বিসিএস ভাইভার আগে যা জানা জরুরি-১

লেখা: শাহ মো. সজীব
মডেল: রবিউল হাসান ও নাহিদা আহমেদছবি: সাবিনা ইয়াসমিন

বিসিএসের ভাইভা পরীক্ষায় যাওয়ার আগে কিছু বিষয় জানা থাকলে ভাইভা দেওয়া আরও সহজ হয়। ভাইভা পরীক্ষার জন্য নিজেকে ভালোভাবে প্রস্তুত করতে হবে। পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতির সুবিধার জন্য এমন কিছু দিক নিয়ে এই আয়োজন।

  • ক. বিগত কয়েকটি বিসিএসের ভাইভার অভিজ্ঞতার আলোকে বলা যায়, ভাইভা অনুষ্ঠানের ক্রম হলো প্রথমে সাধারণ ক্যাডার, তারপর বোথ ক্যাডার এবং শেষে কারিগরি ও পেশাগত ক্যাডার।
  • খ. ভাইভায় মোট নম্বর হলো ২০০ এবং এই নম্বরের মধ্যে কোনো উপবিভাগ নেই। ২০০ নম্বরের মধ্যে যদি আপনি শতকরা ৫০ ভাগ নম্বর মানে ১০০ পান, তবে পাস করেছেন। এতে ক্যাডার আসবে কি না, বলা যায় না। তবে নন-ক্যাডার লিস্টে নাম থাকবে, এটা নিশ্চিত! এতে পরে হয়তো অন্য কোনো সরকারি চাকরিতে আপনি সুপারিশকৃত হতে পারেন।
  • গ. সাধারণত নির্ধারিত দিনে সকাল ১০টায় ভাইভা শুরু হয়। আপনাকে ৩০ মিনিট আগে যেতে হবে। নিচতলার একটা বড় কক্ষে সবাইকে জড়ো করা হয়। তারপর অফিস সহায়ক এসে নির্দিষ্ট রেজিস্ট্রেশন ধরে কাঙ্ক্ষিত বোর্ডে নিয়ে যাবেন। এখানে মনে রাখা দরকার, বোর্ড সিলেকশন করা হয় এলোপাতাড়ি এবং ওই দিন সকালেই। সুতরাং কোনো ধরনের অসমতা হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আর সাধারণত প্রতি বোর্ডে ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদিন ভাইভা দেন।
  • ঘ. যাঁর বোর্ডে ভাইভা দেবেন, তাঁর অফিস সহকারী কক্ষে ঢোকার আগেই আপনার কাগজপত্র নিয়ে নেবেন। শুধু মূল কিছু সনদ নিয়ে আপনি ভেতরে যাবেন।
  • ঙ. বোর্ডের ধরন দুটি। একটি প্রেসিডেনশিয়াল এবং অন্যটি সাধারণ ভাইভা বোর্ড। প্রেসিডেনশিয়াল বোর্ডে পিএসসির চেয়ারম্যানসহ সব সদস্য থাকেন। এটা প্রথম কয়েক দিন চলে। আর সাধারণ বোর্ডে পিএসসির প্রত্যেক সদস্য চেয়ারম্যান হন ও দুজন বাইরের এক্সপার্ট থাকেন। অর্থাৎ, তিনজন মিলে বোর্ড গঠিত হয়।
  • চ. সাধারণ অর্থে মোট বোর্ড হয় ১৫টি। কারণ, চেয়ারম্যানসহ পিএসসির সদস্যসংখ্যা সর্বোচ্চ ১৫।
  • ছ. কারিগরি ও পেশাগত ক্যাডারের ভাইভার সময় সাধারণত সাবজেক্ট এক্সপার্ট থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেশি আমন্ত্রণ জানানো হয়। তাই প্রস্তুতি ভালো নিতে হবে।
  • জ. ২৭তম বিসিএস থেকে বোর্ডের সামনে আপনার লিখিত পরীক্ষার নম্বর থাকে না। অর্থাৎ, আপনাকে মূল্যায়ন করা হবে শুধু ২০০ নম্বরের ওপর। আগে কী করেছেন এবং ভবিষ্যতে কী করবেন, তা বিবেচ্য বিষয় না।
  • ঝ. আপনি বোর্ড থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নির্দিষ্ট স্থানে চেয়ারম্যান সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে নম্বর দিয়ে দেন। এটি পরে করা হয় না।

লেখক: প্রশাসন ক্যাডার (দ্বিতীয় স্থান), ৩৪তম বিসিএস।

বিসিএস ভাইভার আগে যা জানা জরুরি-১

লেখা: শাহ মো. সজীব
মডেল: রবিউল হাসান ও নাহিদা আহমেদছবি: সাবিনা ইয়াসমিন

বিসিএসের ভাইভা পরীক্ষায় যাওয়ার আগে কিছু বিষয় জানা থাকলে ভাইভা দেওয়া আরও সহজ হয়। ভাইভা পরীক্ষার জন্য নিজেকে ভালোভাবে প্রস্তুত করতে হবে। পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতির সুবিধার জন্য এমন কিছু দিক নিয়ে এই আয়োজন।

  • ক. বিগত কয়েকটি বিসিএসের ভাইভার অভিজ্ঞতার আলোকে বলা যায়, ভাইভা অনুষ্ঠানের ক্রম হলো প্রথমে সাধারণ ক্যাডার, তারপর বোথ ক্যাডার এবং শেষে কারিগরি ও পেশাগত ক্যাডার।
  • খ. ভাইভায় মোট নম্বর হলো ২০০ এবং এই নম্বরের মধ্যে কোনো উপবিভাগ নেই। ২০০ নম্বরের মধ্যে যদি আপনি শতকরা ৫০ ভাগ নম্বর মানে ১০০ পান, তবে পাস করেছেন। এতে ক্যাডার আসবে কি না, বলা যায় না। তবে নন-ক্যাডার লিস্টে নাম থাকবে, এটা নিশ্চিত! এতে পরে হয়তো অন্য কোনো সরকারি চাকরিতে আপনি সুপারিশকৃত হতে পারেন।
  • গ. সাধারণত নির্ধারিত দিনে সকাল ১০টায় ভাইভা শুরু হয়। আপনাকে ৩০ মিনিট আগে যেতে হবে। নিচতলার একটা বড় কক্ষে সবাইকে জড়ো করা হয়। তারপর অফিস সহায়ক এসে নির্দিষ্ট রেজিস্ট্রেশন ধরে কাঙ্ক্ষিত বোর্ডে নিয়ে যাবেন। এখানে মনে রাখা দরকার, বোর্ড সিলেকশন করা হয় এলোপাতাড়ি এবং ওই দিন সকালেই। সুতরাং কোনো ধরনের অসমতা হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আর সাধারণত প্রতি বোর্ডে ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদিন ভাইভা দেন।
  • ঘ. যাঁর বোর্ডে ভাইভা দেবেন, তাঁর অফিস সহকারী কক্ষে ঢোকার আগেই আপনার কাগজপত্র নিয়ে নেবেন। শুধু মূল কিছু সনদ নিয়ে আপনি ভেতরে যাবেন।
  • ঙ. বোর্ডের ধরন দুটি। একটি প্রেসিডেনশিয়াল এবং অন্যটি সাধারণ ভাইভা বোর্ড। প্রেসিডেনশিয়াল বোর্ডে পিএসসির চেয়ারম্যানসহ সব সদস্য থাকেন। এটা প্রথম কয়েক দিন চলে। আর সাধারণ বোর্ডে পিএসসির প্রত্যেক সদস্য চেয়ারম্যান হন ও দুজন বাইরের এক্সপার্ট থাকেন। অর্থাৎ, তিনজন মিলে বোর্ড গঠিত হয়।
  • চ. সাধারণ অর্থে মোট বোর্ড হয় ১৫টি। কারণ, চেয়ারম্যানসহ পিএসসির সদস্যসংখ্যা সর্বোচ্চ ১৫।
  • ছ. কারিগরি ও পেশাগত ক্যাডারের ভাইভার সময় সাধারণত সাবজেক্ট এক্সপার্ট থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেশি আমন্ত্রণ জানানো হয়। তাই প্রস্তুতি ভালো নিতে হবে।
  • জ. ২৭তম বিসিএস থেকে বোর্ডের সামনে আপনার লিখিত পরীক্ষার নম্বর থাকে না। অর্থাৎ, আপনাকে মূল্যায়ন করা হবে শুধু ২০০ নম্বরের ওপর। আগে কী করেছেন এবং ভবিষ্যতে কী করবেন, তা বিবেচ্য বিষয় না।
  • ঝ. আপনি বোর্ড থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নির্দিষ্ট স্থানে চেয়ারম্যান সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে নম্বর দিয়ে দেন। এটি পরে করা হয় না।

লেখক: প্রশাসন ক্যাডার (দ্বিতীয় স্থান), ৩৪তম বিসিএস।