জবি শিক্ষার্থীদের জন্য বাসের ডাবল ট্রিপ আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের বাস।

আহসান জোবায়ের, জবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের জন্য বাসের ডাবল শিফট চালু থাকলেও শিক্ষার্থীরা পাচ্ছেন না এই সুবিধা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও অনশনের পর প্রশাসন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আশ্বাস দিয়েছিল যে শিক্ষার্থীদের জন্য বাসের ডাবল শিফট চালু করা হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেই আশ্বাস বাস্তব রূপ পায়নি, যার ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পড়তে হচ্ছে বিপাকে।বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিফটে যে বাস চলাচল করে, তাতে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হয়। যেসব শিক্ষার্থীর ক্লাস শুরু হয় দেরিতে, তাদেরও বাসে করে আসতে হলে ভোর ৬টায় রওনা দিতে হয়। অন্যদিকে যাদের ক্লাস দুপুরের আগে শেষ হয়ে যায়, তাদেরও বাস ছাড়ার সময় বেলা ৩টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। বিশেষায়িত ও বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভাগগুলোয় বিকালের পর ক্লাস ও প্রাক্টিক্যাল থাকায় একধরনের পরিবহনসেবা থেকে বঞ্চিত তারা। গাড়ি ছাড়ার সময়সূচি ও ক্লাসের সময়সূচির মধ্যে বিরাট ব্যবধান থাকায় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির শিকার হতে হয়, সময় নষ্ট হয়। একজন শিক্ষার্থীর দিনের পুরো সময়টাই ক্লাস, বাস ও রাস্তায় অতিবাহিত হয়।

জানা যায়, ২০১৯ সালের বাসের ডাবল শিফট, জকসু নির্বাচনসহ সাত দফা দাবিতে আন্দোলন ও পরবর্তী সময়ে অনশনে বসে ?‘সাত দফা আন্দোলন’ নামে একটি মঞ্চ। অনশন কর্মসূচির পরিপ্রেক্ষিতে ঐ বছরের ৮ জুলাই শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের বিষয়ে আশ্বাসও দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আন্দোলনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলে নতুন ১৬টি গাড়ি সংযুক্ত হলেও ডাবল ট্রিপ চালু হয়নি।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহসভাপতি সুমাইয়া ইসলাম সোমা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্যান্য সংকটের মধ্য পরিবহনের সংকট উল্লেখযোগ্য। বাসের ডাবল শিফট চালুর দাবি নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন আন্দোলন করেছি। কারণ অধিকাংশ শিক্ষার্থী দূর-দূরান্ত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করেন। একটিমাত্র চক্রাকার বাস দিয়ে এই সংকট দূর হওয়ার নয়। ডাবল শিফট বাস না থাকার কারণে বাসের সামান্য সিট নিয়েও অনেক ধরনের ভোগান্তি, ক্ষমতায়নের শিকার হতে হয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের। পরিবহন পুল প্রশাসক ও প্রশাসন এই বিষয়গুলোর দিকে নজর দেয় না। তিনি আরো বলেন, বাসের ডাবল শিফট চালুর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দূর করার দায়িত্ব প্রশাসনের। কোনো ধরনের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে মুখোমুখি হওয়ার আগে প্রশাসনের দায়িত্ব বিষয়টি দ্রুত বাস্তবায়ন করা।সাত দফা আন্দোলনের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তৌসিফ মাহমুদ সোহান বলেন, আন্দোলনের পর আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়ছিল শিক্ষার্থীদের ডাবল শিফট চালু করা হবে। নতুন করে বাসও কেনা হলো, কিন্তু ডাবল শিফট চালু হলো না।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক ড. সিদ্ধার্থ ভৌমিক বলেন, আসলে আমাদের বাসের ডাবল শিফট চালু করার বিষয়টি অনেক চ্যালেঞ্জিং। আমাদের পরিবহন ও ড্রাইভারের সংকট আছে। তাছাড়া পুরান ঢাকার জ্যামের কথাও আমাদের মাথায় রাখতে হয়। তবে যেহেতু আমাদের এখানে প্রায় সবারই পরিবহনে যাতায়াত করতে হয়, সেক্ষেত্রে বিষয়টি যৌক্তিক। উপাচার্যসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করব।

ইত্তেফাক/ইআ

জবি শিক্ষার্থীদের জন্য বাসের ডাবল ট্রিপ আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের বাস।

আহসান জোবায়ের, জবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের জন্য বাসের ডাবল শিফট চালু থাকলেও শিক্ষার্থীরা পাচ্ছেন না এই সুবিধা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও অনশনের পর প্রশাসন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আশ্বাস দিয়েছিল যে শিক্ষার্থীদের জন্য বাসের ডাবল শিফট চালু করা হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেই আশ্বাস বাস্তব রূপ পায়নি, যার ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পড়তে হচ্ছে বিপাকে।বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিফটে যে বাস চলাচল করে, তাতে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হয়। যেসব শিক্ষার্থীর ক্লাস শুরু হয় দেরিতে, তাদেরও বাসে করে আসতে হলে ভোর ৬টায় রওনা দিতে হয়। অন্যদিকে যাদের ক্লাস দুপুরের আগে শেষ হয়ে যায়, তাদেরও বাস ছাড়ার সময় বেলা ৩টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। বিশেষায়িত ও বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভাগগুলোয় বিকালের পর ক্লাস ও প্রাক্টিক্যাল থাকায় একধরনের পরিবহনসেবা থেকে বঞ্চিত তারা। গাড়ি ছাড়ার সময়সূচি ও ক্লাসের সময়সূচির মধ্যে বিরাট ব্যবধান থাকায় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির শিকার হতে হয়, সময় নষ্ট হয়। একজন শিক্ষার্থীর দিনের পুরো সময়টাই ক্লাস, বাস ও রাস্তায় অতিবাহিত হয়।

জানা যায়, ২০১৯ সালের বাসের ডাবল শিফট, জকসু নির্বাচনসহ সাত দফা দাবিতে আন্দোলন ও পরবর্তী সময়ে অনশনে বসে ?‘সাত দফা আন্দোলন’ নামে একটি মঞ্চ। অনশন কর্মসূচির পরিপ্রেক্ষিতে ঐ বছরের ৮ জুলাই শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের বিষয়ে আশ্বাসও দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আন্দোলনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলে নতুন ১৬টি গাড়ি সংযুক্ত হলেও ডাবল ট্রিপ চালু হয়নি।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহসভাপতি সুমাইয়া ইসলাম সোমা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্যান্য সংকটের মধ্য পরিবহনের সংকট উল্লেখযোগ্য। বাসের ডাবল শিফট চালুর দাবি নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন আন্দোলন করেছি। কারণ অধিকাংশ শিক্ষার্থী দূর-দূরান্ত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করেন। একটিমাত্র চক্রাকার বাস দিয়ে এই সংকট দূর হওয়ার নয়। ডাবল শিফট বাস না থাকার কারণে বাসের সামান্য সিট নিয়েও অনেক ধরনের ভোগান্তি, ক্ষমতায়নের শিকার হতে হয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের। পরিবহন পুল প্রশাসক ও প্রশাসন এই বিষয়গুলোর দিকে নজর দেয় না। তিনি আরো বলেন, বাসের ডাবল শিফট চালুর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দূর করার দায়িত্ব প্রশাসনের। কোনো ধরনের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে মুখোমুখি হওয়ার আগে প্রশাসনের দায়িত্ব বিষয়টি দ্রুত বাস্তবায়ন করা।সাত দফা আন্দোলনের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তৌসিফ মাহমুদ সোহান বলেন, আন্দোলনের পর আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়ছিল শিক্ষার্থীদের ডাবল শিফট চালু করা হবে। নতুন করে বাসও কেনা হলো, কিন্তু ডাবল শিফট চালু হলো না।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক ড. সিদ্ধার্থ ভৌমিক বলেন, আসলে আমাদের বাসের ডাবল শিফট চালু করার বিষয়টি অনেক চ্যালেঞ্জিং। আমাদের পরিবহন ও ড্রাইভারের সংকট আছে। তাছাড়া পুরান ঢাকার জ্যামের কথাও আমাদের মাথায় রাখতে হয়। তবে যেহেতু আমাদের এখানে প্রায় সবারই পরিবহনে যাতায়াত করতে হয়, সেক্ষেত্রে বিষয়টি যৌক্তিক। উপাচার্যসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করব।

ইত্তেফাক/ইআ