প্রফেশনাল ডিগ্রি সিএ

আগামীর পথ দেখাবে

ফরিদুল ইসলাম নির্জন

সিএ পড়ে ক্যারিয়ার গড়ার রয়েছে অফুরন্ত সুযোগ, ছবি :সংগ্রহ

আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক পরিচিত চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্সি (সিএ)। প্রফেশনাল এই ডিগ্রি যুক্তরাজ্যের বিশ্বখ্যাত দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস ইন ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের (আইসিএইডব্লিউ) পাঠ্যক্রম অনুযায়ী বাংলাদেশেও এর শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বিশ্বব্যাপী করপোরেট ও বহুজাতিক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। আপনি যে দেশ থেকেই সিএ ডিগ্রি অর্জন করুন না কেন, পৃথিবীর সব দেশেই পেশাজীবনে আপনার গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, ভারতসহ পৃথিবীর অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দেশগুলোতে সিএ ডিগ্রিধারীদের কাজের সুযোগ আছে। যেহেতু পৃথিবীজুড়েই করপোরেট প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ছে, সেহেতু নিকট ভবিষ্যতে বিশ্বব্যাপী সিএ ডিগ্রিধারী পেশাজীবীদের চাহিদা আরও বাড়বে।
ভর্তি পদ্ধতি
এইচএসসি, এ-লেভেল, ও-লেভেল অথবা গ্র্যাজুয়েশনের পর যে কোনো ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরা চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্সিতে পড়াশোনার জন্য সুযোগ পেয়ে থাকেন। আইসিএবির নিবন্ধিত সিএ ফার্মে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়। আইসিএবি ওয়েভ িি.িরপধন.ড়ৎম.নফ থেকে সিএ ফার্মের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে পছন্দমতো সিএ ফার্মে ভর্তি হওয়া যাবে। ফার্মগুলো প্রতি বছর নির্দিষ্টসংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি করে থাকে। তারা নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে থাকে। এ-সংক্রান্ত পরামর্শ দেওয়ার জন্য সিএ ভবনের নিচ তলায় আছে স্টুডেন্টস কাউন্সেলিং সেন্টার। তাছাড়া চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর ও খুলনায় আইসিএবি আঞ্চলিক অফিস আছে। সেখান থেকে ভর্তিসংক্রান্ত যে কোনো তথ্য ও সেবা পাওয়া যাবে।
ভর্তির যোগ্যতা
এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাও আবেদন করতে পারেন। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় মোট জিপিএ ৮ থাকতে হবে। ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। যে কোনো বিষয়ে স্নাতক অথবা স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারেন। পরীক্ষায় নূ্যনতম দ্বিতীয় বিভাগ বা সিজিপিএ-৪-এর মধ্যে ২.২৫ থাকতে হবে। তাছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা আইসিএবির প্রি-আর্টিকেলশিপ প্রোগ্রামের আওতায় সিএ-তে ভর্তি হতে পারবে। এই সুযোগটি ২০২১ সাল থেকে চালু আছে।
ভর্তি খরচ পদ্ধতি
আইসিএবিতে সিএ ডিগ্রির জন্য নিবন্ধন ব্যয় ২৮ হাজার ৪০০ টাকা। পাঠ্যবই, কোচিং ফি ও গ্রন্থাগার ব্যবহারের জন্য এ ফির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। বিভিন্ন লেভেলে পরীক্ষার জন্য বিষয়ভিত্তিক ফি দিতে হবে। সব মিলিয়ে সিএ ডিগ্রি অর্জনের জন্য ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
পাঠ্যদান ও পাঠাগার
আইসিএবির একাডেমিক পরিবেশ আধুনিক। ক্যাম্প রয়েছে মালটিমিডিয়া ক্লাসরুম, স্টুডেন্টস ওয়েটিং রুম এবং ওয়াইফাই সুবিধাসহ প্রতিক্লাসে বায়োমেট্রিক অ্যাটেন্ডডেন্স সিস্টেম। কারওয়ান বাজারে সিএ ভবনে আছে সুবৃহৎ উন্নত পাঠাগার। এতে প্রায় ২২,৩৬৩ বই, জার্নাল ও ম্যাগাজিন আছে। বর্তমানে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ই-লাইব্রেরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

চট্টগ্রাম অঞ্চলেও আইসিএবির সিএ একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকায় এইচবিএফসি ভবনে তা অবস্থিত। সেখানেও পড়াশোনার উন্নত পরিবেশসংবলিত একটি পাঠাগার আছে। অল্প খরচে মাত্র ১৫০,০০০ টাকায় সিএ কোর্স সম্পন্ন করা সম্ভব।
পরীক্ষা ও মূল্যায়ন পদ্ধতি
তিন থেকে চার বছরমেয়াদি আর্টিকেলশিপ করার সময়ই হিসাবসংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ে একজন ছাত্র দক্ষ হয়ে ওঠে। বছরে তিনটি সেশনে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলোতে সিএ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা যায়। সার্টিফিকেট লেভেল, প্রফেশনাল লেভেল এবং অ্যাডভান্স লেভেল এই তিনটি লেভেলে সর্বমোট ১৭টি বিষয়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। প্রতি বছর মার্চ-এপ্রিল, জুলাই-আগস্ট ও নভেম্বর-ডিসেম্বর সেশনে পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আগে আইসিএবির প্রস্তুতিমূলক ক্লাসে অবশ্যই অংশ নিতে হবে। ক্লাসের উপস্থিতির শতকরা হার বিবেচনায় রেখে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দিয়ে থাকে আইসিএবি।
স্টাডি অবস্থায় আর্থিক সুবিধা
আর্টিকেলশিপ চলাকালীন ফার্ম থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে মাসিক সম্মানী দেওয়া হয়। পড়াশোনার পাশাপাশি অর্থের জোগান হচ্ছে। ফলে পড়াশোনা চলাকালীন নিজ খরচে কোর্স শেষ করতে পারছেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য আইসিএবি স্কলারশিপ, এএফ মুজিবুর রহমান স্কলারশিপসহ ১৪টি স্কলারশিপ এবং শুধু ছাত্রীদের জন্য শাশা ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ দেওয়া হয়। বিভিন্ন ফার্মে নিজস্ব পদ্ধতিতে মেধাবীদের স্কলারশিপ দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। তাছাড়া দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীরা সুদবিহীন স্টাডি লোন নিতে পারেন আইসিএবি কর্জে হাসানা ফান্ড থেকে।
সিএ শেষে অবারিত সুযোগ
সিএ পাস করে বের হলেই তাঁর চাকরির সুযোগ দেশে-বিদেশে। দেশে কেউ সিএ শেষে চাকরি করলে শুরুতেই তাঁর বেতন লাখের কাছাকাছি হবে। বর্তমানে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ২০০ জনেরও বেশি আইসিএবি সনদধারী সিএ অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে কাজ করে সুনাম অর্জন করেছেন। অর্থনীতির পরিধির বিবেচনায় বিশ্বব্যাংকের এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রায় ১৫-২০ হাজার সিএ প্রয়োজন, যেখানে আইসিএবির সনদদারি সিএ-এর সংখ্যা মাত্র ২২০০।
যোগাযোগ
সিএ ডিগ্রি-সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য জানতে ঢাকার কারওয়ান বাজারে সিএ ভবন ও চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ে এবং আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলোতে যোগাযোগ করতে পারেন। এ ছাড়া আইসিএবির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.icab.org.bd থেকে বিস্তারিত জানা যাবে।

প্রফেশনাল ডিগ্রি সিএ

আগামীর পথ দেখাবে

ফরিদুল ইসলাম নির্জন

সিএ পড়ে ক্যারিয়ার গড়ার রয়েছে অফুরন্ত সুযোগ, ছবি :সংগ্রহ

আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক পরিচিত চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্সি (সিএ)। প্রফেশনাল এই ডিগ্রি যুক্তরাজ্যের বিশ্বখ্যাত দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস ইন ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের (আইসিএইডব্লিউ) পাঠ্যক্রম অনুযায়ী বাংলাদেশেও এর শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বিশ্বব্যাপী করপোরেট ও বহুজাতিক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। আপনি যে দেশ থেকেই সিএ ডিগ্রি অর্জন করুন না কেন, পৃথিবীর সব দেশেই পেশাজীবনে আপনার গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, ভারতসহ পৃথিবীর অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দেশগুলোতে সিএ ডিগ্রিধারীদের কাজের সুযোগ আছে। যেহেতু পৃথিবীজুড়েই করপোরেট প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ছে, সেহেতু নিকট ভবিষ্যতে বিশ্বব্যাপী সিএ ডিগ্রিধারী পেশাজীবীদের চাহিদা আরও বাড়বে।
ভর্তি পদ্ধতি
এইচএসসি, এ-লেভেল, ও-লেভেল অথবা গ্র্যাজুয়েশনের পর যে কোনো ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরা চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্সিতে পড়াশোনার জন্য সুযোগ পেয়ে থাকেন। আইসিএবির নিবন্ধিত সিএ ফার্মে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়। আইসিএবি ওয়েভ িি.িরপধন.ড়ৎম.নফ থেকে সিএ ফার্মের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে পছন্দমতো সিএ ফার্মে ভর্তি হওয়া যাবে। ফার্মগুলো প্রতি বছর নির্দিষ্টসংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি করে থাকে। তারা নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে থাকে। এ-সংক্রান্ত পরামর্শ দেওয়ার জন্য সিএ ভবনের নিচ তলায় আছে স্টুডেন্টস কাউন্সেলিং সেন্টার। তাছাড়া চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর ও খুলনায় আইসিএবি আঞ্চলিক অফিস আছে। সেখান থেকে ভর্তিসংক্রান্ত যে কোনো তথ্য ও সেবা পাওয়া যাবে।
ভর্তির যোগ্যতা
এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাও আবেদন করতে পারেন। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় মোট জিপিএ ৮ থাকতে হবে। ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। যে কোনো বিষয়ে স্নাতক অথবা স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারেন। পরীক্ষায় নূ্যনতম দ্বিতীয় বিভাগ বা সিজিপিএ-৪-এর মধ্যে ২.২৫ থাকতে হবে। তাছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা আইসিএবির প্রি-আর্টিকেলশিপ প্রোগ্রামের আওতায় সিএ-তে ভর্তি হতে পারবে। এই সুযোগটি ২০২১ সাল থেকে চালু আছে।
ভর্তি খরচ পদ্ধতি
আইসিএবিতে সিএ ডিগ্রির জন্য নিবন্ধন ব্যয় ২৮ হাজার ৪০০ টাকা। পাঠ্যবই, কোচিং ফি ও গ্রন্থাগার ব্যবহারের জন্য এ ফির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। বিভিন্ন লেভেলে পরীক্ষার জন্য বিষয়ভিত্তিক ফি দিতে হবে। সব মিলিয়ে সিএ ডিগ্রি অর্জনের জন্য ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
পাঠ্যদান ও পাঠাগার
আইসিএবির একাডেমিক পরিবেশ আধুনিক। ক্যাম্প রয়েছে মালটিমিডিয়া ক্লাসরুম, স্টুডেন্টস ওয়েটিং রুম এবং ওয়াইফাই সুবিধাসহ প্রতিক্লাসে বায়োমেট্রিক অ্যাটেন্ডডেন্স সিস্টেম। কারওয়ান বাজারে সিএ ভবনে আছে সুবৃহৎ উন্নত পাঠাগার। এতে প্রায় ২২,৩৬৩ বই, জার্নাল ও ম্যাগাজিন আছে। বর্তমানে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ই-লাইব্রেরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

চট্টগ্রাম অঞ্চলেও আইসিএবির সিএ একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকায় এইচবিএফসি ভবনে তা অবস্থিত। সেখানেও পড়াশোনার উন্নত পরিবেশসংবলিত একটি পাঠাগার আছে। অল্প খরচে মাত্র ১৫০,০০০ টাকায় সিএ কোর্স সম্পন্ন করা সম্ভব।
পরীক্ষা ও মূল্যায়ন পদ্ধতি
তিন থেকে চার বছরমেয়াদি আর্টিকেলশিপ করার সময়ই হিসাবসংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ে একজন ছাত্র দক্ষ হয়ে ওঠে। বছরে তিনটি সেশনে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলোতে সিএ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা যায়। সার্টিফিকেট লেভেল, প্রফেশনাল লেভেল এবং অ্যাডভান্স লেভেল এই তিনটি লেভেলে সর্বমোট ১৭টি বিষয়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। প্রতি বছর মার্চ-এপ্রিল, জুলাই-আগস্ট ও নভেম্বর-ডিসেম্বর সেশনে পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আগে আইসিএবির প্রস্তুতিমূলক ক্লাসে অবশ্যই অংশ নিতে হবে। ক্লাসের উপস্থিতির শতকরা হার বিবেচনায় রেখে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দিয়ে থাকে আইসিএবি।
স্টাডি অবস্থায় আর্থিক সুবিধা
আর্টিকেলশিপ চলাকালীন ফার্ম থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে মাসিক সম্মানী দেওয়া হয়। পড়াশোনার পাশাপাশি অর্থের জোগান হচ্ছে। ফলে পড়াশোনা চলাকালীন নিজ খরচে কোর্স শেষ করতে পারছেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য আইসিএবি স্কলারশিপ, এএফ মুজিবুর রহমান স্কলারশিপসহ ১৪টি স্কলারশিপ এবং শুধু ছাত্রীদের জন্য শাশা ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ দেওয়া হয়। বিভিন্ন ফার্মে নিজস্ব পদ্ধতিতে মেধাবীদের স্কলারশিপ দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। তাছাড়া দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীরা সুদবিহীন স্টাডি লোন নিতে পারেন আইসিএবি কর্জে হাসানা ফান্ড থেকে।
সিএ শেষে অবারিত সুযোগ
সিএ পাস করে বের হলেই তাঁর চাকরির সুযোগ দেশে-বিদেশে। দেশে কেউ সিএ শেষে চাকরি করলে শুরুতেই তাঁর বেতন লাখের কাছাকাছি হবে। বর্তমানে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ২০০ জনেরও বেশি আইসিএবি সনদধারী সিএ অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে কাজ করে সুনাম অর্জন করেছেন। অর্থনীতির পরিধির বিবেচনায় বিশ্বব্যাংকের এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রায় ১৫-২০ হাজার সিএ প্রয়োজন, যেখানে আইসিএবির সনদদারি সিএ-এর সংখ্যা মাত্র ২২০০।
যোগাযোগ
সিএ ডিগ্রি-সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য জানতে ঢাকার কারওয়ান বাজারে সিএ ভবন ও চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ে এবং আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলোতে যোগাযোগ করতে পারেন। এ ছাড়া আইসিএবির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.icab.org.bd থেকে বিস্তারিত জানা যাবে।