পরামর্শ: ইসিই প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য

মো. মাহমুদুল আরিফ

ছবি: সংগৃহীত

ইইই ও সিএসই—এ দুটি বিষয়ের সমন্বয়ই হলো ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং। এখানে ইলেকট্রনিকস, প্রোগ্রামিং, সি/সি++, জাভা, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডেটা স্ট্রাকচার অ্যান্ড অ্যালগরিদম, সার্কিট ডিজাইন, সিগন্যাল, ডিজিটাল অ্যান্ড অ্যানালগ কমিউনিকেশন সিস্টেম, কম্পিউটার কমিউনিকেশন, এইচটিএমএল, ডিজিটাল সিগন্যাল প্রোসেসিং, মাইক্রো প্রোসেসর অ্যান্ড মাইক্রো কম্পিউটার, ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন, স্যাটেলাইট ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি কোর্স পড়ানো হয়।

প্রথম বর্ষের সিলেবাস
প্রথম বর্ষে নন ডিপার্টমেন্টাল কোর্স পড়ানো হয়। দুই সেমিস্টার মিলে পড়ানো হয় ৪টা ডিপার্টমেন্টাল কোর্স। বেসিক ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রনিকস ২, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং অ্যান্ড নিউমারিক্যাল অ্যানালাইসিস, ফান্ডামেন্টাল অব ইলেকট্রিক্যাল মেশিন হলো ডিপার্টমেন্টাল কোর্স। নন ডিপার্টমেন্টাল হিসেবে পদার্থ, রসায়ন, গণিত, কলা—এগুলো পড়ানো হয়। এ বিষয়গুলোতে অনেক কিছু আমরা এইচএসসির সিলেবাসের সঙ্গে মিল পাই। আলাদা করে প্রস্তুতির কিছু নেই। যে যে কোর্স আসবে, সেগুলোর সিলেবাস অনুযায়ী স্যাররা পড়াবেন। আর সেই টপিকগুলো ভালোভাবে বুঝতে হবে।

ক্লাস না বুঝলে
ক্লাসে পড়া না বুঝলে ইউটিউবেও ভিডিও দেখে নিতে পারবে। শুধু যে সিলেবাসের পড়াই পড়তে হবে, এমনটি নয়। ওই নির্দিষ্ট কোর্সে ভালো কিছু শিখতে চাইলে ইউটিউবে ভিডিও দেখার পাশাপাশি রেফারেন্স বই কিংবা গবেষণা নিবন্ধ ঘাঁটাঘাঁটিও করতে পারো। প্রোগ্রামিং কেউ শুধু সিলেবাস পড়লে হয়তো পরীক্ষায় ভালো করতে পারবে। কিন্তু আলাদা শ্রম না দিলে বেশি কিছু জিনিস শেখা যাবে না। আমি আমার পড়ার পলিসিটাই তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করছি। অনেকের হয়তো ভিন্ন ভিন্ন কৌশল থাকতে পারে। যেমন কেউ পরীক্ষার আগের অল্প কয়েক দিন পড়েই ভালো ফলাফল করে। আবার কেউ প্রথম থেকে পড়েও ভালো করতে পারে না।

ফাইনাল পরীক্ষার আগে
ফাইনাল পরীক্ষার আগে কয়েক দিনের একটা বন্ধ থাকে। এই সময়টাতে যতটা নিজেকে প্রস্তুত করবে, পরীক্ষায় ততটাই ভালো ফলাফল করবে। প্রতিদিনের পড়া নিয়মিত শেষ করতে হবে। ভালো ফলাফলের পূর্বশর্তই হলো নিয়মিত পড়াশোনা করা। আবার ক্লাস টেস্ট যখন হবে, তখন একবার পড়া হবে। পরীক্ষার আগেও আবার পড়া হবে। এতে করে একই টপিক অনেকবার পড়া হয়ে যাবে। সুতরাং ভালো ফলাফল আসবেই। তখন পরীক্ষায় ভুল হওয়ার সুযোগ কম থাকে। কিন্তু কেউ যদি পরীক্ষার আগের রাতে পড়ে ভালো ফলাফল আশা করে, তাহলে তো হবে না।

কীভাবে ভালো সিজিপিএ আসবে?
প্রথমেই বলেছি যে নিয়মিত পড়া উচিত। এরপর ক্লাস লেকচারগুলো হুবহু খাতায় নোট করতে হবে। একটা শব্দও যাতে বাদ না পড়ে। সম্ভব হলে সপ্তাহের পড়া সপ্তাহেই শেষ করতে হবে। যদি তা না পারো, তবে সুন্দর করে খাতায় নোট করে ফেলো। যখন কোনো একটা অধ্যায় পুরোপুরি শেষ হবে, তখন সেই অধ্যায়ে বিগত বছরের যেসব প্রশ্ন এসেছে, সেগুলো সমাধান করো। এতে করে পরীক্ষার আগের দিন খোঁজা লাগবে না যে কোন প্রশ্নের উত্তর কোথায় আছে। বিশ্ববিদ্যালয় লেভেলে স্যাররা অতটা সৃজনশীল প্রশ্ন করেন না। তাই ক্লাস লেকচার ও রেফারেন্স বই যথেষ্ট। এইচএসসির পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রথম বর্ষে তোমার হয়তো সবকিছুর সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিতে কষ্ট হবে। কিন্তু একবার বুঝে উঠতে পারলেই তুমি সফল।

মো. মাহমুদুল আরিফ, দ্বিতীয় বর্ষ, (১ম স্থান) ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, চুয়েট, চট্টগ্রাম

অনুলিখন: জুবায়ের আহম্মেদ

পরামর্শ: ইসিই প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য

মো. মাহমুদুল আরিফ

ছবি: সংগৃহীত

ইইই ও সিএসই—এ দুটি বিষয়ের সমন্বয়ই হলো ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং। এখানে ইলেকট্রনিকস, প্রোগ্রামিং, সি/সি++, জাভা, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডেটা স্ট্রাকচার অ্যান্ড অ্যালগরিদম, সার্কিট ডিজাইন, সিগন্যাল, ডিজিটাল অ্যান্ড অ্যানালগ কমিউনিকেশন সিস্টেম, কম্পিউটার কমিউনিকেশন, এইচটিএমএল, ডিজিটাল সিগন্যাল প্রোসেসিং, মাইক্রো প্রোসেসর অ্যান্ড মাইক্রো কম্পিউটার, ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন, স্যাটেলাইট ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি কোর্স পড়ানো হয়।

প্রথম বর্ষের সিলেবাস
প্রথম বর্ষে নন ডিপার্টমেন্টাল কোর্স পড়ানো হয়। দুই সেমিস্টার মিলে পড়ানো হয় ৪টা ডিপার্টমেন্টাল কোর্স। বেসিক ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রনিকস ২, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং অ্যান্ড নিউমারিক্যাল অ্যানালাইসিস, ফান্ডামেন্টাল অব ইলেকট্রিক্যাল মেশিন হলো ডিপার্টমেন্টাল কোর্স। নন ডিপার্টমেন্টাল হিসেবে পদার্থ, রসায়ন, গণিত, কলা—এগুলো পড়ানো হয়। এ বিষয়গুলোতে অনেক কিছু আমরা এইচএসসির সিলেবাসের সঙ্গে মিল পাই। আলাদা করে প্রস্তুতির কিছু নেই। যে যে কোর্স আসবে, সেগুলোর সিলেবাস অনুযায়ী স্যাররা পড়াবেন। আর সেই টপিকগুলো ভালোভাবে বুঝতে হবে।

ক্লাস না বুঝলে
ক্লাসে পড়া না বুঝলে ইউটিউবেও ভিডিও দেখে নিতে পারবে। শুধু যে সিলেবাসের পড়াই পড়তে হবে, এমনটি নয়। ওই নির্দিষ্ট কোর্সে ভালো কিছু শিখতে চাইলে ইউটিউবে ভিডিও দেখার পাশাপাশি রেফারেন্স বই কিংবা গবেষণা নিবন্ধ ঘাঁটাঘাঁটিও করতে পারো। প্রোগ্রামিং কেউ শুধু সিলেবাস পড়লে হয়তো পরীক্ষায় ভালো করতে পারবে। কিন্তু আলাদা শ্রম না দিলে বেশি কিছু জিনিস শেখা যাবে না। আমি আমার পড়ার পলিসিটাই তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করছি। অনেকের হয়তো ভিন্ন ভিন্ন কৌশল থাকতে পারে। যেমন কেউ পরীক্ষার আগের অল্প কয়েক দিন পড়েই ভালো ফলাফল করে। আবার কেউ প্রথম থেকে পড়েও ভালো করতে পারে না।

ফাইনাল পরীক্ষার আগে
ফাইনাল পরীক্ষার আগে কয়েক দিনের একটা বন্ধ থাকে। এই সময়টাতে যতটা নিজেকে প্রস্তুত করবে, পরীক্ষায় ততটাই ভালো ফলাফল করবে। প্রতিদিনের পড়া নিয়মিত শেষ করতে হবে। ভালো ফলাফলের পূর্বশর্তই হলো নিয়মিত পড়াশোনা করা। আবার ক্লাস টেস্ট যখন হবে, তখন একবার পড়া হবে। পরীক্ষার আগেও আবার পড়া হবে। এতে করে একই টপিক অনেকবার পড়া হয়ে যাবে। সুতরাং ভালো ফলাফল আসবেই। তখন পরীক্ষায় ভুল হওয়ার সুযোগ কম থাকে। কিন্তু কেউ যদি পরীক্ষার আগের রাতে পড়ে ভালো ফলাফল আশা করে, তাহলে তো হবে না।

কীভাবে ভালো সিজিপিএ আসবে?
প্রথমেই বলেছি যে নিয়মিত পড়া উচিত। এরপর ক্লাস লেকচারগুলো হুবহু খাতায় নোট করতে হবে। একটা শব্দও যাতে বাদ না পড়ে। সম্ভব হলে সপ্তাহের পড়া সপ্তাহেই শেষ করতে হবে। যদি তা না পারো, তবে সুন্দর করে খাতায় নোট করে ফেলো। যখন কোনো একটা অধ্যায় পুরোপুরি শেষ হবে, তখন সেই অধ্যায়ে বিগত বছরের যেসব প্রশ্ন এসেছে, সেগুলো সমাধান করো। এতে করে পরীক্ষার আগের দিন খোঁজা লাগবে না যে কোন প্রশ্নের উত্তর কোথায় আছে। বিশ্ববিদ্যালয় লেভেলে স্যাররা অতটা সৃজনশীল প্রশ্ন করেন না। তাই ক্লাস লেকচার ও রেফারেন্স বই যথেষ্ট। এইচএসসির পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রথম বর্ষে তোমার হয়তো সবকিছুর সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিতে কষ্ট হবে। কিন্তু একবার বুঝে উঠতে পারলেই তুমি সফল।

মো. মাহমুদুল আরিফ, দ্বিতীয় বর্ষ, (১ম স্থান) ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, চুয়েট, চট্টগ্রাম

অনুলিখন: জুবায়ের আহম্মেদ