সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বড় নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি আসছে

রাহুল শর্মা, ঢাকা

মাধ্যমিক পর্যায়ের সরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে বড় বিজ্ঞপ্তি আসছে। এতে ১ হাজারের বেশি শূন্য পদে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের কথা রয়েছে। এরই মধ্যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাউশি পরিচালক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন। তিনি বলেন, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য শূন্য পদের চাহিদা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এতে মোট ১২ বিষয়ে ১ হাজার ৯৯টি শূন্য পদে নিয়োগ চাওয়া হয়েছে। সেখান থেকে প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই শেষে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য সরকারি কর্ম কমিশনে (পিএসসি) পাঠানো হবে।

কবে নাগাদ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আসতে পারে, এমন প্রশ্নে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাউশির অন্য এক কর্মকর্তা জানান, মূলত তিন পার্বত্য জেলা ও বেশির ভাগ উপজেলায় সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদ বেশি। যে ১২টি বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তুতি চলছে সেগুলো হচ্ছে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সামাজিক বিজ্ঞান, ধর্ম, ভৌতবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, ভূগোল, চারুকলা, শারীরিক শিক্ষা ও কৃষি শিক্ষা। নিয়োগ বিধি অনুযায়ী ৫৫২ পদে সরকারি নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে পিএসসি। আর বাকি পদগুলো ননক্যাডার থেকে সুপারিশ করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য মাউশি থেকে শূন্য পদের চাহিদা পেয়েছি। এখন প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক কাজ শেষ করে তা পিএসসিতে পাঠানো হবে। সেখান থেকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। আশা করছি, এ বছরের মধ্যেই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

শিক্ষক নিয়োগের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবু সাইদ ভূঁইয়া। তিনি বলেন, আগামী বছর থেকে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন শুরু হবে। শিক্ষকসংকট থাকলে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে পড়বে। তাই যত শিগগির সম্ভব নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া যায় ততই ইতিবাচক।

শিক্ষকসংকট থাকায় অনেক বিদ্যালয়ে পাঠদান মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আশা করি, নতুন শিক্ষক নিয়োগে এ সংকট দূর হবে।’

জানা যায়, সহকারী শিক্ষক পদটি দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে উন্নীত করার পর এসব পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। সহকারী শিক্ষক পদের ৫৫ শতাংশ সরাসরি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগের বিধান রয়েছে। অবশিষ্ট ৪৫ শতাংশ বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ অথচ ক্যাডার পাননি, তাঁদের মধ্য থেকে মন্ত্রণালয়ের চাহিদা অনুযায়ী উত্তীর্ণদের অনাপত্তির ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়ার সুযোগ রয়েছে।

দেশের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাব্যবস্থার নিয়ন্ত্রক মাউশির তথ্য অনুযায়ী, দেশে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা এখন ৬৬২টি। এর মধ্যে পুরোনো সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩৪৮টি। বাকি ৩১৪টি বিদ্যালয় ২০১০ সালের পর জাতীয়করণ হয়।

এর আগে গত ১০ জুন মাধ্যমিক পর্যায়ের ২৩৩ জন শিক্ষককে পদোন্নতি দিয়ে প্রধান শিক্ষক, প্রধান শিক্ষিকা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা করা হয়।

গত ৩১ জানুয়ারি দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ১২টি বিষয়ে ২ হাজার ৬৫ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয় সরকার। এর মধ্যে ২০১৯ সালের সরাসরি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ১ হাজার ৩৭৫টি সহকারী শিক্ষক পদ অর্ন্তভুক্ত ছিল। বাকি পদগুলো ননক্যাডার থেকে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি।

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বড় নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি আসছে

রাহুল শর্মা, ঢাকা

মাধ্যমিক পর্যায়ের সরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে বড় বিজ্ঞপ্তি আসছে। এতে ১ হাজারের বেশি শূন্য পদে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের কথা রয়েছে। এরই মধ্যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাউশি পরিচালক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন। তিনি বলেন, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য শূন্য পদের চাহিদা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এতে মোট ১২ বিষয়ে ১ হাজার ৯৯টি শূন্য পদে নিয়োগ চাওয়া হয়েছে। সেখান থেকে প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই শেষে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য সরকারি কর্ম কমিশনে (পিএসসি) পাঠানো হবে।

কবে নাগাদ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আসতে পারে, এমন প্রশ্নে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাউশির অন্য এক কর্মকর্তা জানান, মূলত তিন পার্বত্য জেলা ও বেশির ভাগ উপজেলায় সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদ বেশি। যে ১২টি বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তুতি চলছে সেগুলো হচ্ছে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সামাজিক বিজ্ঞান, ধর্ম, ভৌতবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, ভূগোল, চারুকলা, শারীরিক শিক্ষা ও কৃষি শিক্ষা। নিয়োগ বিধি অনুযায়ী ৫৫২ পদে সরকারি নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে পিএসসি। আর বাকি পদগুলো ননক্যাডার থেকে সুপারিশ করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য মাউশি থেকে শূন্য পদের চাহিদা পেয়েছি। এখন প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক কাজ শেষ করে তা পিএসসিতে পাঠানো হবে। সেখান থেকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। আশা করছি, এ বছরের মধ্যেই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

শিক্ষক নিয়োগের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবু সাইদ ভূঁইয়া। তিনি বলেন, আগামী বছর থেকে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন শুরু হবে। শিক্ষকসংকট থাকলে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে পড়বে। তাই যত শিগগির সম্ভব নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া যায় ততই ইতিবাচক।

শিক্ষকসংকট থাকায় অনেক বিদ্যালয়ে পাঠদান মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আশা করি, নতুন শিক্ষক নিয়োগে এ সংকট দূর হবে।’

জানা যায়, সহকারী শিক্ষক পদটি দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে উন্নীত করার পর এসব পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। সহকারী শিক্ষক পদের ৫৫ শতাংশ সরাসরি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগের বিধান রয়েছে। অবশিষ্ট ৪৫ শতাংশ বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ অথচ ক্যাডার পাননি, তাঁদের মধ্য থেকে মন্ত্রণালয়ের চাহিদা অনুযায়ী উত্তীর্ণদের অনাপত্তির ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়ার সুযোগ রয়েছে।

দেশের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাব্যবস্থার নিয়ন্ত্রক মাউশির তথ্য অনুযায়ী, দেশে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা এখন ৬৬২টি। এর মধ্যে পুরোনো সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩৪৮টি। বাকি ৩১৪টি বিদ্যালয় ২০১০ সালের পর জাতীয়করণ হয়।

এর আগে গত ১০ জুন মাধ্যমিক পর্যায়ের ২৩৩ জন শিক্ষককে পদোন্নতি দিয়ে প্রধান শিক্ষক, প্রধান শিক্ষিকা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা করা হয়।

গত ৩১ জানুয়ারি দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ১২টি বিষয়ে ২ হাজার ৬৫ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয় সরকার। এর মধ্যে ২০১৯ সালের সরাসরি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ১ হাজার ৩৭৫টি সহকারী শিক্ষক পদ অর্ন্তভুক্ত ছিল। বাকি পদগুলো ননক্যাডার থেকে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি।