কোটাহীন প্যানেল নিয়োগের দাবি বেসরকারি শিক্ষকদের

গণ অনশনের ১৩৬ দিন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

শুধুমাত্র এক আবেদনে কোটাবিহীন প্যানেল নিয়োগ দেওয়াসহ ৩ দফা দাবি জানিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) নিবন্ধনধারী চাকরিপ্রত্যাশী বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসার শিক্ষকেরা। এ সময় তারা প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। অন্যথায় উপযুক্ত কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ এমনকি আত্মাহুতির হুমকি দিয়েছেন তারা।

গত ৫ জুন থেকে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গনঅনশনের ১৩৬ তম দিনে মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব দাবি জানান।

তাদের দাবির মধ্যে আরও রয়েছে, চাকরি প্রত্যাশীদের স্ব স্ব নীতিমালায় নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত নতুন নিবন্ধন পরীক্ষা বন্ধ রাখতে হবে এবং ইন্ডেক্সধারীদের প্যানেল অন্তর্ভুক্ত না করে আলাদা ভর্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে প্যানেল প্রত্যাশী নিবন্ধিত শিক্ষক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জিম এম ইয়াছিন লিখিত বক্তব্যে বলেন, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের জন্য আলাদা আলাদা ফি নেয় এনটিআরসি। এভাবে তারা অনির্দিষ্ট আবেদনের ব্যবস্থা চালু করে বেকার নিবন্ধনধারীদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাদের সর্বস্বান্ত করছে। একই চাকরির জন্য একই কর্তৃপক্ষের অধীনে হাজার হাজার আবেদন করতে হয়, এমন নজির পৃথিবীর কোথাও নেই। আমরা চাই এক আবেদনেই যেন এনটিআরসি নিয়োগের ব্যবস্থা করে।

তিনি বলেন, ২০০৬ সালে প্রকাশিত গেজেটের আলোকে পূর্বের নিবন্ধিত শিক্ষকদের নিয়োগের কোনো সুরাহা না করে ২০১৫ সালে গেজেট অনুযায়ী এককভাবে নিয়োগ সুপারিশের উদ্দেশ্যে ১৩তম পরীক্ষা নেয় এনটিআরসিএ। যতগুলো ব্যাচ নিবন্ধন পেয়েছে। সেই নিবন্ধনের আলোকে ব্যাচভিত্তিক প্যানেল নিয়োগ দেওয়া হোক এবং নিয়োগে সব ধরণের কোটা বাদ দেওয়া হোক।

তিনি বলেন, জাল সনদধারীরা এখনো চাকরিতে এখন বহাল আছে। অথচ বৈধ সনদধারীরা বেকার হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যোগ্য শিক্ষক নির্বাচন ও নিয়োগ সুপারিশের পরিবর্তে এনটিআরসিএ অর্থসংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত পাচ্ছে। বর্তমানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত (ইনডেক্সধারী) বেতনভুক্ত শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত না করে, নিবন্ধনধারী চাকরি প্রত্যাশীদের প্যানেল ভিত্তিক নিয়োগ দিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে প্যানেল প্রত্যাশী নিবন্ধিত শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি মো. আমির হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি সুজাউর রহমান, রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি আল মুমিন, খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি রাজিয়া সুলতানা রথি, সিরাজুল ইসলাম, শরিফুল ইসলামসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

কোটাহীন প্যানেল নিয়োগের দাবি বেসরকারি শিক্ষকদের

গণ অনশনের ১৩৬ দিন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

শুধুমাত্র এক আবেদনে কোটাবিহীন প্যানেল নিয়োগ দেওয়াসহ ৩ দফা দাবি জানিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) নিবন্ধনধারী চাকরিপ্রত্যাশী বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসার শিক্ষকেরা। এ সময় তারা প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। অন্যথায় উপযুক্ত কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ এমনকি আত্মাহুতির হুমকি দিয়েছেন তারা।

গত ৫ জুন থেকে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গনঅনশনের ১৩৬ তম দিনে মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব দাবি জানান।

তাদের দাবির মধ্যে আরও রয়েছে, চাকরি প্রত্যাশীদের স্ব স্ব নীতিমালায় নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত নতুন নিবন্ধন পরীক্ষা বন্ধ রাখতে হবে এবং ইন্ডেক্সধারীদের প্যানেল অন্তর্ভুক্ত না করে আলাদা ভর্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে প্যানেল প্রত্যাশী নিবন্ধিত শিক্ষক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জিম এম ইয়াছিন লিখিত বক্তব্যে বলেন, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের জন্য আলাদা আলাদা ফি নেয় এনটিআরসি। এভাবে তারা অনির্দিষ্ট আবেদনের ব্যবস্থা চালু করে বেকার নিবন্ধনধারীদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাদের সর্বস্বান্ত করছে। একই চাকরির জন্য একই কর্তৃপক্ষের অধীনে হাজার হাজার আবেদন করতে হয়, এমন নজির পৃথিবীর কোথাও নেই। আমরা চাই এক আবেদনেই যেন এনটিআরসি নিয়োগের ব্যবস্থা করে।

তিনি বলেন, ২০০৬ সালে প্রকাশিত গেজেটের আলোকে পূর্বের নিবন্ধিত শিক্ষকদের নিয়োগের কোনো সুরাহা না করে ২০১৫ সালে গেজেট অনুযায়ী এককভাবে নিয়োগ সুপারিশের উদ্দেশ্যে ১৩তম পরীক্ষা নেয় এনটিআরসিএ। যতগুলো ব্যাচ নিবন্ধন পেয়েছে। সেই নিবন্ধনের আলোকে ব্যাচভিত্তিক প্যানেল নিয়োগ দেওয়া হোক এবং নিয়োগে সব ধরণের কোটা বাদ দেওয়া হোক।

তিনি বলেন, জাল সনদধারীরা এখনো চাকরিতে এখন বহাল আছে। অথচ বৈধ সনদধারীরা বেকার হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যোগ্য শিক্ষক নির্বাচন ও নিয়োগ সুপারিশের পরিবর্তে এনটিআরসিএ অর্থসংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত পাচ্ছে। বর্তমানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত (ইনডেক্সধারী) বেতনভুক্ত শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত না করে, নিবন্ধনধারী চাকরি প্রত্যাশীদের প্যানেল ভিত্তিক নিয়োগ দিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে প্যানেল প্রত্যাশী নিবন্ধিত শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি মো. আমির হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি সুজাউর রহমান, রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি আল মুমিন, খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি রাজিয়া সুলতানা রথি, সিরাজুল ইসলাম, শরিফুল ইসলামসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।