থমকে আছে আরিফের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন

রেফায়েত উল্যাহ রুপক

মো. আরিফুল ইসলাম। 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরিক্ষায় কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের অধীন বি ইউনিটে ৭৫৪ তম হয়ে উত্তীর্ণ হন মো. আরিফুল ইসলাম। গত ১২ জুলাই প্রাথমিক ভর্তির জন্য ১ম তালিকা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ। তালিকায় উল্লেখ করা হয় ১৩ জুলাই থেকে ২০ জুলাই এর মধ্যে ৩৫০০ টাকা প্রদান করে প্রাথমিক ভর্তি নিশ্চিত করার জন্য।

তালিকায় আরিফুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী দর্শণ বিভাগের জন্য মনোনীত হলেও নির্দিষ্ট সময়ে ভর্তি হতে পারেনি।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আরিফুল সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে, অসুস্থ কৃষক বাবার সন্তান আরিফুলকেই একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হিসেবে পরিবারের হাল ধরতে হয়। সংসারের হাল ধরার পাশাপাশি অদম্য এই মেধাবী পড়াশোনাও চালিয়ে যায়। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় সে অনেকগুলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায়। কিন্তুু টাকার অভাবে ভর্তি হতে পারেনি কোথাও। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছিল তাঁর সর্বশেষ আশা কিন্তুু এখানেও ভর্তি হওয়া হলো না আরিফের।

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গনকে আরিফ বলেন, স্মার্টফোন না থাকায় ভর্তির আপডেট পেতে কষ্ট হতো। আমার বন্ধুদের মাধ্যমে খোঁজখবর নিতাম। বন্ধুদের সঙ্গে এসে চবিতে পরীক্ষা দিয়েছিলাম। আমার বন্ধুরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে গেছে। চবিতে ভর্তির প্রথম মেরিটের বিষয়টি জানতে আমার একটু দেরি হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার ভর্তির সময় শেষ, জানতে পারি বুধবার। টাকা আর ভর্তির কাগজপত্র গুছিয়ে আসতে আসতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা হয়ে যায়।

আরিফ আরও বলেন, আমি উপাচার্য বরাবর আবেদন করেছি মানবিক দিক বিবেচনায় নিয়ে আমাকে ভর্তির সুযোগ প্রদানের জন্য। আমার আরও কয়েকটা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স হলেও টাকার অভাবে ভর্তি হতে পারিনি। এখন এখানেও ভর্তি হতে না পারলে আমার ও পরিবারের সব স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে।

এদিকে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও উচ্চশিক্ষা অর্জনের সুযোগ হারানোর বিষয়টি জেনে চবির ‘উদ্দীপ্ত বাংলাদেশ’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এগিয়ে আসে। আরিফকে আর্থিক ও মানসিক সহযোগিতা দিয়ে সংগঠনটির সভাপতি হাসিবুর রহমান বলেন, সাব্বির নামের এক শিক্ষার্থীর মাধ্যমে আরিফের বিষয়টি জানতে পারি। একজন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও উচ্চশিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে এটা আসলে দুঃখজনক। সে এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ ৪.৫৪ এবং এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে। মানবিক দৃষ্টিকোণ বিবেচনায় হলেও ছেলেটির ভর্তি হওয়া দরকার।

এব্যপারে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেণু কুমার দে এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিষয়টা সম্পর্কে জেনেছি। ডীনের মাধ্যমে ভিসি মহোদয়ের কাছে আবেদন করতে বলেছি। এরপর ভিসি এবিষয়ে ডীন কমিটিতে আলোচনা করবেন। ডীন কমিটি এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন।

থমকে আছে আরিফের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন

রেফায়েত উল্যাহ রুপক

মো. আরিফুল ইসলাম। 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরিক্ষায় কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের অধীন বি ইউনিটে ৭৫৪ তম হয়ে উত্তীর্ণ হন মো. আরিফুল ইসলাম। গত ১২ জুলাই প্রাথমিক ভর্তির জন্য ১ম তালিকা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ। তালিকায় উল্লেখ করা হয় ১৩ জুলাই থেকে ২০ জুলাই এর মধ্যে ৩৫০০ টাকা প্রদান করে প্রাথমিক ভর্তি নিশ্চিত করার জন্য।

তালিকায় আরিফুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী দর্শণ বিভাগের জন্য মনোনীত হলেও নির্দিষ্ট সময়ে ভর্তি হতে পারেনি।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আরিফুল সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে, অসুস্থ কৃষক বাবার সন্তান আরিফুলকেই একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হিসেবে পরিবারের হাল ধরতে হয়। সংসারের হাল ধরার পাশাপাশি অদম্য এই মেধাবী পড়াশোনাও চালিয়ে যায়। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় সে অনেকগুলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায়। কিন্তুু টাকার অভাবে ভর্তি হতে পারেনি কোথাও। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছিল তাঁর সর্বশেষ আশা কিন্তুু এখানেও ভর্তি হওয়া হলো না আরিফের।

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গনকে আরিফ বলেন, স্মার্টফোন না থাকায় ভর্তির আপডেট পেতে কষ্ট হতো। আমার বন্ধুদের মাধ্যমে খোঁজখবর নিতাম। বন্ধুদের সঙ্গে এসে চবিতে পরীক্ষা দিয়েছিলাম। আমার বন্ধুরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে গেছে। চবিতে ভর্তির প্রথম মেরিটের বিষয়টি জানতে আমার একটু দেরি হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার ভর্তির সময় শেষ, জানতে পারি বুধবার। টাকা আর ভর্তির কাগজপত্র গুছিয়ে আসতে আসতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা হয়ে যায়।

আরিফ আরও বলেন, আমি উপাচার্য বরাবর আবেদন করেছি মানবিক দিক বিবেচনায় নিয়ে আমাকে ভর্তির সুযোগ প্রদানের জন্য। আমার আরও কয়েকটা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স হলেও টাকার অভাবে ভর্তি হতে পারিনি। এখন এখানেও ভর্তি হতে না পারলে আমার ও পরিবারের সব স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে।

এদিকে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও উচ্চশিক্ষা অর্জনের সুযোগ হারানোর বিষয়টি জেনে চবির ‘উদ্দীপ্ত বাংলাদেশ’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এগিয়ে আসে। আরিফকে আর্থিক ও মানসিক সহযোগিতা দিয়ে সংগঠনটির সভাপতি হাসিবুর রহমান বলেন, সাব্বির নামের এক শিক্ষার্থীর মাধ্যমে আরিফের বিষয়টি জানতে পারি। একজন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও উচ্চশিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে এটা আসলে দুঃখজনক। সে এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ ৪.৫৪ এবং এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে। মানবিক দৃষ্টিকোণ বিবেচনায় হলেও ছেলেটির ভর্তি হওয়া দরকার।

এব্যপারে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেণু কুমার দে এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিষয়টা সম্পর্কে জেনেছি। ডীনের মাধ্যমে ভিসি মহোদয়ের কাছে আবেদন করতে বলেছি। এরপর ভিসি এবিষয়ে ডীন কমিটিতে আলোচনা করবেন। ডীন কমিটি এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন।