ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি

কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের বাংলা অংশ

এইচএসসি পরীক্ষার পর তোমরা নিশ্চয়ই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছ। তোমরা যারা কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে, তাদের বাংলা অংশেও এমসিকিউ দাগাতে হবে। অনেকেই উচ্চমাধ্যমিকে বাংলা বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব না দেওয়ায় ভর্তি পরীক্ষার সময় ভয়ে থাকো। আসলে বাংলা অতটা কঠিন নয়। একটু মনোযোগ দিয়ে পড়লেই ভালো করা সম্ভব।

বাংলার প্রস্তুতির জন্য সবার আগেই যেটা প্রয়োজন, সেটি হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিকের বাংলা সাহিত্যপাঠ বইটি এবং নবম-দশম শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় পত্র বইটি। এ দুই বই ডিঙিয়ে যেকোনো সহায়িকা বই পড়তে গেলেই মনে হবে পড়ার সমুদ্রে ভাসছি। কাজেই সর্বাগ্রে বই দুটির কনটেন্টগুলো ভালোভাবে রপ্ত করতে হবে।

বাংলা প্রথম পত্র
প্রশ্ন হলো, কোন কোন টপিক পড়বে? ভালো ফলাফল করতে হলে ধরাবাঁধা সিলেবাস ধরে পড়ামাত্রই বিলাসিতা। তারপরও এই চিট ট্রিক কাজে লাগিয়ে আমি ফল পেয়েছি তা হচ্ছে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলাম রচিত সব গদ্যপদ্য এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক কনটেন্ট নাক কান বন্ধ করে আগাগোড়া শেষ করে। কারণ এ কনটেন্টগুলো থেকে প্রতিবছরই প্রশ্ন হয়ে থাকে এবং এগুলো থেকে সহজেই নম্বর তোলা যায়। তবে সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো সাহিত্যপাঠ বইয়ের সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত কনটেন্টগুলো একদমই নখদর্পণে আত্মস্থ করা, শব্দার্থ, পাঠপরিচিতিসহ।

বাংলা দ্বিতীয় পত্র 
নবম-দশম শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় পত্র বইয়ের শুরু থেকে শেষ লাইন পর্যন্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বইটি খুবই ছোট এবং এতে প্রতিটি peak information তুলে ধরা হয়েছে। ভাষার বিবর্তন, বানান, ধ্বনির পরিবর্তন, সমাস, প্রত্যয়, বিভক্তি, কারক, শব্দের শ্রেণিবিভাগ, বাক্য ইত্যাদি হলো সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কনটেন্ট, যা কোনোভাবেই এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। এ ছাড়া নম্বর তোলার সবচেয়ে সহজ উপায় বিরচন। বিরচনের বাক্য সংকোচন, প্রতিশব্দ, বিপরীতার্থক শব্দ, ট্রান্সলেশন, প্রবাদ-প্রবচন, পারিভাষিক শব্দ, বাগধারা ইত্যাদি অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিরচনের জন্য আমার ব্যক্তিগতভাবে যে বইটি ভালো লেগেছে তা হলো, অভিযাত্রীর একটানা মুখস্থ বইটি।

সর্বোপরি
এবার আসি সর্বোপরি প্রস্তুতির জন্য আমি যে বইটি অনেক বেশি পড়েছি এবং পুরোপুরিই কমন পেয়েছি তা হচ্ছে, মো. ইসমাইল হোসেনের রেনেসাঁ বইটি। এতে বাংলার অ্যাডমিশনভিত্তিক সব পড়ার সংক্ষিপ্ত এবং ইফেক্টিভ একটি রিভিউ দেওয়া আছে, যা অ্যাডমিশন শিক্ষার্থীদের চাপ অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।

ওপরে দেওয়া সবগুলো ধাপ আমি নিজে অনুসরণ করেছিলাম এবং তা আমার কাজে এসেছে। আশা করি এগুলো পরবর্তী অ্যাডমিশনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদেরও কাজে আসতে পারে। সবার জন্য শুভকামনা। প্রাচ্যের অক্সফোর্ডে স্বাগত।

সানভিয়া আলম, ৩য় স্থান, ডি ইউনিট, ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

অনুলিখন: জুবায়ের আহম্মেদ

ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি

কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের বাংলা অংশ

এইচএসসি পরীক্ষার পর তোমরা নিশ্চয়ই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছ। তোমরা যারা কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে, তাদের বাংলা অংশেও এমসিকিউ দাগাতে হবে। অনেকেই উচ্চমাধ্যমিকে বাংলা বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব না দেওয়ায় ভর্তি পরীক্ষার সময় ভয়ে থাকো। আসলে বাংলা অতটা কঠিন নয়। একটু মনোযোগ দিয়ে পড়লেই ভালো করা সম্ভব।

বাংলার প্রস্তুতির জন্য সবার আগেই যেটা প্রয়োজন, সেটি হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিকের বাংলা সাহিত্যপাঠ বইটি এবং নবম-দশম শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় পত্র বইটি। এ দুই বই ডিঙিয়ে যেকোনো সহায়িকা বই পড়তে গেলেই মনে হবে পড়ার সমুদ্রে ভাসছি। কাজেই সর্বাগ্রে বই দুটির কনটেন্টগুলো ভালোভাবে রপ্ত করতে হবে।

বাংলা প্রথম পত্র
প্রশ্ন হলো, কোন কোন টপিক পড়বে? ভালো ফলাফল করতে হলে ধরাবাঁধা সিলেবাস ধরে পড়ামাত্রই বিলাসিতা। তারপরও এই চিট ট্রিক কাজে লাগিয়ে আমি ফল পেয়েছি তা হচ্ছে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলাম রচিত সব গদ্যপদ্য এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক কনটেন্ট নাক কান বন্ধ করে আগাগোড়া শেষ করে। কারণ এ কনটেন্টগুলো থেকে প্রতিবছরই প্রশ্ন হয়ে থাকে এবং এগুলো থেকে সহজেই নম্বর তোলা যায়। তবে সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো সাহিত্যপাঠ বইয়ের সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত কনটেন্টগুলো একদমই নখদর্পণে আত্মস্থ করা, শব্দার্থ, পাঠপরিচিতিসহ।

বাংলা দ্বিতীয় পত্র 
নবম-দশম শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় পত্র বইয়ের শুরু থেকে শেষ লাইন পর্যন্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বইটি খুবই ছোট এবং এতে প্রতিটি peak information তুলে ধরা হয়েছে। ভাষার বিবর্তন, বানান, ধ্বনির পরিবর্তন, সমাস, প্রত্যয়, বিভক্তি, কারক, শব্দের শ্রেণিবিভাগ, বাক্য ইত্যাদি হলো সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কনটেন্ট, যা কোনোভাবেই এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। এ ছাড়া নম্বর তোলার সবচেয়ে সহজ উপায় বিরচন। বিরচনের বাক্য সংকোচন, প্রতিশব্দ, বিপরীতার্থক শব্দ, ট্রান্সলেশন, প্রবাদ-প্রবচন, পারিভাষিক শব্দ, বাগধারা ইত্যাদি অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিরচনের জন্য আমার ব্যক্তিগতভাবে যে বইটি ভালো লেগেছে তা হলো, অভিযাত্রীর একটানা মুখস্থ বইটি।

সর্বোপরি
এবার আসি সর্বোপরি প্রস্তুতির জন্য আমি যে বইটি অনেক বেশি পড়েছি এবং পুরোপুরিই কমন পেয়েছি তা হচ্ছে, মো. ইসমাইল হোসেনের রেনেসাঁ বইটি। এতে বাংলার অ্যাডমিশনভিত্তিক সব পড়ার সংক্ষিপ্ত এবং ইফেক্টিভ একটি রিভিউ দেওয়া আছে, যা অ্যাডমিশন শিক্ষার্থীদের চাপ অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।

ওপরে দেওয়া সবগুলো ধাপ আমি নিজে অনুসরণ করেছিলাম এবং তা আমার কাজে এসেছে। আশা করি এগুলো পরবর্তী অ্যাডমিশনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদেরও কাজে আসতে পারে। সবার জন্য শুভকামনা। প্রাচ্যের অক্সফোর্ডে স্বাগত।

সানভিয়া আলম, ৩য় স্থান, ডি ইউনিট, ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

অনুলিখন: জুবায়ের আহম্মেদ