ইবির হলের খাবারে ফের কাচের টুকরো, শঙ্কায় শিক্ষার্থীরা

ফরহাদ খাদেম
খাবারে কাচের টুকরো।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শহীদ জিয়াউর রহমান হলের খাবারে ফের কাচের টুকরো পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে প্রাধ্যক্ষকে বিষয়টি জানানো হলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

২০ জানুয়ারি শুক্রবার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাহবুবুল ইসলাম সকালের খাবার খেতে গিয়ে খিচুড়ির মধ্যে কাচের টুকরাে পান। এর আগেও গত মঙ্গলবার রাতে মাহতাব নামের এক শিক্ষার্থী খাবারে একাধিক কাচের টুকরাে পেয়েছিলেন।

অভিযোগ এসেছে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর খাবারে বিভিন্ন পোকা-মাকড় ও ময়লা-আবর্জনা পাওয়া যায়। হলের ডাইনিংয়ে পঁচা, বাশি ও নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাবার প্রস্তুত ও পরিবেশন করা হয়। খাবারের উপর মশা-মাছি উড়ে বেড়ায়।

এছাড়াও গত ডিসেম্বর মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি হলে মেন্যু ভেদে খাবারের মূল্য বৃদ্ধি করে নোটিশ ঘোষণা করে প্রভোস্ট কাউন্সিল। যেখানে সকালে ১০টাকার পরিবর্তে ১২ টাকা ও ২০ টাকার পরিবর্তে ২২ টাকা , দুপুর ও রাতে ২২ টাকার পরিবর্তে ২৫ টাকা, ২৫ টাকার পরিবর্তে ২৮ টাকা ও ৩৫ টাকার পরিবর্তে ৩৮ টাকা করা হয়। খাবারের মূল্য বৃদ্ধি করা হলেও সে অনুযায়ী মান বৃদ্ধি করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

শহীদ জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আব্দুল মাজেদ জানান, ‘মাঝে মধ্যেই খাবারের মধ্যে চুল ও বিভিন্ন আবর্জনা পাই। আর খাবারের মান খুবই খারাপ। যে অনুযায়ী খাবারের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে সে অনুযায়ী খাবারের মান বৃদ্ধি করা হয়নি। বাহিরের হোটেলগুলোতে খাবারের দাম হাতের নাগালের বাহিরে। অনেকটা বাধ্য হয়েই হলের খাবার খাই।’

এ ব্যাপারে চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান মেডিকেল অফিসার ডা. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘কাচের টুকরো পেটে গেলে মুখ থেকে শুরু করে মলদ্বার পর্যন্ত যেকোন স্থান ক্ষত হতে পারে। এছাড়াও আলসার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’

শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ, অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক জানান, ‘খাবারের মধ্যে পাথর বা পোকা থাকাটা স্বাভাবিক। কিন্তু কাচের টুকরো কিভাবে আসলো এটা আমরা পর্যবেক্ষণ করে দেখব।’

এমবিএইচ/এসএস

ইবির হলের খাবারে ফের কাচের টুকরো, শঙ্কায় শিক্ষার্থীরা

ফরহাদ খাদেম
খাবারে কাচের টুকরো।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শহীদ জিয়াউর রহমান হলের খাবারে ফের কাচের টুকরো পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে প্রাধ্যক্ষকে বিষয়টি জানানো হলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

২০ জানুয়ারি শুক্রবার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাহবুবুল ইসলাম সকালের খাবার খেতে গিয়ে খিচুড়ির মধ্যে কাচের টুকরাে পান। এর আগেও গত মঙ্গলবার রাতে মাহতাব নামের এক শিক্ষার্থী খাবারে একাধিক কাচের টুকরাে পেয়েছিলেন।

অভিযোগ এসেছে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর খাবারে বিভিন্ন পোকা-মাকড় ও ময়লা-আবর্জনা পাওয়া যায়। হলের ডাইনিংয়ে পঁচা, বাশি ও নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাবার প্রস্তুত ও পরিবেশন করা হয়। খাবারের উপর মশা-মাছি উড়ে বেড়ায়।

এছাড়াও গত ডিসেম্বর মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি হলে মেন্যু ভেদে খাবারের মূল্য বৃদ্ধি করে নোটিশ ঘোষণা করে প্রভোস্ট কাউন্সিল। যেখানে সকালে ১০টাকার পরিবর্তে ১২ টাকা ও ২০ টাকার পরিবর্তে ২২ টাকা , দুপুর ও রাতে ২২ টাকার পরিবর্তে ২৫ টাকা, ২৫ টাকার পরিবর্তে ২৮ টাকা ও ৩৫ টাকার পরিবর্তে ৩৮ টাকা করা হয়। খাবারের মূল্য বৃদ্ধি করা হলেও সে অনুযায়ী মান বৃদ্ধি করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

শহীদ জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আব্দুল মাজেদ জানান, ‘মাঝে মধ্যেই খাবারের মধ্যে চুল ও বিভিন্ন আবর্জনা পাই। আর খাবারের মান খুবই খারাপ। যে অনুযায়ী খাবারের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে সে অনুযায়ী খাবারের মান বৃদ্ধি করা হয়নি। বাহিরের হোটেলগুলোতে খাবারের দাম হাতের নাগালের বাহিরে। অনেকটা বাধ্য হয়েই হলের খাবার খাই।’

এ ব্যাপারে চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান মেডিকেল অফিসার ডা. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘কাচের টুকরো পেটে গেলে মুখ থেকে শুরু করে মলদ্বার পর্যন্ত যেকোন স্থান ক্ষত হতে পারে। এছাড়াও আলসার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’

শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ, অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক জানান, ‘খাবারের মধ্যে পাথর বা পোকা থাকাটা স্বাভাবিক। কিন্তু কাচের টুকরো কিভাবে আসলো এটা আমরা পর্যবেক্ষণ করে দেখব।’

এমবিএইচ/এসএস