গবেষণায় বরাদ্দে এগিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়

নিজামুল হক

প্রতীকী ছবি

সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে ছাড়িয়ে গবেষণায় বরাদ্দের ক্ষেত্রে বিস্ময় দেখিয়েছে কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ৫৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা গবেষণায় ব্যয় করেছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। অথচ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে গবেষণায় সবচেয়ে বেশি ব্যয় করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, যা মাত্র ৮ কোটি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ কোটি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয় ও তৃতীয় সর্বোচ্চ ৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা গবেষণায় ব্যয় করেছে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ। যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বরাদ্দের চেয়েও অনেক বেশি।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য বিশ্লেষণে এখনটিই দেখা গেছে। ২০২১ সালের তথ্যের ভিত্তিতেই এই প্রতিবেদনটি তৈরি করে ইউজিসি। সম্প্রতি এই প্রতিবেদন রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কাজ গবেষণা হলেও বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণায় বরাদ্দ রাখছে না। কর্তৃপক্ষের বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে অনীহার কারণেই এমনটি হয়ে থাকে। তথ্য-বিশ্লেষণে দেখা গেছে, কিছু প্রতিষ্ঠান গবেষণায় খুব ভালো করলেও অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় অনেকটা পিছিয়ে। এমন বিশ্ববিদ্যালয়ও আছে যেখানে কোনো গবেষণায় বরাদ্দ নেই। ২৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণায় কোনো বরাদ্দ রাখেনি।

সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ব্যয় করেছে ৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, এটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০২১ সালে ৫০ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় মোট ব্যয় ছিল ৭৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। কিছু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ভালো বরাদ্দ থাকলেও বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে বরাদ্দ ছিল খুবই কম। খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ২০২১ সালে গবেষণা খাতে ব্যয় করেছে মাত্র ২ লাখ টাকা, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ লাখ টাকা, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় ৫০ লাখ টাকা, গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ৭৫ লাখ টাকা, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যারয় ৫৩ লাখ টাকা,  বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ৫০ লাখ, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল। এ গবেষণা একটি বিশ্ববিদ্যালয় জন্য খুবই কম বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জসীম উদ্দিন বলেন, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণায় যে বরাদ্দ দেওয়া হয় তা ‘সরকারি অথর্’। তবুও সেখানেও ঠিকমতো গবেষণা হয় না। আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা হয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ড থেকে। আর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় আসে শিক্ষার্থীদের দেওয়া টিউশন ফি থেকে। এ কারণে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কম হওয়া স্বাভাবিক বিষয়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার জন্য সরকারি থেকে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়া উচিত বলে তিনি মত দেন।

অন্যদিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ কোটি ৭৪ লাখ, ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি ৩ কোটি ৫ লাখ, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ৪ কোটি ৬৫ লাখ, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা গবেষণা খাতে ব্যয় করেছে। যা অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায়ও বেশি।

তবে গবেষণায় বরাদ্দে পিছিয়ে আছে অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে দি পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, প্রাইম ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি, আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এ গবেষণায় কোনো বরাদ্দ ছিল না। ২ লাখের নিচে খরচ করেছে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ৭ লাখ ৪৩ হাজার, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি ২ লাখ ৫২ হাজার, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি ৫ লাখ ৯৮ হাজার, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি ১ লাখ ২৯ হাজার, সিটি ইউনিভার্সিটি ২ লাখ ৫০ হাজার, নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ১ লাখ ৯৮ হাজার, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি ২০ হাজার, রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা ৬৮ হাজার, নটর ডেম ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা বরাদ্দ রেখেছিল।

ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন শিক্ষককে প্রতিদিন পাঁচ-ছয়টি ক্লাস নিতে হয়। তাদের বেতনও খুব কম। তারা গবেষণার চিন্তাও করতে পারেন না। ঐ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণায় বরাদ্দও রাখে না।

ইউজিসি প্রতি বছর গবেষণার জন্য নিয়মিতভাবে বিভিন্ন প্রকার বৃত্তি ও ফেলোশিপ দিয়ে থাকে। ২০২১ সালে তারা এ খাতে ৮৯৪টি প্রকল্পের জন্য ১ কোটি ৫৮ লাখ ৮ হাজার ৭৯০ টাকা ব্যয় করেছে।

ইউজিসি বলছে,  সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মোট ব্যয়ের ক্ষেত্রে বেতন ভাতা ও পেনশত খাতে ৭৫ শতাংশের বেশি ব্যয় হচ্ছে। এছাড়া আনুষঙ্গিক খাতে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ১৯ শতাংশ। বিশেষ মূলধন ও অন্যান্য অনুদান খাতে প্রায় ৬ শতাংশ। গবেষণা খাতে খুব একটা বরাদ্দ রাখছে না।

জ্ঞান বিতরণ, নতুন জ্ঞান সৃজন ও সংরক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌলিক কাজ উল্লেখ করে ইউজিসির সুপারিশে বলা হয়, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি স্ট্র্যাটেজিক রিসার্চ প্ল্যান থাকা জরুরি। উক্ত প্ল্যানে গবেষকদের গবেষণা প্রবন্ধ আন্তর্জাতিক মানের জার্নালে প্রকাশ হলে প্রণোদনাসহ উত্সাহ দেওয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ইন্ডাস্ট্রি একাডেমিয়া কোলাবোরেশন, স্টার্টআপ ও ইনোভেশন হাব প্রতিষ্ঠা, পেটেন্ট সংরক্ষণসহ গবেষণালব্ধ ফলাফল বাণিজ্যিকীকরণের লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কার্যকর উদ্যোগ নিতে পারে।

ইত্তেফাক/এসকে

গবেষণায় বরাদ্দে এগিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়

নিজামুল হক

প্রতীকী ছবি

সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে ছাড়িয়ে গবেষণায় বরাদ্দের ক্ষেত্রে বিস্ময় দেখিয়েছে কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ৫৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা গবেষণায় ব্যয় করেছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। অথচ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে গবেষণায় সবচেয়ে বেশি ব্যয় করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, যা মাত্র ৮ কোটি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ কোটি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয় ও তৃতীয় সর্বোচ্চ ৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা গবেষণায় ব্যয় করেছে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ। যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বরাদ্দের চেয়েও অনেক বেশি।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য বিশ্লেষণে এখনটিই দেখা গেছে। ২০২১ সালের তথ্যের ভিত্তিতেই এই প্রতিবেদনটি তৈরি করে ইউজিসি। সম্প্রতি এই প্রতিবেদন রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কাজ গবেষণা হলেও বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণায় বরাদ্দ রাখছে না। কর্তৃপক্ষের বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে অনীহার কারণেই এমনটি হয়ে থাকে। তথ্য-বিশ্লেষণে দেখা গেছে, কিছু প্রতিষ্ঠান গবেষণায় খুব ভালো করলেও অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় অনেকটা পিছিয়ে। এমন বিশ্ববিদ্যালয়ও আছে যেখানে কোনো গবেষণায় বরাদ্দ নেই। ২৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণায় কোনো বরাদ্দ রাখেনি।

সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ব্যয় করেছে ৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, এটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০২১ সালে ৫০ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় মোট ব্যয় ছিল ৭৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। কিছু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ভালো বরাদ্দ থাকলেও বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে বরাদ্দ ছিল খুবই কম। খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ২০২১ সালে গবেষণা খাতে ব্যয় করেছে মাত্র ২ লাখ টাকা, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ লাখ টাকা, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় ৫০ লাখ টাকা, গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ৭৫ লাখ টাকা, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যারয় ৫৩ লাখ টাকা,  বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ৫০ লাখ, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল। এ গবেষণা একটি বিশ্ববিদ্যালয় জন্য খুবই কম বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জসীম উদ্দিন বলেন, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণায় যে বরাদ্দ দেওয়া হয় তা ‘সরকারি অথর্’। তবুও সেখানেও ঠিকমতো গবেষণা হয় না। আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা হয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ড থেকে। আর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় আসে শিক্ষার্থীদের দেওয়া টিউশন ফি থেকে। এ কারণে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কম হওয়া স্বাভাবিক বিষয়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার জন্য সরকারি থেকে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়া উচিত বলে তিনি মত দেন।

অন্যদিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ কোটি ৭৪ লাখ, ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি ৩ কোটি ৫ লাখ, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ৪ কোটি ৬৫ লাখ, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা গবেষণা খাতে ব্যয় করেছে। যা অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায়ও বেশি।

তবে গবেষণায় বরাদ্দে পিছিয়ে আছে অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে দি পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, প্রাইম ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি, আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এ গবেষণায় কোনো বরাদ্দ ছিল না। ২ লাখের নিচে খরচ করেছে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ৭ লাখ ৪৩ হাজার, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি ২ লাখ ৫২ হাজার, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি ৫ লাখ ৯৮ হাজার, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি ১ লাখ ২৯ হাজার, সিটি ইউনিভার্সিটি ২ লাখ ৫০ হাজার, নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ১ লাখ ৯৮ হাজার, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি ২০ হাজার, রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা ৬৮ হাজার, নটর ডেম ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা বরাদ্দ রেখেছিল।

ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন শিক্ষককে প্রতিদিন পাঁচ-ছয়টি ক্লাস নিতে হয়। তাদের বেতনও খুব কম। তারা গবেষণার চিন্তাও করতে পারেন না। ঐ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণায় বরাদ্দও রাখে না।

ইউজিসি প্রতি বছর গবেষণার জন্য নিয়মিতভাবে বিভিন্ন প্রকার বৃত্তি ও ফেলোশিপ দিয়ে থাকে। ২০২১ সালে তারা এ খাতে ৮৯৪টি প্রকল্পের জন্য ১ কোটি ৫৮ লাখ ৮ হাজার ৭৯০ টাকা ব্যয় করেছে।

ইউজিসি বলছে,  সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মোট ব্যয়ের ক্ষেত্রে বেতন ভাতা ও পেনশত খাতে ৭৫ শতাংশের বেশি ব্যয় হচ্ছে। এছাড়া আনুষঙ্গিক খাতে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ১৯ শতাংশ। বিশেষ মূলধন ও অন্যান্য অনুদান খাতে প্রায় ৬ শতাংশ। গবেষণা খাতে খুব একটা বরাদ্দ রাখছে না।

জ্ঞান বিতরণ, নতুন জ্ঞান সৃজন ও সংরক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌলিক কাজ উল্লেখ করে ইউজিসির সুপারিশে বলা হয়, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি স্ট্র্যাটেজিক রিসার্চ প্ল্যান থাকা জরুরি। উক্ত প্ল্যানে গবেষকদের গবেষণা প্রবন্ধ আন্তর্জাতিক মানের জার্নালে প্রকাশ হলে প্রণোদনাসহ উত্সাহ দেওয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ইন্ডাস্ট্রি একাডেমিয়া কোলাবোরেশন, স্টার্টআপ ও ইনোভেশন হাব প্রতিষ্ঠা, পেটেন্ট সংরক্ষণসহ গবেষণালব্ধ ফলাফল বাণিজ্যিকীকরণের লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কার্যকর উদ্যোগ নিতে পারে।

ইত্তেফাক/এসকে