দুর্বল নেটওয়ার্ক সমস্যায় ভুগছেন হাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা

নাঈম ইসলাম সংগ্রাম

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

উত্তরবঙ্গের প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)। দেশব্যাপী এ নামে পরিচিতি থাকলেও এখনো নিরবচ্ছিন্ন নেটওয়ার্ক ও উচ্চমানের ইন্টারনেট সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের তাজউদ্দীন আহমেদ হল, ডরমিটরি-২, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে মোবাইল নেটওয়ার্ক সমস্যা চরমে উঠছে। হলের সামনে মোবাইলে দু-একটি নেটওয়ার্ক টাওয়ারের দেখা মিললেও হলে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে সে সিগনাল অদৃশ্য হয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এবং ৮ আবাসিক হলের দু-একটি হলে ওয়াই-ফাই (ইন্টারনেট) সেবা থাকলেও তা টিভি রুম বা রিডিং রুমে সীমাবদ্ধ। সাথে দুর্বল ফ্রিকোয়েন্সির কারণে ভোগান্তিতে পড়ছেন তারা। ফলে ই-লাইব্রেরিসহ বিভিন্ন অনলাইন শিক্ষাকার্যক্রম থেকে পিছিয়ে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

হল।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ নিরবচ্ছিন্ন নেটওয়ার্ক না থাকায় তারা ঠিকমতো মোবাইল ফোনে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন না। অধিকাংশ সময়ই তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ কাজে বেগ পেতে হয়। বাড়ি থেকে মা-বাবা সর্বদা দুশ্চিন্তা করে যথা সময়ে ফোনকলে না পেলে।

তাছাড়া ক্যাম্পাসে ওয়াই-ফাই আওতায় আনার কথা থাকলেও তা শুধু টিএসসিতে সীমাবদ্ধ। ধীরগতি, দুর্বল ফ্রিকোয়েন্সি এবং যে কয়েকটি পয়েন্টে ওয়াই-ফাই সুবিধা পাওয়া যায় সেখানেও সময়ের সীমাবদ্ধতা রয়েছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

শিক্ষকদের দেওয়া অ্যাসাইনমেন্ট ও অনলাইনে বিভিন্ন বই কিংবা উপকরণ খোঁজার জন্য শিক্ষার্থীরা নিজেদের খরচে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। ফলে শিক্ষার্থীদের পড়তে হচ্ছে বাড়তি অর্থের চাপে। আবার সেই ওয়াই-ফাই সংযোগ সেবা নিয়েও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ।

হাবিপ্রবি। 

ডরমিটরি -২ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মো. মুশফিকুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিনের এই নেটওয়ার্ক সমস্যা তাদেরকে বেশ ভোগান্তিতে রেখেছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো যায়গায় এমন সংকট কাম্য নয়। আশাকরি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই ব্যাপারটি লাঘবে কাজ করবেন।

নতুন ছাত্রী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আফিয়া আনজুম জানান, শিক্ষা কার্যক্রমের জন্য আমরা বাড়ি থেকে অনেক দূরে এসে অবস্থান করছি। আমাদের মা-বাবা সবসময় আমাদের খোঁজখবর রাখার চেষ্টা করেন। যখন তারা আমাদের বারবার ফোন করে ফোন বন্ধ পান তখন তারা দুশ্চিন্তা করেন। অনেকসময় তারা তাদের জরুরি প্রয়োজনে বা খোঁজখবর নেওয়ার জন্য ফোন দিয়ে আমাদের পান না। এমন পরিস্থিতি আমাদের জন্য কষ্টের।

এবিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি সেলের কো-অর্ডিনেটর সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনসহ (বিটিআরসি) চারটি অপারেটরকে চিঠি পাঠানো হয়। তারা এসে হলগুলো থেকে সিগনাল মেজারমেন্ট করে নিয়ে চলে যায়। তবে কবে নাগাদ সমস্যা সমাধান হবে তা জানেন না কেউ।

তিনি আরও বলেন, ক্যাম্পাসের প্রতিটি পয়েন্টে যেন ওয়াই-ফাই যায়, ভিসি স্যার আমাদের সেই বিষয়ে কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। আমরা প্রাথমিক স্ট্রাকচার দেখিয়ে দিয়েছি। পুরো ক্যাম্পাস ওয়াই-ফাই এর আওতায় আনার ক্ষেত্রে ফান্ডিং একটি বড় বিষয়। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে অনেকটা কষ্টকর বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এমবিএইচ/এসএস

দুর্বল নেটওয়ার্ক সমস্যায় ভুগছেন হাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা

নাঈম ইসলাম সংগ্রাম

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

উত্তরবঙ্গের প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)। দেশব্যাপী এ নামে পরিচিতি থাকলেও এখনো নিরবচ্ছিন্ন নেটওয়ার্ক ও উচ্চমানের ইন্টারনেট সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের তাজউদ্দীন আহমেদ হল, ডরমিটরি-২, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে মোবাইল নেটওয়ার্ক সমস্যা চরমে উঠছে। হলের সামনে মোবাইলে দু-একটি নেটওয়ার্ক টাওয়ারের দেখা মিললেও হলে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে সে সিগনাল অদৃশ্য হয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এবং ৮ আবাসিক হলের দু-একটি হলে ওয়াই-ফাই (ইন্টারনেট) সেবা থাকলেও তা টিভি রুম বা রিডিং রুমে সীমাবদ্ধ। সাথে দুর্বল ফ্রিকোয়েন্সির কারণে ভোগান্তিতে পড়ছেন তারা। ফলে ই-লাইব্রেরিসহ বিভিন্ন অনলাইন শিক্ষাকার্যক্রম থেকে পিছিয়ে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

হল।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ নিরবচ্ছিন্ন নেটওয়ার্ক না থাকায় তারা ঠিকমতো মোবাইল ফোনে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন না। অধিকাংশ সময়ই তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ কাজে বেগ পেতে হয়। বাড়ি থেকে মা-বাবা সর্বদা দুশ্চিন্তা করে যথা সময়ে ফোনকলে না পেলে।

তাছাড়া ক্যাম্পাসে ওয়াই-ফাই আওতায় আনার কথা থাকলেও তা শুধু টিএসসিতে সীমাবদ্ধ। ধীরগতি, দুর্বল ফ্রিকোয়েন্সি এবং যে কয়েকটি পয়েন্টে ওয়াই-ফাই সুবিধা পাওয়া যায় সেখানেও সময়ের সীমাবদ্ধতা রয়েছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

শিক্ষকদের দেওয়া অ্যাসাইনমেন্ট ও অনলাইনে বিভিন্ন বই কিংবা উপকরণ খোঁজার জন্য শিক্ষার্থীরা নিজেদের খরচে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। ফলে শিক্ষার্থীদের পড়তে হচ্ছে বাড়তি অর্থের চাপে। আবার সেই ওয়াই-ফাই সংযোগ সেবা নিয়েও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ।

হাবিপ্রবি। 

ডরমিটরি -২ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মো. মুশফিকুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিনের এই নেটওয়ার্ক সমস্যা তাদেরকে বেশ ভোগান্তিতে রেখেছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো যায়গায় এমন সংকট কাম্য নয়। আশাকরি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই ব্যাপারটি লাঘবে কাজ করবেন।

নতুন ছাত্রী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আফিয়া আনজুম জানান, শিক্ষা কার্যক্রমের জন্য আমরা বাড়ি থেকে অনেক দূরে এসে অবস্থান করছি। আমাদের মা-বাবা সবসময় আমাদের খোঁজখবর রাখার চেষ্টা করেন। যখন তারা আমাদের বারবার ফোন করে ফোন বন্ধ পান তখন তারা দুশ্চিন্তা করেন। অনেকসময় তারা তাদের জরুরি প্রয়োজনে বা খোঁজখবর নেওয়ার জন্য ফোন দিয়ে আমাদের পান না। এমন পরিস্থিতি আমাদের জন্য কষ্টের।

এবিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি সেলের কো-অর্ডিনেটর সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনসহ (বিটিআরসি) চারটি অপারেটরকে চিঠি পাঠানো হয়। তারা এসে হলগুলো থেকে সিগনাল মেজারমেন্ট করে নিয়ে চলে যায়। তবে কবে নাগাদ সমস্যা সমাধান হবে তা জানেন না কেউ।

তিনি আরও বলেন, ক্যাম্পাসের প্রতিটি পয়েন্টে যেন ওয়াই-ফাই যায়, ভিসি স্যার আমাদের সেই বিষয়ে কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। আমরা প্রাথমিক স্ট্রাকচার দেখিয়ে দিয়েছি। পুরো ক্যাম্পাস ওয়াই-ফাই এর আওতায় আনার ক্ষেত্রে ফান্ডিং একটি বড় বিষয়। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে অনেকটা কষ্টকর বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এমবিএইচ/এসএস