আদালতের রায়ের পরও ১৩তম নিবন্ধনধারীদের নিয়োগ ঝুলে আছে অর্ধযুগ

সমকাল প্রতিবেদক

ফাইল ছবি

উচ্চ আদালতের রায়ের পরও থমকে আছে ১৩তম নিবন্ধনধারীদের নিয়োগ। এর ফলে আড়াই হাজার নিবন্ধনধারী ৬ বছর মানবেতন জীবনযাপন করছেন। অথচ ৬০ দিনের মধ্যে এসব নিবন্ধনধারীর যোগদানের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। কিন্তু আপিলের বেড়াজালে তাদের কেউ কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগদান করতে পারেননি।

জানা যায়, ২০১৫ সালের পিএসসি’র আদলে শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালায় ১৩তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দিষ্ট শূন্য পদের বিপরীতে প্রিলি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে ১৭ হাজার ২৫৪ জন চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হন। এরপরও বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) নিয়োগ না দেওয়ায় ১৩তম শিক্ষক নিবন্ধনধারী ২২০৭ জন হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন দায়ের করেন। ২০১৮ সালে হাইকোর্ট বিভাগ রিটকারীদের পক্ষে রায় দেন। এরপর এনটিআরসিএ আপিল করে এই রায়ের বিরুদ্ধে। ২০১৯ সালে তাদের সিভিল লিভ টু আপিল ৩৪৩/১৯ মামলার নিষ্পত্তির ফলে এনটিআরসিএ ২২০৭ জনকে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে পদ সংরক্ষণ করে এবং ২০২১ সালে নিয়োগ প্রদান করে। কিন্তু একই শিক্ষক নিবন্ধনে উর্ত্তীর্ণ হওয়ার পরও বাকিরা নিয়োগ বঞ্চিত হন।

পরে নিয়োগ বঞ্চিত আড়াই হাজার শিক্ষক উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করেন। আদালত রায়ে আড়াই হাজার শিক্ষককে ৬০ দিনের মধ্যে নিয়োগ দেয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু এনটিআরসিএ নিয়োগ না দিয়ে রায়ের ওপর পুনরায় আপিল করে। ফলে একই গেজেট ও পরিপত্রের উপর বারবার আপিল হয়।

নিয়োগ বঞ্চিতরা জানান, আপিল মামলার বেড়াজালে জড়িয়ে বর্তমান পিটিশনারদেরকে নিয়োগ বঞ্চিত রেখে ৭০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার পাঁয়তারা করছে এনটিআরসিএ। যা ১৩তম রায়প্রাপ্ত রিটকারীদের সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। এ অবস্থায় এই নিয়োগ বঞ্চিত ২৫০০ জন পিটিশনার হতাশায় দিন পার করছেন।

সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) উচ্চ আদালতের রায়ের আলোকে ১৩তম শিক্ষক নিবন্ধন সনদধারীরা নিয়োগের সুপারিশ চেয়ে আবেদন করেছেন। অভিযোগে বলা হয়, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ঢাকা কলেজের পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শনের সময় বলেছিলেন, যারা পাশ করবে তাদেরকে সরাসরি নিরোগের জন্য প্রতিষ্ঠানে সুপারিশ করে পাঠানো হবে এবং সেখানে ম্যানেজিং কমিটির কোন হস্তক্ষেপ থাকবে না। অথচ বেসরকারি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে সরাসরি নিয়োগ সুপারিশ প্রদানের কথা উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন অযুহাতে আমাদের যথা সময়ে গেজেট, পরিপত্র অনুযায়ী নিয়োগের সুনারিশ করেনি। আমরা ২০১৭ সাল থেকে বঞ্চি হয়ে একটা নিয়োগের সুপারিশের আশার দ্বারে দ্বারে ঘুরছি এবং মানবেতর জীবনযাপন করছি।

আদালতের রায়ের পরও ১৩তম নিবন্ধনধারীদের নিয়োগ ঝুলে আছে অর্ধযুগ

সমকাল প্রতিবেদক

ফাইল ছবি

উচ্চ আদালতের রায়ের পরও থমকে আছে ১৩তম নিবন্ধনধারীদের নিয়োগ। এর ফলে আড়াই হাজার নিবন্ধনধারী ৬ বছর মানবেতন জীবনযাপন করছেন। অথচ ৬০ দিনের মধ্যে এসব নিবন্ধনধারীর যোগদানের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। কিন্তু আপিলের বেড়াজালে তাদের কেউ কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগদান করতে পারেননি।

জানা যায়, ২০১৫ সালের পিএসসি’র আদলে শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালায় ১৩তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দিষ্ট শূন্য পদের বিপরীতে প্রিলি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে ১৭ হাজার ২৫৪ জন চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হন। এরপরও বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) নিয়োগ না দেওয়ায় ১৩তম শিক্ষক নিবন্ধনধারী ২২০৭ জন হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন দায়ের করেন। ২০১৮ সালে হাইকোর্ট বিভাগ রিটকারীদের পক্ষে রায় দেন। এরপর এনটিআরসিএ আপিল করে এই রায়ের বিরুদ্ধে। ২০১৯ সালে তাদের সিভিল লিভ টু আপিল ৩৪৩/১৯ মামলার নিষ্পত্তির ফলে এনটিআরসিএ ২২০৭ জনকে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে পদ সংরক্ষণ করে এবং ২০২১ সালে নিয়োগ প্রদান করে। কিন্তু একই শিক্ষক নিবন্ধনে উর্ত্তীর্ণ হওয়ার পরও বাকিরা নিয়োগ বঞ্চিত হন।

পরে নিয়োগ বঞ্চিত আড়াই হাজার শিক্ষক উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করেন। আদালত রায়ে আড়াই হাজার শিক্ষককে ৬০ দিনের মধ্যে নিয়োগ দেয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু এনটিআরসিএ নিয়োগ না দিয়ে রায়ের ওপর পুনরায় আপিল করে। ফলে একই গেজেট ও পরিপত্রের উপর বারবার আপিল হয়।

নিয়োগ বঞ্চিতরা জানান, আপিল মামলার বেড়াজালে জড়িয়ে বর্তমান পিটিশনারদেরকে নিয়োগ বঞ্চিত রেখে ৭০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার পাঁয়তারা করছে এনটিআরসিএ। যা ১৩তম রায়প্রাপ্ত রিটকারীদের সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। এ অবস্থায় এই নিয়োগ বঞ্চিত ২৫০০ জন পিটিশনার হতাশায় দিন পার করছেন।

সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) উচ্চ আদালতের রায়ের আলোকে ১৩তম শিক্ষক নিবন্ধন সনদধারীরা নিয়োগের সুপারিশ চেয়ে আবেদন করেছেন। অভিযোগে বলা হয়, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ঢাকা কলেজের পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শনের সময় বলেছিলেন, যারা পাশ করবে তাদেরকে সরাসরি নিরোগের জন্য প্রতিষ্ঠানে সুপারিশ করে পাঠানো হবে এবং সেখানে ম্যানেজিং কমিটির কোন হস্তক্ষেপ থাকবে না। অথচ বেসরকারি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে সরাসরি নিয়োগ সুপারিশ প্রদানের কথা উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন অযুহাতে আমাদের যথা সময়ে গেজেট, পরিপত্র অনুযায়ী নিয়োগের সুনারিশ করেনি। আমরা ২০১৭ সাল থেকে বঞ্চি হয়ে একটা নিয়োগের সুপারিশের আশার দ্বারে দ্বারে ঘুরছি এবং মানবেতর জীবনযাপন করছি।