রাত জাগতে মানা

বিপুল জামান

তোমরা অনেকেই রাত জেগে পড়তে পছন্দ করো। পরীক্ষার প্রস্তুতি, মুভি দেখা, গেম খেলা, খেলা দেখার কারণেও অনেকে গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকো। কালেভদ্রে প্রয়োজনে রাত জাগার তেমন দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব নেই। কিন্তু একে নিয়মিত অভ্যাসে রূপান্তরিত করে ফেললে নিজের অজান্তেই নিজের শরীর ও মনে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতির কারণ হতে পারো। রাত জাগার কুফল জানাচ্ছেন বিপুল জামান

ওজন বৃদ্ধি : এক সমীক্ষায় দেখা গেছে অন্তত ছয়-সাত ঘণ্টা না ঘুমালে শতকরা ৩০ ভাগ লোকের ক্ষেত্রে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে। জেগে থাকলে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুধা পায়, আর ক্ষুধা নিবারণে খাওয়া-দাওয়া করলেই ওজন বাড়ে, বাড়ে কোলেস্টেরল, যা কি না হার্টের ক্ষতিরও কারণ। শুধু তা-ই নয়, ওজন বৃদ্ধি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো ক্রনিক রোগের সৃষ্টি করে, যা শারীরিক অক্ষমতা, এমনকি মৃত্যুও ঘটাতে পারে।

উচ্চ রক্তচাপ : কয়েকটি গবেষণায় এসেছে টানা তিন-চার দিন রাত জেগে থাকলে বা পরিমিত না ঘুমালে শরীরের স্বাভাবিক ছন্দের পতন হয়, যার প্রভাবে উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিতে পারে। আর যদি তা নিয়ন্ত্রণ না করা যায় তবে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

হার্টের ক্ষতি : ঘুমের অভাবে উচ্চ রক্তচাপের সৃষ্টি হয়। আর উচ্চ রক্তচাপ হার্টে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। হার্টের সঙ্গে ঘুমের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, পরিমিত না ঘুমালে ধীরে ধীরে হার্টের কার্যক্ষমতায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে এবং হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।

সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা হ্রাস : টানা কয়েক মাস রাতে ঠিকমতো ঘুম না হলে ধীরে ধীরে মস্তিষ্কের বিশেষ কিছু অংশ এতটাই ক্লান্ত হয়ে পড়ে যে ঠিকমতো কাজ করে উঠতে পারে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়। উপস্থিত বুদ্ধিও লোপ পেতে থাকে।

হতাশা : দিনের পর দিন রাতে না ঘুমালে দেহের স্বাভাবিক ছন্দপতন হয়। উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে, ব্রেনের রিজুভিনেটিং পাওয়ার কমে গিয়ে অ্যাংজাইটি, ডিপ্রেশনের উৎপত্তি হতে পারে। মনোবিজ্ঞানীদের মতে, রাত জাগা মানুষের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি দেখা যায়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস : ২০১২ সালে আমেরিকার একটি প্রতিষ্ঠানে ৩০ ব্যক্তির ওপর স্টাডি করে জানা গেছে, রাত জাগার সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা লোপ পাওয়ার হার সমানুপাতিক। অর্থাৎ, যে ব্যক্তি যত রাত জাগেন তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তত হ্রাস পেতে থাকে।

এসব সমস্যা থেকে বাঁচতে অকারণ রাত জাগার ‘বদ-অভ্যাস’ পরিহার করতে হবে। ধীরে ধীরে অভ্যাস পরিবর্তন করে সময়মতো ঘুমানোর অভ্যাস রপ্ত করতে হবে।

রাত জাগতে মানা

বিপুল জামান

তোমরা অনেকেই রাত জেগে পড়তে পছন্দ করো। পরীক্ষার প্রস্তুতি, মুভি দেখা, গেম খেলা, খেলা দেখার কারণেও অনেকে গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকো। কালেভদ্রে প্রয়োজনে রাত জাগার তেমন দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব নেই। কিন্তু একে নিয়মিত অভ্যাসে রূপান্তরিত করে ফেললে নিজের অজান্তেই নিজের শরীর ও মনে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতির কারণ হতে পারো। রাত জাগার কুফল জানাচ্ছেন বিপুল জামান

ওজন বৃদ্ধি : এক সমীক্ষায় দেখা গেছে অন্তত ছয়-সাত ঘণ্টা না ঘুমালে শতকরা ৩০ ভাগ লোকের ক্ষেত্রে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে। জেগে থাকলে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুধা পায়, আর ক্ষুধা নিবারণে খাওয়া-দাওয়া করলেই ওজন বাড়ে, বাড়ে কোলেস্টেরল, যা কি না হার্টের ক্ষতিরও কারণ। শুধু তা-ই নয়, ওজন বৃদ্ধি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো ক্রনিক রোগের সৃষ্টি করে, যা শারীরিক অক্ষমতা, এমনকি মৃত্যুও ঘটাতে পারে।

উচ্চ রক্তচাপ : কয়েকটি গবেষণায় এসেছে টানা তিন-চার দিন রাত জেগে থাকলে বা পরিমিত না ঘুমালে শরীরের স্বাভাবিক ছন্দের পতন হয়, যার প্রভাবে উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিতে পারে। আর যদি তা নিয়ন্ত্রণ না করা যায় তবে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

হার্টের ক্ষতি : ঘুমের অভাবে উচ্চ রক্তচাপের সৃষ্টি হয়। আর উচ্চ রক্তচাপ হার্টে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। হার্টের সঙ্গে ঘুমের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, পরিমিত না ঘুমালে ধীরে ধীরে হার্টের কার্যক্ষমতায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে এবং হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।

সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা হ্রাস : টানা কয়েক মাস রাতে ঠিকমতো ঘুম না হলে ধীরে ধীরে মস্তিষ্কের বিশেষ কিছু অংশ এতটাই ক্লান্ত হয়ে পড়ে যে ঠিকমতো কাজ করে উঠতে পারে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়। উপস্থিত বুদ্ধিও লোপ পেতে থাকে।

হতাশা : দিনের পর দিন রাতে না ঘুমালে দেহের স্বাভাবিক ছন্দপতন হয়। উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে, ব্রেনের রিজুভিনেটিং পাওয়ার কমে গিয়ে অ্যাংজাইটি, ডিপ্রেশনের উৎপত্তি হতে পারে। মনোবিজ্ঞানীদের মতে, রাত জাগা মানুষের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি দেখা যায়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস : ২০১২ সালে আমেরিকার একটি প্রতিষ্ঠানে ৩০ ব্যক্তির ওপর স্টাডি করে জানা গেছে, রাত জাগার সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা লোপ পাওয়ার হার সমানুপাতিক। অর্থাৎ, যে ব্যক্তি যত রাত জাগেন তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তত হ্রাস পেতে থাকে।

এসব সমস্যা থেকে বাঁচতে অকারণ রাত জাগার ‘বদ-অভ্যাস’ পরিহার করতে হবে। ধীরে ধীরে অভ্যাস পরিবর্তন করে সময়মতো ঘুমানোর অভ্যাস রপ্ত করতে হবে।