ইবিতে শ্রেণিকক্ষের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে মানববন্ধন

ফরহাদ খাদেম
শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন।

নির্দিষ্ট শ্রেণিকক্ষ বরাদ্দ ও প্রাণ নাশের হুমকি দাতাদের শাস্তির দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ‘আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা’ বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে ২১ জানুয়ারি শনিবার সকালে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে তারা। পরে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে একটি শ্রেণিকক্ষে আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছি। প্রশাসনের কাছে শ্রেণিকক্ষের কথা বললে তারা মীর মশাররফ হোসেন অ্যাকাডেমিক ভবনের চতুর্থ তলার নির্মাণ কাজ শেষ হলে তার অর্ধেকটি বরাদ্দ দেওয়ার মৌখিক স্বীকৃতি দিয়ে আসছে। কিন্তু ভবনের সম্প্রসারণ কাজ শেষ হওয়ার পর একটি বিভাগ ভবনের একটি অংশ দখল করে নিয়েছে। পরে আমরা ভবনের অপর অংশ দখল করলে বিভিন্ন মহল থেকে আমাদেরকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।’

শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে ‘আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা’ বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে বিভাগটি পাঁচটি ব্যাচে মোট ৪৬০জন শিক্ষার্থী শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিভাগটি ‘আল-ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ’ বিভাগের ৬০ আসন বিশিষ্ট একটি কক্ষে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠার পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও বিভাগটিকে এখনও কোনো শ্রেণিকক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। ফলে শ্রেণিকক্ষ না থাকায় নিয়মিত ক্লাস না হওয়া, পরীক্ষা দিতে না পারাসহ নানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বিভাগের শিক্ষার্থীদের।

শিক্ষার্থীরা জানান, সুষ্ঠু শিক্ষাজীবন নিশ্চিত করতে এক প্রকার বাধ্য হয়েই আমরা আমাদের সিদ্ধান্তে অনড় থেকে গত ১৭ জানুয়ারি চতুর্থ তলার পূর্ব-উত্তর দিকে পূর্ণাঙ্গ বিভাগকে স্থানান্তর করি। চতুর্থ তলায় উঠার পর থেকেই আমরা বিভিন্ন মহলের হিংসার কারণ হই এবং বিভিন্ন মাধ্যমে ও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নানান হুমকি ধামকির শিকার হচ্ছি। সর্বশেষ চতুর্থ তলা থেকে নেমে না গেলে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে বলে আমাদেরকে হুমকি দেয়া হচ্ছে। ফলে আমরা জীবন হারানোর আশঙ্কা ও চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি এবং স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারছি না। আমরা অনতিবিলম্বে এর সুষ্ঠু তদন্ত করে সঠিক বিচার চাই।’

উপ-উপাচার্য (দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য) অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ভবনটির নির্মাণ কাজ এখনো শেষ হয়নি। এখনো ভবনটি কোনো বিভাগকেও লিখিতভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে আমরা এর বরাদ্দের বিষয়ে আগাবো।’
এমবিএইচ/এসএস

ইবিতে শ্রেণিকক্ষের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে মানববন্ধন

ফরহাদ খাদেম
শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন।

নির্দিষ্ট শ্রেণিকক্ষ বরাদ্দ ও প্রাণ নাশের হুমকি দাতাদের শাস্তির দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ‘আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা’ বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে ২১ জানুয়ারি শনিবার সকালে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে তারা। পরে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে একটি শ্রেণিকক্ষে আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছি। প্রশাসনের কাছে শ্রেণিকক্ষের কথা বললে তারা মীর মশাররফ হোসেন অ্যাকাডেমিক ভবনের চতুর্থ তলার নির্মাণ কাজ শেষ হলে তার অর্ধেকটি বরাদ্দ দেওয়ার মৌখিক স্বীকৃতি দিয়ে আসছে। কিন্তু ভবনের সম্প্রসারণ কাজ শেষ হওয়ার পর একটি বিভাগ ভবনের একটি অংশ দখল করে নিয়েছে। পরে আমরা ভবনের অপর অংশ দখল করলে বিভিন্ন মহল থেকে আমাদেরকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।’

শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে ‘আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা’ বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে বিভাগটি পাঁচটি ব্যাচে মোট ৪৬০জন শিক্ষার্থী শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিভাগটি ‘আল-ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ’ বিভাগের ৬০ আসন বিশিষ্ট একটি কক্ষে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠার পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও বিভাগটিকে এখনও কোনো শ্রেণিকক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। ফলে শ্রেণিকক্ষ না থাকায় নিয়মিত ক্লাস না হওয়া, পরীক্ষা দিতে না পারাসহ নানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বিভাগের শিক্ষার্থীদের।

শিক্ষার্থীরা জানান, সুষ্ঠু শিক্ষাজীবন নিশ্চিত করতে এক প্রকার বাধ্য হয়েই আমরা আমাদের সিদ্ধান্তে অনড় থেকে গত ১৭ জানুয়ারি চতুর্থ তলার পূর্ব-উত্তর দিকে পূর্ণাঙ্গ বিভাগকে স্থানান্তর করি। চতুর্থ তলায় উঠার পর থেকেই আমরা বিভিন্ন মহলের হিংসার কারণ হই এবং বিভিন্ন মাধ্যমে ও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নানান হুমকি ধামকির শিকার হচ্ছি। সর্বশেষ চতুর্থ তলা থেকে নেমে না গেলে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে বলে আমাদেরকে হুমকি দেয়া হচ্ছে। ফলে আমরা জীবন হারানোর আশঙ্কা ও চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি এবং স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারছি না। আমরা অনতিবিলম্বে এর সুষ্ঠু তদন্ত করে সঠিক বিচার চাই।’

উপ-উপাচার্য (দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য) অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ভবনটির নির্মাণ কাজ এখনো শেষ হয়নি। এখনো ভবনটি কোনো বিভাগকেও লিখিতভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে আমরা এর বরাদ্দের বিষয়ে আগাবো।’
এমবিএইচ/এসএস