ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকেছে রাবি ক্যাম্পাস

রাবি সংবাদদাতা

ছবি: ইত্তেফাক

প্রবাদ রয়েছে- ‘ঊনো বর্ষায় দুনো শীত’। অর্থাৎ যে বছর বৃষ্টিপাত কম হয়, সে বছর শীতের প্রকোপ বেশি হয়। প্রবাদটির প্রমাণ মিলেছে দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। এ কারণে এবারও শীতের প্রকোপটা অন্যবারের থেকে বেশি বলেই মনে হচ্ছে।

রাবি ক্যাম্পাসে যেন এখন ভরা শীতকাল।  নৈসর্গিক শোভামণ্ডিত মতিহারের এই সবুজ চত্বরে শীত আসে চিরচেনা রূপের বাইরে আরও কিছু মুগ্ধতা ও অনবদ্য বৈশিষ্ট্য নিয়ে। এবারও ক্যাম্পাসে শীতের যে বর্ণিল রূপ তাতে একটুও ছেদ পড়েনি।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃতি ও পরিবেশটা অনেকটাই গ্রামীণ আবহে তৈরি। বিশ্ববিদ্যালয়ের চারপাশ যেন ঘেরাও হয়ে আছে কালো কুয়াশার চাদরে। গ্রামের শীতের আমেজ পেতে ঘুরে আসা যেতে পারে প্রাচ্যের ক্যামব্রিজ নামে খ্যাত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে।

শীতের আগমন টের পাওয়া যায় গোধূলির সোনালি সূর্য অস্ত যাওয়ার আগেই ঘন কুয়াশার চাদরে আঁকড়ে ধরা প্রকৃতির দিকে তাকালে। হাড়ে কাঁপন ধরানো হিমেল বাতাসে ক্যাম্পাসের সবার গায়েই এখন শীতের গরম কাপড়।

ভোটানি বিভাগের মাস্টার্স’র  শিক্ষার্থী মোসা. সায়েদা খাতুন বলেন, ক্যাম্পাসে শীতের সময়টা অন্য রকম অনুভূতির জন্ম দেয়। সবকিছুকেই যেন শীতের কুয়াশা তার বিশাল চাঁদর দিয়ে ঢেকে এক মায়াবী হাতছানির সৃষ্টি করে। সকালে শিশির ভেজা রাস্তা মাড়িয়ে গরম কাপড় জড়িয়ে ক্লাস করতে যাওয়াটা আমার কাছে বেশ উপভোগ্য। বন্ধুদের সঙ্গে চায়ের আড্ডা বেশ জমে।

মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ বলেন, ক্যাম্পাসে শীতের পরিবেশ বেশ উপভোগ করি। রাস্তার দুই পাশের ফুল গাছ আর পুকুরে ভরা লাল শাপলা আমাকে মুগ্ধ করে।

অনেকের কাছে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ক্যাম্পাসের পিঠা। দুপুরের পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দোকানে পাওয়া যায় শীতের বিভিন্ন রকম পিঠা। আর শীতের এই পিঠার স্বাদ নিতে সারাক্ষণ এসব দোকানে ভিড় লেগেই থাকে চোখে পরার মতো।

শীতের রুক্ষ আর শুষ্ক প্রকৃতির নাকি রঙ-রূপ হীন!  অথচ প্রকৃতির প্রাচুর্যে ভরপুর রাবির এই ক্যাম্পাসটিতে রূপ লাবণ্যের কোনো ঘাটতি হয় না কখনোই। শীতে ক্যাম্পাসটির প্রকৃতি ও পরিবেশ সেজে ওঠে অন্যরকম সাজে।

রাবির বিভিন্ন হল এর সামনে তৈরি করা হয়েছে ব্যাডমিন্টন খেলার কোর্ট। বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে খেলা। সন্ধ্যা হলেই হলের গেম রুমে সময় কাটায় অনেক শিক্ষার্থীরা। অনেকেই টেবিল টেনিস, ক্যারাম, দাবা, কার্ড খেলার প্রতি ঝুঁকে পড়ছে। মেয়েদের হলেও দাবা ক্যারম বা লুডুর মতো বিভিন্ন ইনডোর গেম চলে সময় কাটানোর ব্যবস্থা হিসেবে।

ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকেছে রাবি ক্যাম্পাস

রাবি সংবাদদাতা

ছবি: ইত্তেফাক

প্রবাদ রয়েছে- ‘ঊনো বর্ষায় দুনো শীত’। অর্থাৎ যে বছর বৃষ্টিপাত কম হয়, সে বছর শীতের প্রকোপ বেশি হয়। প্রবাদটির প্রমাণ মিলেছে দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। এ কারণে এবারও শীতের প্রকোপটা অন্যবারের থেকে বেশি বলেই মনে হচ্ছে।

রাবি ক্যাম্পাসে যেন এখন ভরা শীতকাল।  নৈসর্গিক শোভামণ্ডিত মতিহারের এই সবুজ চত্বরে শীত আসে চিরচেনা রূপের বাইরে আরও কিছু মুগ্ধতা ও অনবদ্য বৈশিষ্ট্য নিয়ে। এবারও ক্যাম্পাসে শীতের যে বর্ণিল রূপ তাতে একটুও ছেদ পড়েনি।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃতি ও পরিবেশটা অনেকটাই গ্রামীণ আবহে তৈরি। বিশ্ববিদ্যালয়ের চারপাশ যেন ঘেরাও হয়ে আছে কালো কুয়াশার চাদরে। গ্রামের শীতের আমেজ পেতে ঘুরে আসা যেতে পারে প্রাচ্যের ক্যামব্রিজ নামে খ্যাত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে।

শীতের আগমন টের পাওয়া যায় গোধূলির সোনালি সূর্য অস্ত যাওয়ার আগেই ঘন কুয়াশার চাদরে আঁকড়ে ধরা প্রকৃতির দিকে তাকালে। হাড়ে কাঁপন ধরানো হিমেল বাতাসে ক্যাম্পাসের সবার গায়েই এখন শীতের গরম কাপড়।

ভোটানি বিভাগের মাস্টার্স’র  শিক্ষার্থী মোসা. সায়েদা খাতুন বলেন, ক্যাম্পাসে শীতের সময়টা অন্য রকম অনুভূতির জন্ম দেয়। সবকিছুকেই যেন শীতের কুয়াশা তার বিশাল চাঁদর দিয়ে ঢেকে এক মায়াবী হাতছানির সৃষ্টি করে। সকালে শিশির ভেজা রাস্তা মাড়িয়ে গরম কাপড় জড়িয়ে ক্লাস করতে যাওয়াটা আমার কাছে বেশ উপভোগ্য। বন্ধুদের সঙ্গে চায়ের আড্ডা বেশ জমে।

মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ বলেন, ক্যাম্পাসে শীতের পরিবেশ বেশ উপভোগ করি। রাস্তার দুই পাশের ফুল গাছ আর পুকুরে ভরা লাল শাপলা আমাকে মুগ্ধ করে।

অনেকের কাছে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ক্যাম্পাসের পিঠা। দুপুরের পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দোকানে পাওয়া যায় শীতের বিভিন্ন রকম পিঠা। আর শীতের এই পিঠার স্বাদ নিতে সারাক্ষণ এসব দোকানে ভিড় লেগেই থাকে চোখে পরার মতো।

শীতের রুক্ষ আর শুষ্ক প্রকৃতির নাকি রঙ-রূপ হীন!  অথচ প্রকৃতির প্রাচুর্যে ভরপুর রাবির এই ক্যাম্পাসটিতে রূপ লাবণ্যের কোনো ঘাটতি হয় না কখনোই। শীতে ক্যাম্পাসটির প্রকৃতি ও পরিবেশ সেজে ওঠে অন্যরকম সাজে।

রাবির বিভিন্ন হল এর সামনে তৈরি করা হয়েছে ব্যাডমিন্টন খেলার কোর্ট। বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে খেলা। সন্ধ্যা হলেই হলের গেম রুমে সময় কাটায় অনেক শিক্ষার্থীরা। অনেকেই টেবিল টেনিস, ক্যারাম, দাবা, কার্ড খেলার প্রতি ঝুঁকে পড়ছে। মেয়েদের হলেও দাবা ক্যারম বা লুডুর মতো বিভিন্ন ইনডোর গেম চলে সময় কাটানোর ব্যবস্থা হিসেবে।