ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

নিয়মের ধার ধারেন না পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক

ফাইল ছবি

ফারুক ছিদ্দিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

মৌখিকভাবে ৫৩ জনকে নিয়োগ, বাজারদরের চেয়ে কম দামে পছন্দের ব্যক্তির কাছে পুরোনো কাগজ বিক্রি, অধিভুক্ত কলেজের প্রবেশপত্র ফি নগদে গ্রহণ ও লেনদেনে অস্বচ্ছতাসহ অনিয়মের অনেকগুলো অভিযোগ উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাহালুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ গড়িয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পর্যন্ত। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে চিঠি দিয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের বিষয়ে তথ্য চেয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রবীর কুমার সরকার ও হিসাব পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. সাইফুল ইসলাম দুদকের চিঠির জবাবও দিয়েছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবন থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, বেশ কয়েক বছর আগে অধিভুক্ত কলেজগুলোর কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ৫৩ জনকে মৌখিকভাবে নিয়োগ দেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী লোকবল নিয়োগের ক্ষেত্রে বিজ্ঞপ্তি দিতে হয় এবং সিন্ডিকেট গঠিত সিলেকশন কমিটির দ্বারা ভাইভা পরীক্ষার মাধ্যমে বাছাই শেষে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। কিন্তু এই ৫৩ কর্মচারীর নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো বিধি মানা হয়নি। এ জন্য এসব কর্মচারীর বেতন দেওয়া হয় রসিদ ছাড়াই নগদে।

জানা যায়, পুরোনো কাগজ, ফরম ও বিভিন্ন পুরোনো পণ্য বিক্রির টাকা হিসাব বিভাগের পরিচালক বরাবর জমা না দিয়ে নিজের কাছে ‘সিন্দুকে’ রেখে দেন বাহালুল হক চৌধুরী। সেখান থেকেই নিয়োগপ্রাপ্ত ৫৩ জন কর্মচারীর বেতন দেন তিনি।

অস্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্তদের বিষয়ে হিসাব পরিচালকের দপ্তরে তথ্য চাওয়া হলে সেখানকার এক কর্মকর্তা জানান, অস্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্তদের বেতন-ভাতাসংশ্লিষ্ট কোনো তথ্য হিসাব পরিচালকের দপ্তরে নেই।

এ বিষয়ে দুদকের তথ্য চাওয়ার জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের অফিসের সংস্থাপন শাখায় কোনো অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী নেই।

সংস্থাপন শাখার সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি বোধগম্য নয়।

তবে অস্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্তদের নাম-ঠিকানাসহ বিস্তারিত যে তথ্যবিবরণী আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে, তাতে দেখা গেছে, অস্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্তদের কোনো পদ উল্লেখ করা হয়নি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাদানকল্প কলেজ তথা মেডিকেল কলেজ, নার্সিং কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ ও আয়ুর্বেদিক হোমিও কলেজের পরীক্ষার ফরম বিক্রির টাকাতেও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে।

বাহালুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি কলেজগুলো থেকে প্রতিটি প্রবেশপত্র বাবদ ১০০ টাকা করে নগদ নেন। এসব টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে সিন্দুকে রেখে নিজের ইচ্ছামতো খরচ করেন। অথচ ২০২০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের সঙ্গে নগদ লেনদেন বন্ধ করে কলেজ প্রশাসনের মাধ্যমে ‘অ্যাকাউন্ট পে’ সিস্টেম চালু করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এ বিষয়ে দুদকের চিঠির জবাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলেছে, নিয়ম অনুযায়ী ওই সকল আবেদন ফরমের টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়। ১৯ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে নম্বরপত্র ও সনদের আবেদন ফরম বিক্রির টাকা এবং ফি জমাসহ অন্যান্য কার্যক্রম অনলাইনে সম্পন্ন হয়।

এ ছাড়া ট্রান্সক্রিপ্ট উত্তোলনের ফি বৃদ্ধি করায় ২০২২ সালের ২৮ জুনের পর থেকে ট্রান্সক্রিপ্টের আবেদন ফরম ৫০ টাকার পরিবর্তে বিনা মূল্যে অনলাইনে এবং কিছু ক্ষেত্রে অফলাইনে প্রদান করা হয় বলেও চিঠির জবাবে উল্লেখ করা হয়।

রেজিস্ট্রার ভবন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, পরীক্ষার পুরোনো খাতা ও কাগজপত্র বিক্রির ক্ষেত্রে পছন্দের ঠিকাদারের কাছে কম টাকায় বিক্রি করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।

ভাই-ভাই ট্রেডার্স নামে এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পুরোনো কাগজ বাজারদর অনুযায়ী ৩৫ টাকায় কিনতে চেয়েছিল। কিন্তু মো. বাহালুল হক চৌধুরী তা আনজুম ট্রেডার্সের কাছে ২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে বিক্রি করেন।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে ওঠা এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি কোনো অনিয়ম করিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। উপাচার্য মহোদয়ের কনসার্নে অধিভুক্ত কলেজগুলোর কাজ সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে লোকবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’

পুরোনো কাগজপত্র বিক্রির বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, ‘অনেক আগের বিষয়। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থ নিয়ে কাজ করেছি। সে সময়ের সর্বোচ্চ ধরে বিক্রি করেছি।’ আর্থিক অনিয়মের বিষয়কে মিথ্যা অভিযোগ বলে মন্তব্য করেন বাহালুল হক চৌধুরী।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রথাগতভাবে নগদ টাকা গ্রহণ চলে আসছিল। নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে নগদে টাকা গ্রহণের প্রথা বন্ধ করতে নির্দেশ প্রদান করি। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে রেজিস্ট্রার একটি চিঠিও দিয়েছে। এখন আর নগদে টাকা গ্রহণ করার সুযোগ নেই। বেশ কয়েকটি অভিযোগের বিষয়ে আমি অবগত হয়েছি। যাচাই-বাছাই ও তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের এসব অনিয়ম ও সম্পদের হিসাব তলবে নেমেছে দুদক। দুদক অফিসের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের বিষয়ে আমাদের দপ্তরে অভিযোগ দিলে আমরা যাচাই-বাছাই করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে চিঠি পাঠাই। তারা তার উত্তরও দিয়েছে।’

বিষয়টি স্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রবীর কুমার সরকার বলেন, ‘দুদক আমাদের কাছে যে তথ্যগুলো চেয়েছে, তা আমরা প্রমাণাদি সংযুক্ত করে জমা দিয়েছি।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

নিয়মের ধার ধারেন না পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক

ফাইল ছবি

ফারুক ছিদ্দিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

মৌখিকভাবে ৫৩ জনকে নিয়োগ, বাজারদরের চেয়ে কম দামে পছন্দের ব্যক্তির কাছে পুরোনো কাগজ বিক্রি, অধিভুক্ত কলেজের প্রবেশপত্র ফি নগদে গ্রহণ ও লেনদেনে অস্বচ্ছতাসহ অনিয়মের অনেকগুলো অভিযোগ উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাহালুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ গড়িয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পর্যন্ত। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে চিঠি দিয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের বিষয়ে তথ্য চেয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রবীর কুমার সরকার ও হিসাব পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. সাইফুল ইসলাম দুদকের চিঠির জবাবও দিয়েছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবন থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, বেশ কয়েক বছর আগে অধিভুক্ত কলেজগুলোর কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ৫৩ জনকে মৌখিকভাবে নিয়োগ দেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী লোকবল নিয়োগের ক্ষেত্রে বিজ্ঞপ্তি দিতে হয় এবং সিন্ডিকেট গঠিত সিলেকশন কমিটির দ্বারা ভাইভা পরীক্ষার মাধ্যমে বাছাই শেষে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। কিন্তু এই ৫৩ কর্মচারীর নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো বিধি মানা হয়নি। এ জন্য এসব কর্মচারীর বেতন দেওয়া হয় রসিদ ছাড়াই নগদে।

জানা যায়, পুরোনো কাগজ, ফরম ও বিভিন্ন পুরোনো পণ্য বিক্রির টাকা হিসাব বিভাগের পরিচালক বরাবর জমা না দিয়ে নিজের কাছে ‘সিন্দুকে’ রেখে দেন বাহালুল হক চৌধুরী। সেখান থেকেই নিয়োগপ্রাপ্ত ৫৩ জন কর্মচারীর বেতন দেন তিনি।

অস্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্তদের বিষয়ে হিসাব পরিচালকের দপ্তরে তথ্য চাওয়া হলে সেখানকার এক কর্মকর্তা জানান, অস্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্তদের বেতন-ভাতাসংশ্লিষ্ট কোনো তথ্য হিসাব পরিচালকের দপ্তরে নেই।

এ বিষয়ে দুদকের তথ্য চাওয়ার জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের অফিসের সংস্থাপন শাখায় কোনো অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী নেই।

সংস্থাপন শাখার সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি বোধগম্য নয়।

তবে অস্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্তদের নাম-ঠিকানাসহ বিস্তারিত যে তথ্যবিবরণী আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে, তাতে দেখা গেছে, অস্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্তদের কোনো পদ উল্লেখ করা হয়নি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাদানকল্প কলেজ তথা মেডিকেল কলেজ, নার্সিং কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ ও আয়ুর্বেদিক হোমিও কলেজের পরীক্ষার ফরম বিক্রির টাকাতেও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে।

বাহালুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি কলেজগুলো থেকে প্রতিটি প্রবেশপত্র বাবদ ১০০ টাকা করে নগদ নেন। এসব টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে সিন্দুকে রেখে নিজের ইচ্ছামতো খরচ করেন। অথচ ২০২০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের সঙ্গে নগদ লেনদেন বন্ধ করে কলেজ প্রশাসনের মাধ্যমে ‘অ্যাকাউন্ট পে’ সিস্টেম চালু করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এ বিষয়ে দুদকের চিঠির জবাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলেছে, নিয়ম অনুযায়ী ওই সকল আবেদন ফরমের টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়। ১৯ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে নম্বরপত্র ও সনদের আবেদন ফরম বিক্রির টাকা এবং ফি জমাসহ অন্যান্য কার্যক্রম অনলাইনে সম্পন্ন হয়।

এ ছাড়া ট্রান্সক্রিপ্ট উত্তোলনের ফি বৃদ্ধি করায় ২০২২ সালের ২৮ জুনের পর থেকে ট্রান্সক্রিপ্টের আবেদন ফরম ৫০ টাকার পরিবর্তে বিনা মূল্যে অনলাইনে এবং কিছু ক্ষেত্রে অফলাইনে প্রদান করা হয় বলেও চিঠির জবাবে উল্লেখ করা হয়।

রেজিস্ট্রার ভবন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, পরীক্ষার পুরোনো খাতা ও কাগজপত্র বিক্রির ক্ষেত্রে পছন্দের ঠিকাদারের কাছে কম টাকায় বিক্রি করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।

ভাই-ভাই ট্রেডার্স নামে এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পুরোনো কাগজ বাজারদর অনুযায়ী ৩৫ টাকায় কিনতে চেয়েছিল। কিন্তু মো. বাহালুল হক চৌধুরী তা আনজুম ট্রেডার্সের কাছে ২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে বিক্রি করেন।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে ওঠা এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি কোনো অনিয়ম করিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। উপাচার্য মহোদয়ের কনসার্নে অধিভুক্ত কলেজগুলোর কাজ সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে লোকবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’

পুরোনো কাগজপত্র বিক্রির বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, ‘অনেক আগের বিষয়। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থ নিয়ে কাজ করেছি। সে সময়ের সর্বোচ্চ ধরে বিক্রি করেছি।’ আর্থিক অনিয়মের বিষয়কে মিথ্যা অভিযোগ বলে মন্তব্য করেন বাহালুল হক চৌধুরী।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রথাগতভাবে নগদ টাকা গ্রহণ চলে আসছিল। নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে নগদে টাকা গ্রহণের প্রথা বন্ধ করতে নির্দেশ প্রদান করি। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে রেজিস্ট্রার একটি চিঠিও দিয়েছে। এখন আর নগদে টাকা গ্রহণ করার সুযোগ নেই। বেশ কয়েকটি অভিযোগের বিষয়ে আমি অবগত হয়েছি। যাচাই-বাছাই ও তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের এসব অনিয়ম ও সম্পদের হিসাব তলবে নেমেছে দুদক। দুদক অফিসের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের বিষয়ে আমাদের দপ্তরে অভিযোগ দিলে আমরা যাচাই-বাছাই করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে চিঠি পাঠাই। তারা তার উত্তরও দিয়েছে।’

বিষয়টি স্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রবীর কুমার সরকার বলেন, ‘দুদক আমাদের কাছে যে তথ্যগুলো চেয়েছে, তা আমরা প্রমাণাদি সংযুক্ত করে জমা দিয়েছি।’