বিনা মূল্যের পাঠ্যবই

মানে আপস, তবু সব বই পাওয়া নিয়ে সংশয়

প্রাথমিক স্তরে ৪৬.২৭ শতাংশ বই ছাপা বাকি। মাধ্যমিক স্তরে এখনো ছাপা বাকি ৩১ শতাংশ বই। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৮০ শতাংশ বই ছাপা শেষ হতে পারে, আশা এনসিটিবির কর্মকর্তাদের।

নতুন বই হাতে পেয়ে খুশি শিশুরা। শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে সারা দেশে বই উৎসব পালিত হয়।ফাইল ছবি

মোশতাক আহমেদ

পাল্পের সংকটে উজ্জ্বলতায় ছাড়

পাঠ্যবই ছাপানোর কার্যাদেশ দিতে দেরি, কাগজের মূল্যবৃদ্ধি, প্রাক্কলিত দরের চেয়ে কম দামে কাজ পাওয়াসহ কয়েকটি কারণে আগে থেকেই সময়মতো শিক্ষার্থীদের হাতে মানসম্মত সব বই তুলে দেওয়া নিয়ে শঙ্কা ছিল। এর মধ্যে কাগজের মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে নিম্নমানের কাগজ দিয়ে বই ছাপার পাঁয়তারা করে আসছিলেন মুদ্রণকারীদের অনেকেই। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ভাষ্য, শেষ পর্যন্ত এনসিটিবি সেই ফাঁদেই পড়ল।

এনসিটিবির সূত্রমতে, দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী, পাঠ্যবই ছাপার কাগজের উজ্জ্বলতা ৮৫ হওয়ার কথা। কিন্তু বৈশ্বিক সংকটের কারণে ভালো মানের পাল্প (কাগজের ভার্জিন মণ্ড) পাওয়া যাচ্ছে না বলে বলছিলেন মুদ্রণকারীরা। তাই এ বিষয়ে তাঁরা ছাড় দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এখন এনসিটিবি কাগজের উজ্জ্বলতা ৮২ শতাংশও মেনে নিচ্ছে। সময়মতো সব বই পেতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মৌখিক নির্দেশে এমন ছাড় দেওয়া হয়েছে।

তবে অভিযোগ উঠেছে, অনেক মুদ্রণকারী ওই মানের (উজ্জ্বলতা ৮২ শতাংশ) চেয়েও নিম্নমানের কাগজে বই ছাপছেন। এনসিটিবির এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, নিম্নমানের কাগজ হওয়ায় এরই মধ্যে ১০টির বেশি মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানের বেশ কিছু বই বাতিল করা হয়েছে। হাওলাদার অফসেটের তিন হাজার বই বিনষ্ট করা হয়েছে। সরকার প্রেস নামের আরেক প্রতিষ্ঠানের তিন লাখ কপি ফর্মা, সরকার অফসেট প্রেসের দুই লাখ কপি ফর্মা এবং আল আমিন প্রেসের এক লাখ কপি ফর্মা বিনষ্ট করা হয়েছে।

মানের বিষয়ে এনসিটিবির চেয়ারম্যান মো. ফরহাদুল ইসলাম বলেন, ভার্জিন পাল্পের সংকটের কারণে অন্যান্য বিষয় ঠিক রেখে শুধু উজ্জ্বলতার ক্ষেত্রে এক থেকে দেড় শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছে।

বিনা মূল্যের পাঠ্যবই

মানে আপস, তবু সব বই পাওয়া নিয়ে সংশয়

প্রাথমিক স্তরে ৪৬.২৭ শতাংশ বই ছাপা বাকি। মাধ্যমিক স্তরে এখনো ছাপা বাকি ৩১ শতাংশ বই। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৮০ শতাংশ বই ছাপা শেষ হতে পারে, আশা এনসিটিবির কর্মকর্তাদের।

নতুন বই হাতে পেয়ে খুশি শিশুরা। শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে সারা দেশে বই উৎসব পালিত হয়।ফাইল ছবি

মোশতাক আহমেদ

পাল্পের সংকটে উজ্জ্বলতায় ছাড়

পাঠ্যবই ছাপানোর কার্যাদেশ দিতে দেরি, কাগজের মূল্যবৃদ্ধি, প্রাক্কলিত দরের চেয়ে কম দামে কাজ পাওয়াসহ কয়েকটি কারণে আগে থেকেই সময়মতো শিক্ষার্থীদের হাতে মানসম্মত সব বই তুলে দেওয়া নিয়ে শঙ্কা ছিল। এর মধ্যে কাগজের মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে নিম্নমানের কাগজ দিয়ে বই ছাপার পাঁয়তারা করে আসছিলেন মুদ্রণকারীদের অনেকেই। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ভাষ্য, শেষ পর্যন্ত এনসিটিবি সেই ফাঁদেই পড়ল।

এনসিটিবির সূত্রমতে, দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী, পাঠ্যবই ছাপার কাগজের উজ্জ্বলতা ৮৫ হওয়ার কথা। কিন্তু বৈশ্বিক সংকটের কারণে ভালো মানের পাল্প (কাগজের ভার্জিন মণ্ড) পাওয়া যাচ্ছে না বলে বলছিলেন মুদ্রণকারীরা। তাই এ বিষয়ে তাঁরা ছাড় দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এখন এনসিটিবি কাগজের উজ্জ্বলতা ৮২ শতাংশও মেনে নিচ্ছে। সময়মতো সব বই পেতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মৌখিক নির্দেশে এমন ছাড় দেওয়া হয়েছে।

তবে অভিযোগ উঠেছে, অনেক মুদ্রণকারী ওই মানের (উজ্জ্বলতা ৮২ শতাংশ) চেয়েও নিম্নমানের কাগজে বই ছাপছেন। এনসিটিবির এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, নিম্নমানের কাগজ হওয়ায় এরই মধ্যে ১০টির বেশি মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানের বেশ কিছু বই বাতিল করা হয়েছে। হাওলাদার অফসেটের তিন হাজার বই বিনষ্ট করা হয়েছে। সরকার প্রেস নামের আরেক প্রতিষ্ঠানের তিন লাখ কপি ফর্মা, সরকার অফসেট প্রেসের দুই লাখ কপি ফর্মা এবং আল আমিন প্রেসের এক লাখ কপি ফর্মা বিনষ্ট করা হয়েছে।

মানের বিষয়ে এনসিটিবির চেয়ারম্যান মো. ফরহাদুল ইসলাম বলেন, ভার্জিন পাল্পের সংকটের কারণে অন্যান্য বিষয় ঠিক রেখে শুধু উজ্জ্বলতার ক্ষেত্রে এক থেকে দেড় শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছে।