ঘুষের টাকাসহ রংপুরের শিক্ষা অফিসের সহকারী আটক

দুদক এনফোর্সমেন্ট টিমের অভিযান

আটক রংপুর সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী মো. শহিদুল ইসলাম। ছবি-সমকাল

সমকাল প্রতিবেদক

ঘুষের টাকাসহ রংপুর সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী মো. শহিদুল ইসলামকে হাতেনাতে আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার দুদকের রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. হোসাইন শরীফের নেতৃত্বে এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান চালিয়ে তাকে ঘুষের টাকাসহ হাতেনাতে আটক করে। দুদক সূত্রে এই খবর জানা গেছে।
আটক শহিদুল ইসলামকে পরে উপজেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আবুল কালাম আজাদের জিম্মায় দেওয়া হয়। উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এদিকে দুদক তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সূত্র জানায়, রংপুর সদরের পুলিশ লাইন্স স্কুলের ১৯ জন শিক্ষক তাঁদের বেতনে সমতা আনার আবেদন করেছিলেন। পরে জেলা শিক্ষা অফিস থেকে তাঁদের আবেদন মঞ্জুরও করা হয়। গত ২০১০ সালে যোগ দেওয়া ওই ১৯ জন শিক্ষক ২০১২ সালে যোগ দেওয়া শিক্ষকদের সঙ্গে তাঁদের বেতনের সমতা আনতে আবেদন জানিয়েছিলেন। তাতে তাঁদের বেতন কিছুটা বাড়ে।
জানা গেছে, নিয়ম অনুযায়ী ১৯ জন শিক্ষকের আবেদনের মঞ্জুর করা আদেশ উপজেলা শিক্ষা অফিসের সার্ভিস বুকে অন্তর্ভুক্ত করতে হয়। ওই ১৯ শিক্ষক তাদের মঞ্জুরিকৃত আদেশ সার্ভিস বুকে অন্তর্ভুক্ত করতে গেলে উপজেলা শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী মো. শহিদুল ইসলাম তাদের প্রতিজনের কাছে ৫ হাজার টাকা করে মোট ১ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। শিক্ষকরা ঘুষের টাকা দিতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন।
পরে আটজন শিক্ষককে চাপে ফেলে প্রতিজনের কাছ থেকে ২ হাজার করে মোট ১৬ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার কথা পাকাপোক্ত করা হয়। ঘুষ নেওয়ার এই কথা বাকিদের বলা যাবে না বলে তাদের নিষেধ করা হয়।
এ পর্যায়ে তিনজন শিক্ষক দুদকের রংপুর কার্যালয়কে বিষটি অবহিত করেন। তাঁদের কথা অনুযায়ী কমিশনের অনুমোদন নিয়ে এনফোর্সমেন্ট টিম গঠন করা হয়। পরে টিমের সদস্যরা ওত পেতে থাকে ওই অফিস সহকারী নিজ কক্ষে বসে ঘুষ নেওয়ার পর পরই ওই টিমের সদস্যরা কক্ষে প্রবেশ করে তাকে চ্যালেঞ্জ করেন। এরপর অফিস সহকারী শহিদুল ইসলাম দুদকের ইনভেনটরি করা ১৬ হাজার টাকা নিজের ড্রয়ার থেকে বের করে দেন। এরপর তাকে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদের জিম্মায় দেওয়া হয়।
দুদক এনফোর্সমেন্ট টিমের অন্য সদস্যরা হলেন- দুদক উপসহকারী পরিচালক মো. সাবদারুল ইসলাম, এ কে এম নূরে আলম সিদ্দিক, জয়ন্ত সাহা, মো. মমিন উদ্দিন, মো. রুবেল হোসেন, সহকারী পরিদর্শক মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও প্রধান সহকারী মো. রেজাউল করিম।

ঘুষের টাকাসহ রংপুরের শিক্ষা অফিসের সহকারী আটক

দুদক এনফোর্সমেন্ট টিমের অভিযান

আটক রংপুর সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী মো. শহিদুল ইসলাম। ছবি-সমকাল

সমকাল প্রতিবেদক

ঘুষের টাকাসহ রংপুর সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী মো. শহিদুল ইসলামকে হাতেনাতে আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার দুদকের রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. হোসাইন শরীফের নেতৃত্বে এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান চালিয়ে তাকে ঘুষের টাকাসহ হাতেনাতে আটক করে। দুদক সূত্রে এই খবর জানা গেছে।
আটক শহিদুল ইসলামকে পরে উপজেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আবুল কালাম আজাদের জিম্মায় দেওয়া হয়। উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এদিকে দুদক তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সূত্র জানায়, রংপুর সদরের পুলিশ লাইন্স স্কুলের ১৯ জন শিক্ষক তাঁদের বেতনে সমতা আনার আবেদন করেছিলেন। পরে জেলা শিক্ষা অফিস থেকে তাঁদের আবেদন মঞ্জুরও করা হয়। গত ২০১০ সালে যোগ দেওয়া ওই ১৯ জন শিক্ষক ২০১২ সালে যোগ দেওয়া শিক্ষকদের সঙ্গে তাঁদের বেতনের সমতা আনতে আবেদন জানিয়েছিলেন। তাতে তাঁদের বেতন কিছুটা বাড়ে।
জানা গেছে, নিয়ম অনুযায়ী ১৯ জন শিক্ষকের আবেদনের মঞ্জুর করা আদেশ উপজেলা শিক্ষা অফিসের সার্ভিস বুকে অন্তর্ভুক্ত করতে হয়। ওই ১৯ শিক্ষক তাদের মঞ্জুরিকৃত আদেশ সার্ভিস বুকে অন্তর্ভুক্ত করতে গেলে উপজেলা শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী মো. শহিদুল ইসলাম তাদের প্রতিজনের কাছে ৫ হাজার টাকা করে মোট ১ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। শিক্ষকরা ঘুষের টাকা দিতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন।
পরে আটজন শিক্ষককে চাপে ফেলে প্রতিজনের কাছ থেকে ২ হাজার করে মোট ১৬ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার কথা পাকাপোক্ত করা হয়। ঘুষ নেওয়ার এই কথা বাকিদের বলা যাবে না বলে তাদের নিষেধ করা হয়।
এ পর্যায়ে তিনজন শিক্ষক দুদকের রংপুর কার্যালয়কে বিষটি অবহিত করেন। তাঁদের কথা অনুযায়ী কমিশনের অনুমোদন নিয়ে এনফোর্সমেন্ট টিম গঠন করা হয়। পরে টিমের সদস্যরা ওত পেতে থাকে ওই অফিস সহকারী নিজ কক্ষে বসে ঘুষ নেওয়ার পর পরই ওই টিমের সদস্যরা কক্ষে প্রবেশ করে তাকে চ্যালেঞ্জ করেন। এরপর অফিস সহকারী শহিদুল ইসলাম দুদকের ইনভেনটরি করা ১৬ হাজার টাকা নিজের ড্রয়ার থেকে বের করে দেন। এরপর তাকে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদের জিম্মায় দেওয়া হয়।
দুদক এনফোর্সমেন্ট টিমের অন্য সদস্যরা হলেন- দুদক উপসহকারী পরিচালক মো. সাবদারুল ইসলাম, এ কে এম নূরে আলম সিদ্দিক, জয়ন্ত সাহা, মো. মমিন উদ্দিন, মো. রুবেল হোসেন, সহকারী পরিদর্শক মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও প্রধান সহকারী মো. রেজাউল করিম।