শিক্ষক সমিতির নির্বাচন ঘিরে নীল দলে কোন্দল

মোতাহার হোসেন, ঢাবি

প্রতীকী ছবি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আসন্ন শিক্ষক সমিতির নির্বাচন ঘিরে অভ্যন্তরীণ কোন্দল মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে সরকারদলীয় শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের মধ্যে। প্রার্থী মনোনয়ন নিয়েই এ কোন্দলের সূত্রপাত। অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে এবারের নির্বাচনে নীল দলের মধ্যে বিদ্রোহী প্যানেল দেওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আগামী ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে এ নির্বাচন।

গত ১৩ ডিসেম্বর নীল দলের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রার্থী মনোনয়নে শিক্ষকদের অভ্যন্তরীণ গ্রুপিংয়ের তীব্র সমালোচনা করে একাংশ। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের বিরুদ্ধে গ্রুপিংয়ের অভিযোগ তোলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দিন।

শিক্ষকদের অভিযোগ, ঢাবি নীল দলের মধ্যে বিভিন্ন গ্রুপ রয়েছে, যারা শিক্ষকদের বিভিন্ন নির্বাচনে নানাভাবে প্রভাব বিস্তার করে পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করে। তাদের মধ্যে অন্যতম শক্তিশালী উপউপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামালের গ্রুপ। এ ছাড়া উপাচার্য ও দলের সিনিয়র শিক্ষকদের গ্রুপও রয়েছে। তবে এবারের নির্বাচনে গ্রুপিংয়ের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন না করে ত্যাগী শিক্ষকদের মনোনয়নের দাবি জানিয়েছে নীল দলের একটি পক্ষ। তাদের দাবি, অনুষদ প্রতিনিধি নির্বাচনের সময় গ্রুপিং করে, এমন শিক্ষকদের নেতৃত্বে আনা হয়েছে, যারা ২০১০ সালের পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেছে। এ কারণে নেতৃত্ব থেকে ছিটকে পড়ছেন দলের ত্যাগী নেতারা।

শিক্ষকরা জানান, নির্বাচনের জন্য সাধারণত নীল দলের আহ্বায়ক কমিটির সাধারণ সভা থেকে প্রাপ্ত প্রস্তাবিত নাম থেকে আলোচনার ভিত্তিতে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে আহ্বায়ক কমিটির সদস্যদের মধ্যে ভোটের মাধ্যমে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হচ্ছে। এ বিষয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে সাধারণ সভায় ভোটের ভিত্তিতে প্যানেল নির্বাচন না করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্যানেল নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন দলের ত্যাগীপ্রার্থীরা।

জানা গেছে, প্রতিবছর নির্বাচনে নীল দলের একটি প্যানেল মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করলেও এবার ৩টি প্যানেল মনোনয়ন ফরম তুলেছে। তাদের মধ্যে একটি প্যানেল অভ্যন্তরীণ ভোটের মাধ্যমে প্রার্থী চূড়ান্তের ব্যাপারে আগ্রহী হলেও অন্য দুটি প্যানেল ভোটের তীব্র বিরোধী।

এ বিষয়ে এক শিক্ষক কালবেলাকে বলেন, প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে একজন উপউপাচার্য দলকে নিয়ন্ত্রণের যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, তা নীল দলের শিক্ষকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। দলে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।

গ্রুপিংয়ের বিরোধিতা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, আমরা গ্রুপিংয়ে যুক্ত না থাকায় আমাদের অবদান মনে রাখা হয় না। মাকসুদ কামাল আট বছর শিক্ষক সমিতির নেতৃত্ব দিয়েছেন। কোনো নেতা যদি দীর্ঘসময় নেতৃত্বে থাকেন, তাহলে একটি গ্রুপ তৈরি হয়ে যায়। তারাই তার গুণগান গাইছে।

তিনি বলেন, ভোটিং সিস্টেম করার কারণে যারা দুর্দিনে বড় অবদান রেখেছে, তাদের সামনে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। তাই ভোটিং সিস্টেমে নয়, আলোচনার ভিত্তিতে প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার কথা আমরা জানিয়েছি।

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি জবাব দেননি। খুদে বার্তা পাঠিয়েও তার সাড়া পাওয়া যায়নি।

শিক্ষক সমিতির নির্বাচন ঘিরে নীল দলে কোন্দল

মোতাহার হোসেন, ঢাবি

প্রতীকী ছবি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আসন্ন শিক্ষক সমিতির নির্বাচন ঘিরে অভ্যন্তরীণ কোন্দল মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে সরকারদলীয় শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের মধ্যে। প্রার্থী মনোনয়ন নিয়েই এ কোন্দলের সূত্রপাত। অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে এবারের নির্বাচনে নীল দলের মধ্যে বিদ্রোহী প্যানেল দেওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আগামী ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে এ নির্বাচন।

গত ১৩ ডিসেম্বর নীল দলের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রার্থী মনোনয়নে শিক্ষকদের অভ্যন্তরীণ গ্রুপিংয়ের তীব্র সমালোচনা করে একাংশ। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের বিরুদ্ধে গ্রুপিংয়ের অভিযোগ তোলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দিন।

শিক্ষকদের অভিযোগ, ঢাবি নীল দলের মধ্যে বিভিন্ন গ্রুপ রয়েছে, যারা শিক্ষকদের বিভিন্ন নির্বাচনে নানাভাবে প্রভাব বিস্তার করে পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করে। তাদের মধ্যে অন্যতম শক্তিশালী উপউপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামালের গ্রুপ। এ ছাড়া উপাচার্য ও দলের সিনিয়র শিক্ষকদের গ্রুপও রয়েছে। তবে এবারের নির্বাচনে গ্রুপিংয়ের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন না করে ত্যাগী শিক্ষকদের মনোনয়নের দাবি জানিয়েছে নীল দলের একটি পক্ষ। তাদের দাবি, অনুষদ প্রতিনিধি নির্বাচনের সময় গ্রুপিং করে, এমন শিক্ষকদের নেতৃত্বে আনা হয়েছে, যারা ২০১০ সালের পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেছে। এ কারণে নেতৃত্ব থেকে ছিটকে পড়ছেন দলের ত্যাগী নেতারা।

শিক্ষকরা জানান, নির্বাচনের জন্য সাধারণত নীল দলের আহ্বায়ক কমিটির সাধারণ সভা থেকে প্রাপ্ত প্রস্তাবিত নাম থেকে আলোচনার ভিত্তিতে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে আহ্বায়ক কমিটির সদস্যদের মধ্যে ভোটের মাধ্যমে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হচ্ছে। এ বিষয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে সাধারণ সভায় ভোটের ভিত্তিতে প্যানেল নির্বাচন না করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্যানেল নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন দলের ত্যাগীপ্রার্থীরা।

জানা গেছে, প্রতিবছর নির্বাচনে নীল দলের একটি প্যানেল মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করলেও এবার ৩টি প্যানেল মনোনয়ন ফরম তুলেছে। তাদের মধ্যে একটি প্যানেল অভ্যন্তরীণ ভোটের মাধ্যমে প্রার্থী চূড়ান্তের ব্যাপারে আগ্রহী হলেও অন্য দুটি প্যানেল ভোটের তীব্র বিরোধী।

এ বিষয়ে এক শিক্ষক কালবেলাকে বলেন, প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে একজন উপউপাচার্য দলকে নিয়ন্ত্রণের যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, তা নীল দলের শিক্ষকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। দলে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।

গ্রুপিংয়ের বিরোধিতা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, আমরা গ্রুপিংয়ে যুক্ত না থাকায় আমাদের অবদান মনে রাখা হয় না। মাকসুদ কামাল আট বছর শিক্ষক সমিতির নেতৃত্ব দিয়েছেন। কোনো নেতা যদি দীর্ঘসময় নেতৃত্বে থাকেন, তাহলে একটি গ্রুপ তৈরি হয়ে যায়। তারাই তার গুণগান গাইছে।

তিনি বলেন, ভোটিং সিস্টেম করার কারণে যারা দুর্দিনে বড় অবদান রেখেছে, তাদের সামনে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। তাই ভোটিং সিস্টেমে নয়, আলোচনার ভিত্তিতে প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার কথা আমরা জানিয়েছি।

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি জবাব দেননি। খুদে বার্তা পাঠিয়েও তার সাড়া পাওয়া যায়নি।