা এবং উত্তীর্ণ প্রার্থীদের রেজাল্ট সিট উপস্থাপন করে শূন্য পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করতে হবে। পাশাপাশি কমিটির উপস্থিতিতে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে সুপারিশকৃত প্রার্থীকে তাঁর নিয়োগের বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করতে হবে।

  • ৪. ডিপিসি কর্তৃক অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে সুপারিশকৃত প্রার্থীদের রোল নম্বরের তালিকা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নোটিশ বোর্ড ও ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে এবং সদস্যসচিব কর্তৃক প্রার্থীকে মুঠোফোনের মেসেজের মাধ্যমে জানাতে হবে।

  • ৫. অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের জ্যেষ্ঠতা প্রথম নিয়োগপ্রাপ্ত প্রার্থীদের পরে নির্ধারিত হবে। ডিপিসি অপেক্ষমাণ তালিকার কোনো প্রার্থীকে চাকরিতে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করলে তাঁর জ্যেষ্ঠতা ওই পদে যোগদানের তারিখ থেকে নির্ধারিত হবে। অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে দুই বা ততোধিক প্রার্থী যদি একই দিনে একই পদে যোগদান করেন, সে ক্ষেত্রে তাঁদের পারস্পরিক জ্যেষ্ঠতা আগে প্রস্তুত করা রেজাল্টের মেধাক্রম অনুসারে নির্ধারিত হবে। তবে একই নম্বরপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে বয়সের ভিত্তিতে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করা হবে এবং বয়স একই হলে নির্ধারিত শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জনের শিক্ষাবর্ষের ভিত্তিতে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করা হবে।
  • ৬. যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে অপেক্ষমাণ তালিকা প্রস্তুত করা হবে, ডিপিসি কর্তৃক সেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বাইরে অন্য কোনো বিজ্ঞাপনের শূন্য পদ বা অন্য কোনোভাবে পদ শূন্য হলে ওই শূন্য পদ পূরণের জন্য অপেক্ষমাণ তালিকার কোনো প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা যাবে না।

সরকারি চাকরির ১৩-২০তম গ্রেডেও থাকবে অপেক্ষমাণ তালিকা

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়

সরকারি চাকরির ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডেও এখন থেকে অপেক্ষমাণ তালিকা সংরক্ষণ করা হবে। এ বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও এর অধীন সরকারি দপ্তর/পরিদপ্তর/অধিদপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা এবং বিভিন্ন করপোরেশনের চাকরিতে ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের পদে কর্মচারী নিয়োগে অপেক্ষমাণ তালিকা সংরক্ষণ করা হবে।

যেভাবে অপেক্ষমাণ তালিকা সংরক্ষণ করা হবে

  • ১. নিয়োগ কমিটি লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মেধাতালিকা এবং বিদ্যমান কোটাপদ্ধতি অনুসরণ করবে। শূন্য পদে প্রার্থী সুপারিশের পাশাপাশি সুপারিশকৃত প্রতিটি পদের বিপরীতে ১:২ অনুপাতে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্য থেকে অপেক্ষমাণ তালিকা তৈরি করে কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষরে সিলগালা করা খামে গোপনীয়তার সঙ্গে সংরক্ষণ করবে। অপেক্ষমাণ তালিকা তৈরির সময় ডিপিসি শূন্য পদে নিয়োগে যে জেলার জন্য প্রার্থী সুপারিশ করবেন, সেই জেলার যোগ্য প্রার্থীদের মধ্য থেকে প্রতিটি সুপারিশকৃত প্রার্থীর বিপরীতে ১:২ অনুপাতে অপেক্ষমাণ তালিকা তৈরি করবে। তবে অপেক্ষমাণ তালিকা তৈরির সময়ে কোনো কোটার অধীন কোনো জেলার যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সংশ্লিষ্ট সাবেক বৃহত্তর জেলার অন্তর্ভুক্ত জেলার মধ্যে যে জেলার চাকরিজীবীর সংখ্যা সর্বাপেক্ষা কম, সেই জেলার যোগ্য প্রার্থীদের মধ্য থেকে মেধাক্রমের ভিত্তিতে অপেক্ষমাণ তালিকা তৈরি করতে হবে। সংশ্লিষ্ট সাবেক বৃহত্তর জেলার অন্তর্ভুক্ত কোনো জেলা থেকে উপরোক্তভাবে কোটার শূন্য পদ পূরণ করা সম্ভব না হলে সংশ্লিষ্ট বিভাগের জেলাগুলোর যে জেলার চাকরিজীবীর সংখ্যা সর্বাপেক্ষা কম, সেই জেলার যোগ্য প্রার্থীদের মধ্য থেকে মেধাক্রমের ভিত্তিতে অপেক্ষমাণ তালিকা তৈরি করতে হবে।

  • ২. অপেক্ষমাণ তালিকা সংরক্ষণের মেয়াদ হবে বিবেচ্য বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে প্রথম নিয়োগের সুপারিশ প্রদানের তারিখ থেকে এক বছর বা শূন্য পদ পূরণের জন্য পরবর্তী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ, যেটি আগে ঘটে।
  • ৩. নিয়োগের জন্য সুপারিশকৃত প্রার্থীদের মধ্যে কেউ চাকরিতে যোগদান না করলে বা চাকরিতে যোগদানের পর চাকরি থেকে ইস্তফা দিলে শূন্য পদ পূরণের প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট ডিপিসির সভায় অপেক্ষমাণ তালিকা এবং উত্তীর্ণ প্রার্থীদের রেজাল্ট সিট উপস্থাপন করে শূন্য পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করতে হবে। পাশাপাশি কমিটির উপস্থিতিতে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে সুপারিশকৃত প্রার্থীকে তাঁর নিয়োগের বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করতে হবে।

  • ৪. ডিপিসি কর্তৃক অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে সুপারিশকৃত প্রার্থীদের রোল নম্বরের তালিকা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নোটিশ বোর্ড ও ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে এবং সদস্যসচিব কর্তৃক প্রার্থীকে মুঠোফোনের মেসেজের মাধ্যমে জানাতে হবে।

  • ৫. অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের জ্যেষ্ঠতা প্রথম নিয়োগপ্রাপ্ত প্রার্থীদের পরে নির্ধারিত হবে। ডিপিসি অপেক্ষমাণ তালিকার কোনো প্রার্থীকে চাকরিতে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করলে তাঁর জ্যেষ্ঠতা ওই পদে যোগদানের তারিখ থেকে নির্ধারিত হবে। অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে দুই বা ততোধিক প্রার্থী যদি একই দিনে একই পদে যোগদান করেন, সে ক্ষেত্রে তাঁদের পারস্পরিক জ্যেষ্ঠতা আগে প্রস্তুত করা রেজাল্টের মেধাক্রম অনুসারে নির্ধারিত হবে। তবে একই নম্বরপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে বয়সের ভিত্তিতে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করা হবে এবং বয়স একই হলে নির্ধারিত শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জনের শিক্ষাবর্ষের ভিত্তিতে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করা হবে।
  • ৬. যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে অপেক্ষমাণ তালিকা প্রস্তুত করা হবে, ডিপিসি কর্তৃক সেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বাইরে অন্য কোনো বিজ্ঞাপনের শূন্য পদ বা অন্য কোনোভাবে পদ শূন্য হলে ওই শূন্য পদ পূরণের জন্য অপেক্ষমাণ তালিকার কোনো প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা যাবে না।