ইবিতে সব ধরনের জনবল নিয়োগ স্থগিত

ইবি প্রতিনিধি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নতুন করে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী (সব ধরনের জনবল) নিয়োগ স্থগিত করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। সরকারি বেতন স্কেল ভায়োলেশন করে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অতিরিক্ত স্কেল প্রদান, অধিক ইনক্রিমেন্ট দেওয়া, প্রকল্পের কাজ নিয়ে অভিযোগসহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

এছাড়া এ সংক্রান্ত তথ্য যাচাইয়ে ছয় সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটি সরেজমিন বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করে এসব বিষয় খতিয়ে দেখবে। মঞ্জুরি কমিশনের একাধিক সদস্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়া কমিশনের সদস্য ও ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে পরিদর্শন কমিটির বিষয়ে জানানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কমিটিতে কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগমকে আহ্বায়ক ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মৌলি আজাদকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।

কমিটির অন্য চার সদস্য হলেন ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. আবু তাহের, সচিব ড. ফেরদৌস জামান, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক ইউসুফ আলী খান এবং অর্থ ও হিসাব বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (অডিট) রবিউল ইসলাম।

কমিটির সদস্য ফেরদৌস জামান বলেন, সরকারি বেতন স্কেল ভায়োলেশন করে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অতিরিক্ত স্কেল প্রদান, অধিক ইনক্রিমেন্ট দেওয়াসহ বেশ কিছু অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ নিয়েও অনিয়মের অভিযোগ আছে। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে জনবল নিয়োগ দেওয়া স্থগিত করা হয়েছে। এ মাসের শেষদিকে পরিদর্শন টিম বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবে এবং বিষয়গুলো নিয়ে খোঁজ নেবে।

কমিশনের অফিস আদেশে বলা হয়েছে, কমিটি জনবলের চাহিদার যৌক্তিকতা ও প্রয়োজনীয়তা যাচাই-বাছাই করবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত অর্গানোগ্রাম, বিদ্যমান জনবল ও জনবলসংক্রান্ত আর্থিক নথিপত্র এবং সরকার ও ইউজিসি কর্তৃক অনুমোদিত নীতিমালা পর্যালোচনা করে মতামত দেবে।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, ইউজিসির অডিট আপত্তি থাকা সত্ত্বেও কর্মকর্তাদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ৯ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫৫তম সিন্ডিকেটে কর্মকর্তাদের (শর্ত সাপেক্ষে) বেতন স্কেল বাড়ানো হয়। ইউজিসির দাবি, কর্মকর্তাদের বেতন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ‘স্কেল জাম্পিং’ করা হয়ে থাকতে পারে। স্কেল জাম্পিংয়ের বিষয়টি খতিয়ে দেখবে ইউজিসি।

কমিটির অন্য সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের বলেন, ইবি কর্মকর্তাদের বেতন বৃদ্ধির আইনগত বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তাদের কাছে কিছু কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী বেতন বৃদ্ধি করা হলে সেটি নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না। তবে অভিযোগ রয়েছে ইবিতে স্কেল জাম্পিং করা হয়েছে। যার যে স্কেলে বেতন পাওয়ার কথা তারা তার চেয়ে বেশি বেতন পাচ্ছেন।

ইবিতে সব ধরনের জনবল নিয়োগ স্থগিত

ইবি প্রতিনিধি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নতুন করে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী (সব ধরনের জনবল) নিয়োগ স্থগিত করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। সরকারি বেতন স্কেল ভায়োলেশন করে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অতিরিক্ত স্কেল প্রদান, অধিক ইনক্রিমেন্ট দেওয়া, প্রকল্পের কাজ নিয়ে অভিযোগসহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

এছাড়া এ সংক্রান্ত তথ্য যাচাইয়ে ছয় সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটি সরেজমিন বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করে এসব বিষয় খতিয়ে দেখবে। মঞ্জুরি কমিশনের একাধিক সদস্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়া কমিশনের সদস্য ও ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে পরিদর্শন কমিটির বিষয়ে জানানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কমিটিতে কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগমকে আহ্বায়ক ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মৌলি আজাদকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।

কমিটির অন্য চার সদস্য হলেন ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. আবু তাহের, সচিব ড. ফেরদৌস জামান, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক ইউসুফ আলী খান এবং অর্থ ও হিসাব বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (অডিট) রবিউল ইসলাম।

কমিটির সদস্য ফেরদৌস জামান বলেন, সরকারি বেতন স্কেল ভায়োলেশন করে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অতিরিক্ত স্কেল প্রদান, অধিক ইনক্রিমেন্ট দেওয়াসহ বেশ কিছু অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ নিয়েও অনিয়মের অভিযোগ আছে। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে জনবল নিয়োগ দেওয়া স্থগিত করা হয়েছে। এ মাসের শেষদিকে পরিদর্শন টিম বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবে এবং বিষয়গুলো নিয়ে খোঁজ নেবে।

কমিশনের অফিস আদেশে বলা হয়েছে, কমিটি জনবলের চাহিদার যৌক্তিকতা ও প্রয়োজনীয়তা যাচাই-বাছাই করবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত অর্গানোগ্রাম, বিদ্যমান জনবল ও জনবলসংক্রান্ত আর্থিক নথিপত্র এবং সরকার ও ইউজিসি কর্তৃক অনুমোদিত নীতিমালা পর্যালোচনা করে মতামত দেবে।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, ইউজিসির অডিট আপত্তি থাকা সত্ত্বেও কর্মকর্তাদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ৯ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫৫তম সিন্ডিকেটে কর্মকর্তাদের (শর্ত সাপেক্ষে) বেতন স্কেল বাড়ানো হয়। ইউজিসির দাবি, কর্মকর্তাদের বেতন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ‘স্কেল জাম্পিং’ করা হয়ে থাকতে পারে। স্কেল জাম্পিংয়ের বিষয়টি খতিয়ে দেখবে ইউজিসি।

কমিটির অন্য সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের বলেন, ইবি কর্মকর্তাদের বেতন বৃদ্ধির আইনগত বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তাদের কাছে কিছু কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী বেতন বৃদ্ধি করা হলে সেটি নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না। তবে অভিযোগ রয়েছে ইবিতে স্কেল জাম্পিং করা হয়েছে। যার যে স্কেলে বেতন পাওয়ার কথা তারা তার চেয়ে বেশি বেতন পাচ্ছেন।