পড়ার সময় যে অভ্যাসগুলো বর্জন করা উচিত

আলভি আহমেদ

প্রতীকী ছবি

পড়াশোনায় বিলম্ব করার কারণে অনেক শিক্ষার্থী আশানুরূপ ফলাফল করতে পারে না। অলসতায় দেরিতে পড়া শুরু করার কারণে পরীক্ষার আগে মানসিক চাপ নিয়ে তাড়াহুড়ো করে কোনোমতে পরীক্ষার দিনগুলো পার করা যায়। এতে করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে গিয়েও ব্যাপক সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা হয় এবং কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন বাধাপ্রাপ্ত হয়। চলো, আজ জেনে নেওয়া যাক, পড়াশোনার সময় যে অভ্যাসগুলো বর্জন করা উচিত।

অলসতা ও সময় অপচয়
শুধু পরীক্ষার আগে কিংবা বন্ধের দিনগুলোতে পড়েই ভালো ফলাফল করা সম্ভব নয়। এ সময়ে নতুন কোনো টপিক আয়ত্ত করা বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার, অনেকের ক্ষেত্রে প্রায় অসম্ভব। তাই রেগুলার পড়াশোনা না করে, বিরতি রেখে পরীক্ষার আগমুহূর্তের জন্য পড়া জমিয়ে রাখা মোটেও উচিত নয়।

একসঙ্গে অনেক কাজ
একটি কাজ ঠিকভাবে করার জন্য সম্পূর্ণ মনোযোগ সেটাতে দেওয়া প্রয়োজন। অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায়, পড়ার মাঝখানে সোশ্যাল মিডিয়ায় নোটিফিকেশন চেক করা, অযথা স্ক্রলিং, ইউটিউবে কোনো কারণ ছাড়াই সময় নষ্ট করার প্রবণতা থাকে। পড়ার মাঝখানে মাল্টিটাস্কিং করা যাবে না। কারণ, এভাবে মনোযোগ ধরে রাখা বেশ কঠিন।

লক্ষ্য ঠিক না করা
আসলে কেন পড়তে হবে, সেটা কী শুধু টাইম পাস করা নাকি ভালো গ্রেড পাওয়া এবং তোমার লক্ষ্য কী, তোমার অগ্রগতি কেমন হবে, সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, সেটা তোমাকেই ঠিক করে নিতে হবে। বলা হয়, একটি ভালো পরিকল্পনা একটি কাজের অর্ধেক। বিভিন্ন আঙ্গিকে পরিকল্পনা আমাদের পড়াশোনায় নতুন মাত্রা যোগ করে।

ঠিকমতো ক্লাস না করা
ক্লাস গ্যাপ দিলে যে সমস্যাটি হয়, সেটি হচ্ছে পড়াগুলোর ধারাবাহিকতা হারিয়ে যায়। একটি অধ্যায়ের বেশির ভাগ টপিকই সাধারণত কানেকটেড থাকে। ক্লাস মিস করলে দেখা যায় পরবর্তী ক্লাসে বুঝতে সমস্যা তো হয়ই, সঙ্গে কারও থেকে বুঝে নেওয়া বা ক্লাস লেকচার তুলে নিতেও একটা সময় নষ্ট হয়। এভাবে পড়াশোনা করলে বেসিক টপিকে সমস্যা থেকে যায়, যেটা পরে ভালো ফলাফলের অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।

একটানা দীর্ঘ সময় পড়া
একটানা দীর্ঘ সময় পড়াশোনা করলে প্রোডাকটিভিটি কমে যায়। ২৫ বা ৩০ মিনিট পড়ার পরে ৫ মিনিটের একটি বিরতি নেওয়া যেতে পারে। যে সময়টাকে পাওয়ার ন্যাপ নিয়েও কাজে লাগানো যায়। এতে মস্তিষ্ক বিশ্রাম পায় এবং পরে আবারও নতুন উদ্যমে পড়া শুরু করা যায়।

সমস্যা সমাধান না করা
ক্লাসে না বুঝলে কিংবা একটি অধ্যায় বা টপিকে সমস্যা রেখে দিয়ে পরবর্তী টপিকে বা অধ্যায়ে চলে যাওয়া উচিত নয়। এতে করে অধ্যায়ে বেশ ঘাটতি থেকে যায়।

পড়ার সময় এ অভ্যাসগুলো পরিহার করে এর পরিবর্তে ভালো অভ্যাসগুলো আয়ত্ত করা উচিত। এতে করে স্কিল বৃদ্ধি, আত্মবিশ্বাস, অনুপ্রেরণা পাওয়ার মাধ্যমে একাডেমিক পড়াশোনা, উচ্চশিক্ষা ও কর্মজীবনের পারফরম্যান্স উন্নতি হয় এবং লক্ষ্য অর্জনের পথে
আরও একধাপ এগিয়ে নিতে সাহায্য করে।

পড়ার সময় যে অভ্যাসগুলো বর্জন করা উচিত

আলভি আহমেদ

প্রতীকী ছবি

পড়াশোনায় বিলম্ব করার কারণে অনেক শিক্ষার্থী আশানুরূপ ফলাফল করতে পারে না। অলসতায় দেরিতে পড়া শুরু করার কারণে পরীক্ষার আগে মানসিক চাপ নিয়ে তাড়াহুড়ো করে কোনোমতে পরীক্ষার দিনগুলো পার করা যায়। এতে করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে গিয়েও ব্যাপক সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা হয় এবং কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন বাধাপ্রাপ্ত হয়। চলো, আজ জেনে নেওয়া যাক, পড়াশোনার সময় যে অভ্যাসগুলো বর্জন করা উচিত।

অলসতা ও সময় অপচয়
শুধু পরীক্ষার আগে কিংবা বন্ধের দিনগুলোতে পড়েই ভালো ফলাফল করা সম্ভব নয়। এ সময়ে নতুন কোনো টপিক আয়ত্ত করা বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার, অনেকের ক্ষেত্রে প্রায় অসম্ভব। তাই রেগুলার পড়াশোনা না করে, বিরতি রেখে পরীক্ষার আগমুহূর্তের জন্য পড়া জমিয়ে রাখা মোটেও উচিত নয়।

একসঙ্গে অনেক কাজ
একটি কাজ ঠিকভাবে করার জন্য সম্পূর্ণ মনোযোগ সেটাতে দেওয়া প্রয়োজন। অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায়, পড়ার মাঝখানে সোশ্যাল মিডিয়ায় নোটিফিকেশন চেক করা, অযথা স্ক্রলিং, ইউটিউবে কোনো কারণ ছাড়াই সময় নষ্ট করার প্রবণতা থাকে। পড়ার মাঝখানে মাল্টিটাস্কিং করা যাবে না। কারণ, এভাবে মনোযোগ ধরে রাখা বেশ কঠিন।

লক্ষ্য ঠিক না করা
আসলে কেন পড়তে হবে, সেটা কী শুধু টাইম পাস করা নাকি ভালো গ্রেড পাওয়া এবং তোমার লক্ষ্য কী, তোমার অগ্রগতি কেমন হবে, সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, সেটা তোমাকেই ঠিক করে নিতে হবে। বলা হয়, একটি ভালো পরিকল্পনা একটি কাজের অর্ধেক। বিভিন্ন আঙ্গিকে পরিকল্পনা আমাদের পড়াশোনায় নতুন মাত্রা যোগ করে।

ঠিকমতো ক্লাস না করা
ক্লাস গ্যাপ দিলে যে সমস্যাটি হয়, সেটি হচ্ছে পড়াগুলোর ধারাবাহিকতা হারিয়ে যায়। একটি অধ্যায়ের বেশির ভাগ টপিকই সাধারণত কানেকটেড থাকে। ক্লাস মিস করলে দেখা যায় পরবর্তী ক্লাসে বুঝতে সমস্যা তো হয়ই, সঙ্গে কারও থেকে বুঝে নেওয়া বা ক্লাস লেকচার তুলে নিতেও একটা সময় নষ্ট হয়। এভাবে পড়াশোনা করলে বেসিক টপিকে সমস্যা থেকে যায়, যেটা পরে ভালো ফলাফলের অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।

একটানা দীর্ঘ সময় পড়া
একটানা দীর্ঘ সময় পড়াশোনা করলে প্রোডাকটিভিটি কমে যায়। ২৫ বা ৩০ মিনিট পড়ার পরে ৫ মিনিটের একটি বিরতি নেওয়া যেতে পারে। যে সময়টাকে পাওয়ার ন্যাপ নিয়েও কাজে লাগানো যায়। এতে মস্তিষ্ক বিশ্রাম পায় এবং পরে আবারও নতুন উদ্যমে পড়া শুরু করা যায়।

সমস্যা সমাধান না করা
ক্লাসে না বুঝলে কিংবা একটি অধ্যায় বা টপিকে সমস্যা রেখে দিয়ে পরবর্তী টপিকে বা অধ্যায়ে চলে যাওয়া উচিত নয়। এতে করে অধ্যায়ে বেশ ঘাটতি থেকে যায়।

পড়ার সময় এ অভ্যাসগুলো পরিহার করে এর পরিবর্তে ভালো অভ্যাসগুলো আয়ত্ত করা উচিত। এতে করে স্কিল বৃদ্ধি, আত্মবিশ্বাস, অনুপ্রেরণা পাওয়ার মাধ্যমে একাডেমিক পড়াশোনা, উচ্চশিক্ষা ও কর্মজীবনের পারফরম্যান্স উন্নতি হয় এবং লক্ষ্য অর্জনের পথে
আরও একধাপ এগিয়ে নিতে সাহায্য করে।