নোবেল পেলেন ৩ অর্থনীতিবিদ

অর্থনৈতিক সংকটে ব্যাংকের ভূমিকা নিয়ে গবেষণা

রূপান্তর ডেস্ক

অর্থনীতিতে বিশেষ করে অর্থনৈতিক সংকটের সময় ব্যাংকের ভূমিকা স্পষ্ট করার গবেষণার স্বীকৃতি হিসেবে এবার অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের তিন অর্থনীতিবিদ। এরা হলেন বেন শালোম বেরন্যানকে, ডগলাস ওয়ারেন ডায়মন্ড এবং ফিলিপ হলেন ডিবভিগ।

রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস গতকাল সোমবার ২০২২ সালে অর্থনীতিতে নোবেলজয়ী হিসেবে তাদের নাম ঘোষণা করে।

ব্যাংক প্রয়োজনীয়তা, ব্যাংকের তারল্য নিরাপত্তা ও কার্যক্রম গতিশীল রাখা এবং ব্যাংকের পতনজনিত কারণে অর্থনৈতিক সংকট এ সবই মূলত আধুনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত গবেষণার মূল বিষয়বস্তু। বেন এস বেরন্যানকে, ডগলাস ডব্লিউ ডায়মন্ড এবং ফিলিপ এইচ ডিবভিগ আধুনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত গবেষণার অন্যতম পথিকৃৎ। নোবেল কমিটি মনে করে, আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক বাজার পর্যবেক্ষণ ও অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলার ক্ষেত্রে তাদের বিশ্লেষণ ব্যবহারিক ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে সক্ষম।

তাদের গবেষণা অনুযায়ী, যেকোনো বাণিজ্যিক ব্যাংককে প্রথমেই যে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয় তা হলো সঞ্চয়কারী যেকোনো সময় তার টাকা ব্যাংক থেকে তুলে নিতে পারেন। আবার ব্যবসায়ী ও অন্যান্য বিনিয়োগকারীরা ঋণ নেওয়ার পর যে সময়ের মধ্যে তা শোধ করার অঙ্গীকার করেন, সেই সময় আসার আগ পর্যন্ত তাদের চাপও দেওয়া যায় না। এ অবস্থায় যদি কোনো বিশেষ সময়ে ব্যাংকের আমানতকারীরা গণহারে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নেয় তখন গুরুতর ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। এই পরিস্থিতে ব্যাংকটি ধসে পড়ার ঝুঁকিতে পড়ে।

ডগলাস ডব্লিউ ডায়মন্ড এবং ফিলিপ এইচ ডিবভিগ তাদের গবেষণায় এই চ্যালেঞ্জের সর্বোত্তম সমাধান নির্দেশ করতে পেরেছেন বলে মনে করে নোবেল কমিটি। তাদের গবেষণা বলছে, চরম সংকটে পড়লে সর্বশেষ উৎস হিসেবে সরকারের তরফ থেকে তহবিল দেওয়া হবে এমন নিশ্চয়তা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করবে।

আর বেরন্যানকে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ১৯৩০ সালের বৈশ্বিক মহামন্দা নিয়ে মৌলিক গবেষণার জন্য। আধুনিক ইতিহাসে ১৯৩০ সালের মহামন্দাকে সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট বলে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অর্থনৈতিক সংকট চলাকালে ব্যাংকের সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ কীভাবে সেই সংকট থেকে উত্তরণের পথ দেখাতে পারে, সে বিষয়েও গবেষণা রয়েছে তার।

১৯০১ সালে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়। পরে ১৯৬৮ সালে সুইডেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ভেরিজ রিক্সব্যাংক অর্থনীতিতে পুরস্কার প্রবর্তন করে। পরের বছর থেকে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া শুরু করে।

সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের সম্মানে এই পুরস্কারের পুরো নাম রাখা হয় ‘আলফ্রেড নোবেলের স্মৃতি রক্ষার্থে অর্থনীতিতে ভেরিজ রিক্সব্যাংক পুরস্কার।’

নোবেল পেলেন ৩ অর্থনীতিবিদ

অর্থনৈতিক সংকটে ব্যাংকের ভূমিকা নিয়ে গবেষণা

রূপান্তর ডেস্ক

অর্থনীতিতে বিশেষ করে অর্থনৈতিক সংকটের সময় ব্যাংকের ভূমিকা স্পষ্ট করার গবেষণার স্বীকৃতি হিসেবে এবার অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের তিন অর্থনীতিবিদ। এরা হলেন বেন শালোম বেরন্যানকে, ডগলাস ওয়ারেন ডায়মন্ড এবং ফিলিপ হলেন ডিবভিগ।

রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস গতকাল সোমবার ২০২২ সালে অর্থনীতিতে নোবেলজয়ী হিসেবে তাদের নাম ঘোষণা করে।

ব্যাংক প্রয়োজনীয়তা, ব্যাংকের তারল্য নিরাপত্তা ও কার্যক্রম গতিশীল রাখা এবং ব্যাংকের পতনজনিত কারণে অর্থনৈতিক সংকট এ সবই মূলত আধুনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত গবেষণার মূল বিষয়বস্তু। বেন এস বেরন্যানকে, ডগলাস ডব্লিউ ডায়মন্ড এবং ফিলিপ এইচ ডিবভিগ আধুনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত গবেষণার অন্যতম পথিকৃৎ। নোবেল কমিটি মনে করে, আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক বাজার পর্যবেক্ষণ ও অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলার ক্ষেত্রে তাদের বিশ্লেষণ ব্যবহারিক ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে সক্ষম।

তাদের গবেষণা অনুযায়ী, যেকোনো বাণিজ্যিক ব্যাংককে প্রথমেই যে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয় তা হলো সঞ্চয়কারী যেকোনো সময় তার টাকা ব্যাংক থেকে তুলে নিতে পারেন। আবার ব্যবসায়ী ও অন্যান্য বিনিয়োগকারীরা ঋণ নেওয়ার পর যে সময়ের মধ্যে তা শোধ করার অঙ্গীকার করেন, সেই সময় আসার আগ পর্যন্ত তাদের চাপও দেওয়া যায় না। এ অবস্থায় যদি কোনো বিশেষ সময়ে ব্যাংকের আমানতকারীরা গণহারে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নেয় তখন গুরুতর ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। এই পরিস্থিতে ব্যাংকটি ধসে পড়ার ঝুঁকিতে পড়ে।

ডগলাস ডব্লিউ ডায়মন্ড এবং ফিলিপ এইচ ডিবভিগ তাদের গবেষণায় এই চ্যালেঞ্জের সর্বোত্তম সমাধান নির্দেশ করতে পেরেছেন বলে মনে করে নোবেল কমিটি। তাদের গবেষণা বলছে, চরম সংকটে পড়লে সর্বশেষ উৎস হিসেবে সরকারের তরফ থেকে তহবিল দেওয়া হবে এমন নিশ্চয়তা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করবে।

আর বেরন্যানকে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ১৯৩০ সালের বৈশ্বিক মহামন্দা নিয়ে মৌলিক গবেষণার জন্য। আধুনিক ইতিহাসে ১৯৩০ সালের মহামন্দাকে সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট বলে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অর্থনৈতিক সংকট চলাকালে ব্যাংকের সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ কীভাবে সেই সংকট থেকে উত্তরণের পথ দেখাতে পারে, সে বিষয়েও গবেষণা রয়েছে তার।

১৯০১ সালে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়। পরে ১৯৬৮ সালে সুইডেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ভেরিজ রিক্সব্যাংক অর্থনীতিতে পুরস্কার প্রবর্তন করে। পরের বছর থেকে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া শুরু করে।

সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের সম্মানে এই পুরস্কারের পুরো নাম রাখা হয় ‘আলফ্রেড নোবেলের স্মৃতি রক্ষার্থে অর্থনীতিতে ভেরিজ রিক্সব্যাংক পুরস্কার।’