মেডিকেল কলেজের প্রথম পেশাগত পরীক্ষার প্রস্তুতি

লিখিত, এমসিকিউ ও ভাইভার প্রস্তুতি নেবে যেভাবে

মুবিন ইবনে মকবুল

মুবিন ইবনে মকবুল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মেডিকেল কলেজগুলোর প্রথম পেশাগত (প্রফেশনাল) পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে ২২ নভেম্বর। শেষ সময়ে এমসিকিউ, ভাইভা ও প্র্যাকটিক্যালের প্রস্তুতি নিয়ে নতুনদের জন্য কিছু পরামর্শ—

লিখিত
লিখিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ অংশে ভালো নম্বর তুলতে হলে যথাযথ উত্তর করা যাবে, এমন প্রশ্নের উত্তর লেখাই ভালো। একান্তই কোনো প্রশ্ন না পারলে শর্ট নোটগুলো উত্তর করা যেতে পারে। অ্যানাটমির ক্ষেত্রে ছবি আঁকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মোটামুটি সব প্রশ্নের সঙ্গেই ছবি আঁকা লাগে, তাই ছবি আঁকার বিষয়টি আগে থেকেই পরিকল্পনা করে যেতে হবে।

এমসিকিউ 
সঠিক উত্তর করতে পারলে এমসিকিউ থেকে পূর্ণ নম্বর পাওয়া সম্ভব। লিখিত পরীক্ষায় অজানা প্রশ্ন এলে/উত্তর যথাযথ না হলে সে ক্ষেত্রে এমসিকিউ পাস নম্বর তুলতে সাহায্য করবে।

ভাইভা 
ভাইভার ক্ষেত্রে আলোচনা করে পড়া বা গ্রুপ স্টাডি করে পড়া জরুরি। অ্যানাটমির জন্য নিজ কলেজে যে cadaver/skeleton/ viscera/model আছে, সেগুলো খুব ভালো করে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এ ছাড়াও লেকচার ক্লাসে যেভাবে পড়ানো হয়েছে, সেভাবে বলা উচিত। ভাইভার মূল কথাই হলো ঠান্ডা মাথায় পরীক্ষকের প্রশ্নগুলো উত্তর করে আসা। মনে রাখতে হবে, সব সময় ভাইভায় মেইন টেক্সট বুকের তথ্য ও রেফারেন্স দেওয়া ভালো।

প্র্যাকটিক্যাল
প্র্যাকটিক্যালের ক্ষেত্রে OSPE-এ জোর দেওয়া জরুরি। যারা প্রফে ভালো মার্কস পেতে চায় তাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া উচিত OSPE-এ। OSPE-এ ফুল মার্কস পেলে যারা honours পেতে চায় তাদের জন্য ৮৫% নম্বর তোলা সহজ হয়ে যাবে। কোনো কারণে লিখিত বা ভাইভাতে যদি গৎবাঁধা মার্কস আসে বা তেমন অসাধারণ কর্মদক্ষতা না হয়, তখন OSPE মার্কস অনেকটাই এগিয়ে রাখবে। OSPE-এ ভালো মার্কস তুলতে হলে সব সাবজেক্টের বেসিক কিছু জিনিস ভালো করে জানা উচিত। উদাহরণস্বরূপ, অ্যানাটমিতে Brachial plexus বা Dermatome-এর ছবি OSPE পরীক্ষার আগে প্র্যাকটিস করে যাওয়া উচিত। এভাবে সব সাবজেক্টে কিছু কমন প্রশ্ন আছে, যেগুলো আমরা কার্ড টার্ম দেওয়ার সময় দেখে এসেছি। এসব ভালোভাবে জানা উচিত। সব ভিসেরার ব্লাড সাপ্লাই/নার্ভ সাপ্লাই মনে রাখতে হবে। এ ছাড়া সব মেডিকেল কলেজে cadaver থাকে। Superior ও inferior extremity-এর অনেক muscle identify করতে এই cadaver থেকে OSPE-তে mark করে দেওয়া হয়। ফিজিওলজি ও বায়োকেমিস্ট্রির ক্ষেত্রে instruments খুব ভালোভাবে চিনে যেতে হবে ও কিছু ছোট experiments করার দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এ ছাড়া প্র্যাকটিক্যালের জন্য যে এক্সপেরিমেন্টটি করতে হবে, সেটির সবকিছুর বিস্তারিত ও থিওরেটিক্যাল প্রশ্নগুলোও জানতে হবে।

শেষ কথা: চিকিৎসক হওয়ার মহান স্বপ্ন বুকে লালন করে আগামীর সমাজকে সেবা করার দায়বদ্ধতা থেকে প্রত্যেকের চেষ্টা ও পরিশ্রম অবশ্যই সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। সবার জন্য অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইল।

মুবিন ইবনে মকবুল, শিক্ষার্থী, ৩য় বর্ষ ঢাকা মেডিকেল কলেজ, ঢাকা

মেডিকেল কলেজের প্রথম পেশাগত পরীক্ষার প্রস্তুতি

লিখিত, এমসিকিউ ও ভাইভার প্রস্তুতি নেবে যেভাবে

মুবিন ইবনে মকবুল

মুবিন ইবনে মকবুল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মেডিকেল কলেজগুলোর প্রথম পেশাগত (প্রফেশনাল) পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে ২২ নভেম্বর। শেষ সময়ে এমসিকিউ, ভাইভা ও প্র্যাকটিক্যালের প্রস্তুতি নিয়ে নতুনদের জন্য কিছু পরামর্শ—

লিখিত
লিখিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ অংশে ভালো নম্বর তুলতে হলে যথাযথ উত্তর করা যাবে, এমন প্রশ্নের উত্তর লেখাই ভালো। একান্তই কোনো প্রশ্ন না পারলে শর্ট নোটগুলো উত্তর করা যেতে পারে। অ্যানাটমির ক্ষেত্রে ছবি আঁকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মোটামুটি সব প্রশ্নের সঙ্গেই ছবি আঁকা লাগে, তাই ছবি আঁকার বিষয়টি আগে থেকেই পরিকল্পনা করে যেতে হবে।

এমসিকিউ 
সঠিক উত্তর করতে পারলে এমসিকিউ থেকে পূর্ণ নম্বর পাওয়া সম্ভব। লিখিত পরীক্ষায় অজানা প্রশ্ন এলে/উত্তর যথাযথ না হলে সে ক্ষেত্রে এমসিকিউ পাস নম্বর তুলতে সাহায্য করবে।

ভাইভা 
ভাইভার ক্ষেত্রে আলোচনা করে পড়া বা গ্রুপ স্টাডি করে পড়া জরুরি। অ্যানাটমির জন্য নিজ কলেজে যে cadaver/skeleton/ viscera/model আছে, সেগুলো খুব ভালো করে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এ ছাড়াও লেকচার ক্লাসে যেভাবে পড়ানো হয়েছে, সেভাবে বলা উচিত। ভাইভার মূল কথাই হলো ঠান্ডা মাথায় পরীক্ষকের প্রশ্নগুলো উত্তর করে আসা। মনে রাখতে হবে, সব সময় ভাইভায় মেইন টেক্সট বুকের তথ্য ও রেফারেন্স দেওয়া ভালো।

প্র্যাকটিক্যাল
প্র্যাকটিক্যালের ক্ষেত্রে OSPE-এ জোর দেওয়া জরুরি। যারা প্রফে ভালো মার্কস পেতে চায় তাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া উচিত OSPE-এ। OSPE-এ ফুল মার্কস পেলে যারা honours পেতে চায় তাদের জন্য ৮৫% নম্বর তোলা সহজ হয়ে যাবে। কোনো কারণে লিখিত বা ভাইভাতে যদি গৎবাঁধা মার্কস আসে বা তেমন অসাধারণ কর্মদক্ষতা না হয়, তখন OSPE মার্কস অনেকটাই এগিয়ে রাখবে। OSPE-এ ভালো মার্কস তুলতে হলে সব সাবজেক্টের বেসিক কিছু জিনিস ভালো করে জানা উচিত। উদাহরণস্বরূপ, অ্যানাটমিতে Brachial plexus বা Dermatome-এর ছবি OSPE পরীক্ষার আগে প্র্যাকটিস করে যাওয়া উচিত। এভাবে সব সাবজেক্টে কিছু কমন প্রশ্ন আছে, যেগুলো আমরা কার্ড টার্ম দেওয়ার সময় দেখে এসেছি। এসব ভালোভাবে জানা উচিত। সব ভিসেরার ব্লাড সাপ্লাই/নার্ভ সাপ্লাই মনে রাখতে হবে। এ ছাড়া সব মেডিকেল কলেজে cadaver থাকে। Superior ও inferior extremity-এর অনেক muscle identify করতে এই cadaver থেকে OSPE-তে mark করে দেওয়া হয়। ফিজিওলজি ও বায়োকেমিস্ট্রির ক্ষেত্রে instruments খুব ভালোভাবে চিনে যেতে হবে ও কিছু ছোট experiments করার দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এ ছাড়া প্র্যাকটিক্যালের জন্য যে এক্সপেরিমেন্টটি করতে হবে, সেটির সবকিছুর বিস্তারিত ও থিওরেটিক্যাল প্রশ্নগুলোও জানতে হবে।

শেষ কথা: চিকিৎসক হওয়ার মহান স্বপ্ন বুকে লালন করে আগামীর সমাজকে সেবা করার দায়বদ্ধতা থেকে প্রত্যেকের চেষ্টা ও পরিশ্রম অবশ্যই সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। সবার জন্য অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইল।

মুবিন ইবনে মকবুল, শিক্ষার্থী, ৩য় বর্ষ ঢাকা মেডিকেল কলেজ, ঢাকা