চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

ঐতিহ্যের শাটল ট্রেনে চড়ে ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

রেফায়েত উল্যাহ রুপক

শাটল ট্রেনে চড়ছেন শিক্ষার্থীরা।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাথে মিশে আছে শাটল ট্রেনের ঐতিহ্য। শহর থেকে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম এই ট্রেন হলেও প্রতিদিনই নানা ভোগান্তি আর ঝামেলা পোহাতে হয় তাদের।

প্রয়োজনের তুলনায় বগি স্বল্প হওয়ায় আসন সংকটের পাশাপাশি লাইট- ফ্যান ছাড়া প্রচণ্ড গরমে গাজাগাজি করে দাড়িয়ে যেতে হয় শিক্ষার্থীদের। রাতে ট্রেনের দরজা খোলা থাকায় মাঝেমাঝেই রেলওয়ে স্টেশনে বেড়ে উঠা পথশিশুরা বগিগুলোর ভেতরে মলমূত্রত্যাগ করে। এধরনের পরিস্থিতি অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি করে শিক্ষার্থীদের মাঝে।

চট্টগ্রাম শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় অনেক দূরে হওয়ায় টিউশনি,চাকুরী পরিক্ষার প্রস্তুতি ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বিবেচনায় আমরা শহরে থাকি। প্রতিদিন শহর থেকে শাটলে করে ক্যাম্পাসে আসতে অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয় আমাদের। আক্ষেপের সুরেই এভাবে নিজের প্রতিদিনের ক্যাম্পাস যাত্রার অভিজ্ঞতার কথা জানাচ্ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান শওকত।

চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরে হাটহাজারী উপজেলার ফতেপুরে অবস্থিত চট্টগ্রাম
বিশ্ববিদ্যালয়। নানামুখী সুযোগ সুবিধা ও টিউশনের জন্য বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই শহরে থাকেন। তাদের যাতায়াতের জন্য একমাত্র বাহন শাটল ট্রেন হলেও শিক্ষার্থীর তুলনায় বগি স্বল্পতা, বহিরাগতদের ভ্রমন, পথশিশুদের পাথর নিক্ষেপ, মেয়ে শিক্ষার্থীদের যৌন নিপীড়ন এবং চুরি- ছিনতাইয়ের ঘটনায় উদ্বেগ ও ক্ষোভ দেখা গিয়েছে শিক্ষার্থীদের মাঝে।

ইশরাত জাহান শওকত আরও বলেন, ট্রেনের বগি স্বল্পতার কারণে গাজাগাজি করে দাঁড়াতে হয়। ফ্যান, লাইট না থাকায় প্রচণ্ড গরমে অনেক ভোগান্তির পাশাপাশি ছিনতাই, চুরির মতো ঘটনাও অহরহ ঘটছে।

২০২০-২১ সেশনের আন্তজার্তিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম বলেন, আমরা টিউশন ও অন্যান্য সুবিধার জন্য শহরে থাকি। যেহেতু আমাদের যাতায়াতের জন্য অন্য কোন মাধ্যম নেই তার কারনে আমরা শাটলে আসা যাওয়া করতে হয়। কিন্তুু বগি স্বল্পতা আর প্রচণ্ড গরম সহ নানা সমস্যায় শাটল হয়ে উঠেছে আমাদের জন্য ভোগান্তির কারন।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম শিকদারের কাছে জানতে ফোন করা হলে তিনি মিটিং এ আছেন বলে ফোন রেখে দেন। এর ৩০ মিনিট পর আবারও ফোন করা হলে তার এক সহকর্মী ফোন ধরে বলেন, স্যার ব্যস্ত আছেন আপনি ১ ঘন্টা পর ফোন করুন। তবে পরপর দুইদিন কয়েকবার ফোন করেও প্রক্টরের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

ঐতিহ্যের শাটল ট্রেনে চড়ে ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

রেফায়েত উল্যাহ রুপক

শাটল ট্রেনে চড়ছেন শিক্ষার্থীরা।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাথে মিশে আছে শাটল ট্রেনের ঐতিহ্য। শহর থেকে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম এই ট্রেন হলেও প্রতিদিনই নানা ভোগান্তি আর ঝামেলা পোহাতে হয় তাদের।

প্রয়োজনের তুলনায় বগি স্বল্প হওয়ায় আসন সংকটের পাশাপাশি লাইট- ফ্যান ছাড়া প্রচণ্ড গরমে গাজাগাজি করে দাড়িয়ে যেতে হয় শিক্ষার্থীদের। রাতে ট্রেনের দরজা খোলা থাকায় মাঝেমাঝেই রেলওয়ে স্টেশনে বেড়ে উঠা পথশিশুরা বগিগুলোর ভেতরে মলমূত্রত্যাগ করে। এধরনের পরিস্থিতি অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি করে শিক্ষার্থীদের মাঝে।

চট্টগ্রাম শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় অনেক দূরে হওয়ায় টিউশনি,চাকুরী পরিক্ষার প্রস্তুতি ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বিবেচনায় আমরা শহরে থাকি। প্রতিদিন শহর থেকে শাটলে করে ক্যাম্পাসে আসতে অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয় আমাদের। আক্ষেপের সুরেই এভাবে নিজের প্রতিদিনের ক্যাম্পাস যাত্রার অভিজ্ঞতার কথা জানাচ্ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান শওকত।

চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরে হাটহাজারী উপজেলার ফতেপুরে অবস্থিত চট্টগ্রাম
বিশ্ববিদ্যালয়। নানামুখী সুযোগ সুবিধা ও টিউশনের জন্য বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই শহরে থাকেন। তাদের যাতায়াতের জন্য একমাত্র বাহন শাটল ট্রেন হলেও শিক্ষার্থীর তুলনায় বগি স্বল্পতা, বহিরাগতদের ভ্রমন, পথশিশুদের পাথর নিক্ষেপ, মেয়ে শিক্ষার্থীদের যৌন নিপীড়ন এবং চুরি- ছিনতাইয়ের ঘটনায় উদ্বেগ ও ক্ষোভ দেখা গিয়েছে শিক্ষার্থীদের মাঝে।

ইশরাত জাহান শওকত আরও বলেন, ট্রেনের বগি স্বল্পতার কারণে গাজাগাজি করে দাঁড়াতে হয়। ফ্যান, লাইট না থাকায় প্রচণ্ড গরমে অনেক ভোগান্তির পাশাপাশি ছিনতাই, চুরির মতো ঘটনাও অহরহ ঘটছে।

২০২০-২১ সেশনের আন্তজার্তিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম বলেন, আমরা টিউশন ও অন্যান্য সুবিধার জন্য শহরে থাকি। যেহেতু আমাদের যাতায়াতের জন্য অন্য কোন মাধ্যম নেই তার কারনে আমরা শাটলে আসা যাওয়া করতে হয়। কিন্তুু বগি স্বল্পতা আর প্রচণ্ড গরম সহ নানা সমস্যায় শাটল হয়ে উঠেছে আমাদের জন্য ভোগান্তির কারন।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম শিকদারের কাছে জানতে ফোন করা হলে তিনি মিটিং এ আছেন বলে ফোন রেখে দেন। এর ৩০ মিনিট পর আবারও ফোন করা হলে তার এক সহকর্মী ফোন ধরে বলেন, স্যার ব্যস্ত আছেন আপনি ১ ঘন্টা পর ফোন করুন। তবে পরপর দুইদিন কয়েকবার ফোন করেও প্রক্টরের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।