তীব্র আসন সংকট সমস্যায় জর্জরিত জবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি

শাহীন আলম

তীব্র আসন সংকটসহ নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত জবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ১৮ হাজার শিক্ষার্থীর বিপরীতে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির আসন সংখ্যা মাত্র ৩৫০টি। আসন সংকটসহ নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি। কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীদের অভিযোগ অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সুযোগ-সুবিধা নেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে। তাছাড়া পড়াশোনার জন্য যে ধরনের পরিবেশ দরকার তা-ও পর্যাপ্ত নেই লাইব্রেরিতে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউ অ্যাকাডেমি ভবনের ৬ষ্ট তলায় অবস্থিত কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি। সেখানে নেই পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যাবস্থা, বসার জায়গা এতোটাই কাছাকাছি যে প্রতি আসনে বসে পড়াশোনা করা কষ্টসাধ্য। তাছাড়া অগ্নিনির্বাপক ব্যাবস্থাও নাজেহাল। পুরো লাইব্রেরিতে চোখে পড়ে মাত্র দুইটি অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডার যার একটিতেও নেই উৎপাদন বা মেয়াদ উত্তির্ণের তারিখ।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি সংলগ্ন কম্পিউটার সাইন্স ডিপার্টমেন্টে আগুন লাগলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে লাইব্রেরিতে। লাইব্রেরিতে প্রবেশের জন্য আছে একটিমাত্র সরু দরজা যা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে বা আগুন লাগলে বের হওয়া একেবারে অসম্ভব। নেই কোন ইমাজেন্সি এক্সিট।

লাইব্রেরিতে পড়তে যাওয়া মাস্টার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী তোহা ইসলাম বলেন, নিয়মিত লাইব্রেরিতে আসা হয় কিন্তু গরম আসলেই বিপাকে পড়তে হয়। লাইব্রেরিতে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল করতে না পারায় গরমে সিদ্ধ হওয়ার অবস্থা। এতে পড়াশোনা করা যায়না। এছাড়াও গাদাগাদি করে বসতে হয় যা অনেক অসুবিধা হয় আমাদের। আশা করি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন অতি শীঘ্রই একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

লাইব্রেরিতে পড়তে যাওয়া তৃতীয় বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী আবু রায়হান জানান, আমাদের লাইব্রেরিতে শিক্ষার্থীদের তুলনায় আসন সংখ্যা কম। তার উপর লাইব্রেরির ভিতর নেই পর্যাপ্ত আলো বাতাস প্রবেশের ব্যাবস্থা। এসির ব্যাবস্থা নেই আবার সিলিং ফ্যানের সংখ্যাও কম। এই তীব্র গরমে পড়তে যেয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে যায়। তাছাড়া শুক্র ও শনিবার লাইব্রেরি অফ থাকে এই দুইদিন খোলা রাখার ব্যাবস্থা থাকলে আমাদের জন্য ভালো হতো। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সমস্যাগুলো বিবেচনা করলে আমরা যারা লাইব্রেরিতে পড়তে আসি তাদের অনেক উপকার হবে।

কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর সমস্যার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক মো. এনামুল হক জানান,আমাদের মূলত জায়গা সংকট বিশ্ববিদ্যালয়ের সব জায়গায়। সেন্ট্রাল লাইব্রেরীতে আসন সংখ্যা শিক্ষার্থী অনুপাতে কম, নতুন ক্যাম্পাসের কাজ শেষ হলে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে। এছাড়া আসন সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। তাছাড়া আমরা সেন্ট্রাল লাইব্রেরী পুরোটা এসি করার কথাও বলেছিলাম সেটাও কবে নাগাদ বাস্তবায়ন হবে তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই।

তীব্র আসন সংকট সমস্যায় জর্জরিত জবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি

শাহীন আলম

তীব্র আসন সংকটসহ নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত জবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ১৮ হাজার শিক্ষার্থীর বিপরীতে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির আসন সংখ্যা মাত্র ৩৫০টি। আসন সংকটসহ নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি। কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীদের অভিযোগ অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সুযোগ-সুবিধা নেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে। তাছাড়া পড়াশোনার জন্য যে ধরনের পরিবেশ দরকার তা-ও পর্যাপ্ত নেই লাইব্রেরিতে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউ অ্যাকাডেমি ভবনের ৬ষ্ট তলায় অবস্থিত কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি। সেখানে নেই পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যাবস্থা, বসার জায়গা এতোটাই কাছাকাছি যে প্রতি আসনে বসে পড়াশোনা করা কষ্টসাধ্য। তাছাড়া অগ্নিনির্বাপক ব্যাবস্থাও নাজেহাল। পুরো লাইব্রেরিতে চোখে পড়ে মাত্র দুইটি অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডার যার একটিতেও নেই উৎপাদন বা মেয়াদ উত্তির্ণের তারিখ।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি সংলগ্ন কম্পিউটার সাইন্স ডিপার্টমেন্টে আগুন লাগলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে লাইব্রেরিতে। লাইব্রেরিতে প্রবেশের জন্য আছে একটিমাত্র সরু দরজা যা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে বা আগুন লাগলে বের হওয়া একেবারে অসম্ভব। নেই কোন ইমাজেন্সি এক্সিট।

লাইব্রেরিতে পড়তে যাওয়া মাস্টার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী তোহা ইসলাম বলেন, নিয়মিত লাইব্রেরিতে আসা হয় কিন্তু গরম আসলেই বিপাকে পড়তে হয়। লাইব্রেরিতে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল করতে না পারায় গরমে সিদ্ধ হওয়ার অবস্থা। এতে পড়াশোনা করা যায়না। এছাড়াও গাদাগাদি করে বসতে হয় যা অনেক অসুবিধা হয় আমাদের। আশা করি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন অতি শীঘ্রই একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

লাইব্রেরিতে পড়তে যাওয়া তৃতীয় বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী আবু রায়হান জানান, আমাদের লাইব্রেরিতে শিক্ষার্থীদের তুলনায় আসন সংখ্যা কম। তার উপর লাইব্রেরির ভিতর নেই পর্যাপ্ত আলো বাতাস প্রবেশের ব্যাবস্থা। এসির ব্যাবস্থা নেই আবার সিলিং ফ্যানের সংখ্যাও কম। এই তীব্র গরমে পড়তে যেয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে যায়। তাছাড়া শুক্র ও শনিবার লাইব্রেরি অফ থাকে এই দুইদিন খোলা রাখার ব্যাবস্থা থাকলে আমাদের জন্য ভালো হতো। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সমস্যাগুলো বিবেচনা করলে আমরা যারা লাইব্রেরিতে পড়তে আসি তাদের অনেক উপকার হবে।

কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর সমস্যার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক মো. এনামুল হক জানান,আমাদের মূলত জায়গা সংকট বিশ্ববিদ্যালয়ের সব জায়গায়। সেন্ট্রাল লাইব্রেরীতে আসন সংখ্যা শিক্ষার্থী অনুপাতে কম, নতুন ক্যাম্পাসের কাজ শেষ হলে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে। এছাড়া আসন সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। তাছাড়া আমরা সেন্ট্রাল লাইব্রেরী পুরোটা এসি করার কথাও বলেছিলাম সেটাও কবে নাগাদ বাস্তবায়ন হবে তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই।