প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলির শর্ত শিথিল, আবেদনের সময় বাড়ানোর দাবি

বিশেষ প্রতিনিধি

ফাইল ছবি

অবশেষে শিক্ষকদের দাবির মুখে প্রাথমিকের বদলি নীতিমালা সংশোধন করা হয়েছে। বদলির শর্তের ৩.৩ ধারা শিথিল করেছে সরকার। বেশিরভাগ ধারাই সংশোধন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

দীর্ঘ তিন বছর বন্ধ থাকার পর গত ১৫ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলি চালু হলেও সমন্বিত বদলি নীতিমালা-২০২২-এর বেশিরভাগ ধারায় জটিলতা থাকায় প্রায় ৯০ শতাংশ শিক্ষক আবেদনই করতে পারেননি। ২ দফা আবেদনের সময় বাড়ানোর পর আবেদনের সংখ্যা না বাড়ায় ও শিক্ষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নীতিমালা সংশোধন করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল ধারা ৩.৩

এই ধারায় পাঁচজনের কম সংখ্যক শিক্ষক বিশিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা আবেদনের সুযোগ পাননি। এছাড়া শিক্ষক-ছাত্র অনুপাত ১ঃ৪০ শর্তের কারণে পাঁচজনের বেশি শিক্ষক কর্মরত এমন বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরাও বদলির আবেদনে ব্যর্থ হন। এ নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং অনেক শিক্ষক সমকাল পত্রিকার অফিসে ফোন করে তাদের ক্ষোভের কথা জানান। পরে ‘প্রাথমিক শিক্ষকদের গলার কাঁটা বদলি নীতিমালা’ শিরোনামে সমকাল পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। অবশেষে আজ সোমবার (১৭ অক্টোবর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বেশিরভাগ ধারাই সংশোধন করে আদেশ জারি করল।

সংশোধিত ধারা মতে, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত ১ঃ৪০ থাকার ধারা শিথিল করে দুই শিফটের বিদ্যালয়ের প্রথম -দ্বিতীয় এবং তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম শ্রেণির মধ্যে যে শিফটে শিক্ষার্থী সংখ্যা বেশি, সেই শিফটের শিক্ষার্থী হিসেব করে ১ঃ৪০ নির্ধারণ করা হবে।

সংশোধিত নীতিমালা অনুসারে চারজন শিক্ষক বিশিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ক্ষেত্রে শিক্ষক বদলি আবেদন করতে পারবেন এবং তা কার্যকর হবে ওই বিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষক পদায়ন হওয়ার পর অথবা শিক্ষক প্রতিস্থাপন সাপেক্ষে।

এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় বদলির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশের শর্তও শিথিল করা হয়েছে, অর্থাৎ স্বামী-স্ত্রীর ঠিকানা, বিধবা বা ডিভোর্সের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশের আওতায় পড়বেন না সংশ্লিষ্ট শিক্ষকেরা।

বর্তমান সংশোধিত নীতিমালার ফলে বেশিরভাগ শিক্ষক কোনো ঝামেলা ছাড়া বদলি হতে পারবেন। তবে পূর্বের নীতিমালায় থাকা স্বামী-স্ত্রী বেসরকারি চাকরিজীবী হলে বদলির যে সুযোগ ছিল তা সমন্বিত বদলি নীতিমালা বা সংশোধিত নীতিমালায় রাখা হয়নি। এতে কিছু কিছু শিক্ষকের বদলির ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে।

সংশোধিত নীতিমালাকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ সমকালকে বলেন, ‘কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই, বদলি নীতিমালা সংশোধনের জন্য। এখন বেশিরভাগ শিক্ষক বদলির আবেদন করতে পারবেন। স্বামীর বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রে নারী শিক্ষকদের বদলির সুযোগ দিলে সব সমস্যাই সমাধান হবে। জানুয়ারির পূর্বে আবারও বদলির আবেদনের সুযোগ প্রদানের দাবি জানাই।’

প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলির শর্ত শিথিল, আবেদনের সময় বাড়ানোর দাবি

বিশেষ প্রতিনিধি

ফাইল ছবি

অবশেষে শিক্ষকদের দাবির মুখে প্রাথমিকের বদলি নীতিমালা সংশোধন করা হয়েছে। বদলির শর্তের ৩.৩ ধারা শিথিল করেছে সরকার। বেশিরভাগ ধারাই সংশোধন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

দীর্ঘ তিন বছর বন্ধ থাকার পর গত ১৫ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলি চালু হলেও সমন্বিত বদলি নীতিমালা-২০২২-এর বেশিরভাগ ধারায় জটিলতা থাকায় প্রায় ৯০ শতাংশ শিক্ষক আবেদনই করতে পারেননি। ২ দফা আবেদনের সময় বাড়ানোর পর আবেদনের সংখ্যা না বাড়ায় ও শিক্ষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নীতিমালা সংশোধন করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল ধারা ৩.৩

এই ধারায় পাঁচজনের কম সংখ্যক শিক্ষক বিশিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা আবেদনের সুযোগ পাননি। এছাড়া শিক্ষক-ছাত্র অনুপাত ১ঃ৪০ শর্তের কারণে পাঁচজনের বেশি শিক্ষক কর্মরত এমন বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরাও বদলির আবেদনে ব্যর্থ হন। এ নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং অনেক শিক্ষক সমকাল পত্রিকার অফিসে ফোন করে তাদের ক্ষোভের কথা জানান। পরে ‘প্রাথমিক শিক্ষকদের গলার কাঁটা বদলি নীতিমালা’ শিরোনামে সমকাল পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। অবশেষে আজ সোমবার (১৭ অক্টোবর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বেশিরভাগ ধারাই সংশোধন করে আদেশ জারি করল।

সংশোধিত ধারা মতে, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত ১ঃ৪০ থাকার ধারা শিথিল করে দুই শিফটের বিদ্যালয়ের প্রথম -দ্বিতীয় এবং তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম শ্রেণির মধ্যে যে শিফটে শিক্ষার্থী সংখ্যা বেশি, সেই শিফটের শিক্ষার্থী হিসেব করে ১ঃ৪০ নির্ধারণ করা হবে।

সংশোধিত নীতিমালা অনুসারে চারজন শিক্ষক বিশিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ক্ষেত্রে শিক্ষক বদলি আবেদন করতে পারবেন এবং তা কার্যকর হবে ওই বিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষক পদায়ন হওয়ার পর অথবা শিক্ষক প্রতিস্থাপন সাপেক্ষে।

এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় বদলির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশের শর্তও শিথিল করা হয়েছে, অর্থাৎ স্বামী-স্ত্রীর ঠিকানা, বিধবা বা ডিভোর্সের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশের আওতায় পড়বেন না সংশ্লিষ্ট শিক্ষকেরা।

বর্তমান সংশোধিত নীতিমালার ফলে বেশিরভাগ শিক্ষক কোনো ঝামেলা ছাড়া বদলি হতে পারবেন। তবে পূর্বের নীতিমালায় থাকা স্বামী-স্ত্রী বেসরকারি চাকরিজীবী হলে বদলির যে সুযোগ ছিল তা সমন্বিত বদলি নীতিমালা বা সংশোধিত নীতিমালায় রাখা হয়নি। এতে কিছু কিছু শিক্ষকের বদলির ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে।

সংশোধিত নীতিমালাকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ সমকালকে বলেন, ‘কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই, বদলি নীতিমালা সংশোধনের জন্য। এখন বেশিরভাগ শিক্ষক বদলির আবেদন করতে পারবেন। স্বামীর বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রে নারী শিক্ষকদের বদলির সুযোগ দিলে সব সমস্যাই সমাধান হবে। জানুয়ারির পূর্বে আবারও বদলির আবেদনের সুযোগ প্রদানের দাবি জানাই।’