এনটিআরসিএ আবেদনের আগে করণীয়

আব্দুর রাজ্জাক সরকার

চাকরিপ্রার্থীরা যে ধরনের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, সেই প্রতিষ্ঠানেই আবেদন করা উচিতছবি: প্রথম আলো

আবেদনের জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়, পদ ও প্রতিষ্ঠানের ধরন অনুযায়ী নিবন্ধনধারী হতে হবে, এনটিআরসিএর প্রকাশিত সম্মিলিত মেধা তালিকার অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সর্বশেষ জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। প্রার্থীরা এনটিআরসিএর ওয়েবসাইট ও টেলিটকের ওয়েবসাইট থেকে আবেদন করতে পারবেন। আগে যত ইচ্ছা তত প্রতিষ্ঠানে আবেদন করা গেলেও এবার ৪০টির বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেউ আবেদন করতে পারবেন না।

বেসরকারি স্কুল-কলেজে কর্মরত কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এনটিআরসিএর মাধ্যমে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পাওয়ার পর বদলি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। প্রার্থী যে প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পাবেন তাঁকে সারা জীবন সেই প্রতিষ্ঠানেই থাকতে হবে। প্রতিষ্ঠান বদলির নীতিমালা কবে হবে, সেটাও অজানা। তাই চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করার আগে প্রার্থীদের কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখা উচিত।

স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যে ধরনের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, সেই প্রতিষ্ঠানেই আবেদন করা উচিত। আবেদনের সময় একজন প্রার্থীকে নিজের এলাকায় ও কম দূরের প্রতিষ্ঠানগুলোকে পছন্দের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে হবে। প্রতিষ্ঠানের অবস্থা, কর্মপরিবেশ, শিক্ষার্থীর সংখ্যা, আর্থিক সচ্ছলতা ও শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। কারণ, যেসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী কম সেখানে সুযোগ-সুবিধাও কম।

ঠাকুরগাঁও রোড ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মো. আরিফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আবেদনের ক্ষেত্রে নিজের মেধাতালিকা অনুযায়ী পার্শ্ববর্তী এলাকা, থানা, জেলা এবং বিভাগকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত, যেন ৪০ আবেদনের মধ্যেই চাকরি নিশ্চিত হয়। যে প্রতিষ্ঠানে আবেদন করবেন, সেই প্রতিষ্ঠানে এমপিওর জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষার্থী আছে কিনা, সে বিষয়ে খোঁজ নিতে হবে। কারণ, প্রয়োজনীয় শিক্ষার্থী না থাকলে এমপিও পেতে দুর্ভোগ পোহাতে হতে পারে। নিবন্ধন সার্টিফিকেটে উল্লিখিত যেসব প্রতিষ্ঠানের জন্য যোগ্য শুধু সেসব প্রতিষ্ঠানে ভেবেচিন্তে আবেদন করতে হবে। কারণ যোগ্যতার বাইরের প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলে এমপিও হবে না।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা আছে, আবেদনকারীরা যেন তাঁদের নিজ বিষয়ে কাম্য শিক্ষার্থী (এমপিওর জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষার্থী) আছে এমন প্রতিষ্ঠানগুলোতে আবেদন করেন। তথ্য সংগ্রহের একমাত্র মাধ্যম বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) নতুন করে কোন তথ্য হালনাগাদ করেনি।

প্রভাষক মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, যেহেতু ব্যানবেইসে হালনাগাদ তথ্য নেই, তাই প্রার্থীদের প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে ফোন দিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে অনেক সময় সঠিক তথ্য পাওয়া যায় না। কোনো প্রার্থী যদি কাম্য শিক্ষার্থী নেই এমন প্রতিষ্ঠানে সুপারিশ পান আর এমপিও জটিলতা দেখা দেয়, তাহলে এর দায়ভার কে নেবে? সাধারণ প্রার্থীদের সুবিধার জন্য এনটিআরসিএর উচিত বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করা।

গাইবান্ধার বেসরকারি একটি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক কামরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, নিজ এলাকার আশপাশের প্রতিষ্ঠানে আবেদন করার পর দূরের প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে হলে, সেই প্রতিষ্ঠান ও এলাকা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত। সেখানে যাতায়াত সুবিধা কেমন, থাকা-খাওয়ার সুবিধা আছে কি না, নিরাপত্তাব্যবস্থা কেমন, ছুটিতে বা প্রয়োজনে নিজের আপনজনের কাছে যাওয়া-আসা করা যাবে কি না, এসব বিষয়েও খোঁজখবর নেওয়া উচিত।

দেওয়ান আব্দুর রহিম হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক মো. শান্ত আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘এনটিআরসিএ কর্তৃক শিক্ষক নিয়োগে সুপারিশ করার পর প্রতিষ্ঠানে যোগদান ও এমপিও করার ক্ষেত্রে পদে পদে হয়রানি ও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়, যা খুবই অমানবিক ও প্রার্থীদের ওপর অবিচার। প্রতিযোগিমূলক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের পর মেধা তালিকার মাধ্যমে শিক্ষক সুপারিশ করা হয়। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার ভেরিফিকেশন করা সত্ত্বেও কেন যোগদান ও এমপিও করাতে এতে জটিলতা। আমরা চাই যোগদান ও এমপিও অবিলম্বে অটোমেশন করা হোক। যোগদানে জটিলতা এড়াতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং এনটিআরসিএর কঠোর নির্দেশনা জারি করা জরুরি।’

এ ছাড়া বেতনের বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা উচিত। বর্তমানে সরকারি মাধ্যমিক স্তরে সহকারী শিক্ষকের মূল বেতন ১২ হাজার ৫০০ টাকা। উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ে প্রভাষকের প্রাথমিক মূল বেতন ২২ হাজার টাকা। এ ছাড়া সব স্তরের শিক্ষকদের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ, বাড়ি ভাড়া ভাতা ১ হাজার টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা, উৎসব ভাতা ২৫ শতাংশ, বাংলা নববর্ষ ভাতা ২০ শতাংশ দেওয়া হয়ে থাকে। মূল বেতন থেকে অবসর ও কল্যাণ তহবিলের জন্য ১০ শতাংশ টাকা জমা রাখা হয়। নিয়মিত ২৫ বা তার বেশি বছর চাকরি করে অবসরে গেলে কল্যাণ ও অবসর তহবিল থেকে সর্বশেষ মূল বেতনের প্রায় ১০০ গুণ টাকা পাওয়ার বিধান রয়েছে। এসব সরকারি সুবিধার বাইরে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার বিষয়টি প্রতিষ্ঠানের নিয়মের ওপর নির্ভর করে।

এনটিআরসিএ আবেদনের আগে করণীয়

আব্দুর রাজ্জাক সরকার

চাকরিপ্রার্থীরা যে ধরনের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, সেই প্রতিষ্ঠানেই আবেদন করা উচিতছবি: প্রথম আলো

আবেদনের জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়, পদ ও প্রতিষ্ঠানের ধরন অনুযায়ী নিবন্ধনধারী হতে হবে, এনটিআরসিএর প্রকাশিত সম্মিলিত মেধা তালিকার অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সর্বশেষ জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। প্রার্থীরা এনটিআরসিএর ওয়েবসাইট ও টেলিটকের ওয়েবসাইট থেকে আবেদন করতে পারবেন। আগে যত ইচ্ছা তত প্রতিষ্ঠানে আবেদন করা গেলেও এবার ৪০টির বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেউ আবেদন করতে পারবেন না।

বেসরকারি স্কুল-কলেজে কর্মরত কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এনটিআরসিএর মাধ্যমে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পাওয়ার পর বদলি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। প্রার্থী যে প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পাবেন তাঁকে সারা জীবন সেই প্রতিষ্ঠানেই থাকতে হবে। প্রতিষ্ঠান বদলির নীতিমালা কবে হবে, সেটাও অজানা। তাই চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করার আগে প্রার্থীদের কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখা উচিত।

স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যে ধরনের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, সেই প্রতিষ্ঠানেই আবেদন করা উচিত। আবেদনের সময় একজন প্রার্থীকে নিজের এলাকায় ও কম দূরের প্রতিষ্ঠানগুলোকে পছন্দের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে হবে। প্রতিষ্ঠানের অবস্থা, কর্মপরিবেশ, শিক্ষার্থীর সংখ্যা, আর্থিক সচ্ছলতা ও শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। কারণ, যেসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী কম সেখানে সুযোগ-সুবিধাও কম।

ঠাকুরগাঁও রোড ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মো. আরিফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আবেদনের ক্ষেত্রে নিজের মেধাতালিকা অনুযায়ী পার্শ্ববর্তী এলাকা, থানা, জেলা এবং বিভাগকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত, যেন ৪০ আবেদনের মধ্যেই চাকরি নিশ্চিত হয়। যে প্রতিষ্ঠানে আবেদন করবেন, সেই প্রতিষ্ঠানে এমপিওর জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষার্থী আছে কিনা, সে বিষয়ে খোঁজ নিতে হবে। কারণ, প্রয়োজনীয় শিক্ষার্থী না থাকলে এমপিও পেতে দুর্ভোগ পোহাতে হতে পারে। নিবন্ধন সার্টিফিকেটে উল্লিখিত যেসব প্রতিষ্ঠানের জন্য যোগ্য শুধু সেসব প্রতিষ্ঠানে ভেবেচিন্তে আবেদন করতে হবে। কারণ যোগ্যতার বাইরের প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলে এমপিও হবে না।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা আছে, আবেদনকারীরা যেন তাঁদের নিজ বিষয়ে কাম্য শিক্ষার্থী (এমপিওর জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষার্থী) আছে এমন প্রতিষ্ঠানগুলোতে আবেদন করেন। তথ্য সংগ্রহের একমাত্র মাধ্যম বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) নতুন করে কোন তথ্য হালনাগাদ করেনি।

প্রভাষক মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, যেহেতু ব্যানবেইসে হালনাগাদ তথ্য নেই, তাই প্রার্থীদের প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে ফোন দিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে অনেক সময় সঠিক তথ্য পাওয়া যায় না। কোনো প্রার্থী যদি কাম্য শিক্ষার্থী নেই এমন প্রতিষ্ঠানে সুপারিশ পান আর এমপিও জটিলতা দেখা দেয়, তাহলে এর দায়ভার কে নেবে? সাধারণ প্রার্থীদের সুবিধার জন্য এনটিআরসিএর উচিত বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করা।

গাইবান্ধার বেসরকারি একটি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক কামরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, নিজ এলাকার আশপাশের প্রতিষ্ঠানে আবেদন করার পর দূরের প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে হলে, সেই প্রতিষ্ঠান ও এলাকা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত। সেখানে যাতায়াত সুবিধা কেমন, থাকা-খাওয়ার সুবিধা আছে কি না, নিরাপত্তাব্যবস্থা কেমন, ছুটিতে বা প্রয়োজনে নিজের আপনজনের কাছে যাওয়া-আসা করা যাবে কি না, এসব বিষয়েও খোঁজখবর নেওয়া উচিত।

দেওয়ান আব্দুর রহিম হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক মো. শান্ত আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘এনটিআরসিএ কর্তৃক শিক্ষক নিয়োগে সুপারিশ করার পর প্রতিষ্ঠানে যোগদান ও এমপিও করার ক্ষেত্রে পদে পদে হয়রানি ও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়, যা খুবই অমানবিক ও প্রার্থীদের ওপর অবিচার। প্রতিযোগিমূলক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের পর মেধা তালিকার মাধ্যমে শিক্ষক সুপারিশ করা হয়। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার ভেরিফিকেশন করা সত্ত্বেও কেন যোগদান ও এমপিও করাতে এতে জটিলতা। আমরা চাই যোগদান ও এমপিও অবিলম্বে অটোমেশন করা হোক। যোগদানে জটিলতা এড়াতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং এনটিআরসিএর কঠোর নির্দেশনা জারি করা জরুরি।’

এ ছাড়া বেতনের বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা উচিত। বর্তমানে সরকারি মাধ্যমিক স্তরে সহকারী শিক্ষকের মূল বেতন ১২ হাজার ৫০০ টাকা। উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ে প্রভাষকের প্রাথমিক মূল বেতন ২২ হাজার টাকা। এ ছাড়া সব স্তরের শিক্ষকদের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ, বাড়ি ভাড়া ভাতা ১ হাজার টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা, উৎসব ভাতা ২৫ শতাংশ, বাংলা নববর্ষ ভাতা ২০ শতাংশ দেওয়া হয়ে থাকে। মূল বেতন থেকে অবসর ও কল্যাণ তহবিলের জন্য ১০ শতাংশ টাকা জমা রাখা হয়। নিয়মিত ২৫ বা তার বেশি বছর চাকরি করে অবসরে গেলে কল্যাণ ও অবসর তহবিল থেকে সর্বশেষ মূল বেতনের প্রায় ১০০ গুণ টাকা পাওয়ার বিধান রয়েছে। এসব সরকারি সুবিধার বাইরে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার বিষয়টি প্রতিষ্ঠানের নিয়মের ওপর নির্ভর করে।