বিসিএসে ভুয়া পরীক্ষার্থীকে যে শাস্তি দেবে পিএসসি

মোছাব্বের হোসেন

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন।

সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) বিসিএস পরীক্ষায় ভুয়া পরীক্ষার্থী ঠেকাতে বিশেষ আইন পাস করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এতে বিসিএসে ভুয়া পরীক্ষার্থী হিসেবে কেউ ধরা পড়লে বা প্রমাণিত হলে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন অর্ডিন্যান্স ১৯৭৭ রহিতপূর্বক যুগোপযোগী করে পুনঃপ্রণয়নকল্পে প্রণীত আইনে এ বিধান রাখা হয়েছে। এ বছরের ২৩ জানুয়ারি আইনটি পাস করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।

আইনে বলা আছে, বিসিএস পরীক্ষায় কোনো ব্যক্তি পরীক্ষার্থী না হওয়ার পরও নিজেকে পরীক্ষার্থী হিসেবে হাজির করে বা পরীক্ষার্থী বলে ভান করে মিথ্যা তথ্য প্রদান করে পরীক্ষার সময় পরীক্ষার হলে প্রবেশ করলে বা অন্য কোনো ব্যক্তির নামে বা কোনো কল্পিত নামে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলে এটি একটি অপরাধ বলে ধরা হবে। এ অপরাধের জন্য ওই ব্যক্তিকে অনধিক দুই বছরের কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, আগে এ বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছু বলা ছিল না। বিসিএসের পরীক্ষায় ভুয়া পরীক্ষার্থী ধরা পড়লেও যথাযথ আইন না থাকায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেত না। এ আইনের ফলে ভুয়া পরীক্ষার্থীদের দুই বছর পর্যন্ত কারাবাসের সাজা দেওয়ার বিধান রয়েছে। এ ছাড়া অর্থদণ্ড বা কারাবাস—দুই ধরনের সাজাই দেওয়া যাবে। এ আইন ভুয়া পরীক্ষার্থীদের জন্য একটি বার্তা বলে মনে করেন ওই কর্মকর্তা।

পিএসসির ওই কর্মকর্তা বলেন, যোগ্য প্রার্থী বা মেধাবীরাই যাতে বিসিএসের মাধ্যমে চাকরি পান, তা নিশ্চিত করতে এ আইন কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। এতে ভুয়া পরীক্ষার্থীরা যেমন নিরুৎসাহিত হবেন, তেমনি এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে ভয় পাবেন। মূলত মেধাবীদের জায়গা করে দেওয়া ও বিসিএস পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতেই যুগোপযোগী এ আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এখন থেকে পিএসসি এ আইন প্রয়োগ করতে পারবে বলেই জানান ওই কর্মকর্তা।

বিসিএস পরীক্ষায় ভুয়া পরীক্ষার্থী হিসেবে কেউ ধরা পড়লে বা প্রমাণিত হলে অনধিক দুই বছরের কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।

এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে কয়েক চাকরিপ্রার্থী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভুয়া পরীক্ষার্থী অন্যজনের পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেলে এটা মেধাবীদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। কারণ, একজন ভুয়া পরীক্ষার্থীর মাধ্যমে কেউ চাকরি পেলে একজন মেধাবী বঞ্চিত হন। এ আইনের মাধ্যমে সাজা ও অর্থদণ্ডের বিধান থাকায় সহজে আর কেউ এ ধরনের সাহস পাবেন না। যথাযথ পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাবীরাই চাকরি পাক, এ প্রত্যাশা আমাদের।

বিসিএসে ভুয়া পরীক্ষার্থীকে যে শাস্তি দেবে পিএসসি

মোছাব্বের হোসেন

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন।

সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) বিসিএস পরীক্ষায় ভুয়া পরীক্ষার্থী ঠেকাতে বিশেষ আইন পাস করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এতে বিসিএসে ভুয়া পরীক্ষার্থী হিসেবে কেউ ধরা পড়লে বা প্রমাণিত হলে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন অর্ডিন্যান্স ১৯৭৭ রহিতপূর্বক যুগোপযোগী করে পুনঃপ্রণয়নকল্পে প্রণীত আইনে এ বিধান রাখা হয়েছে। এ বছরের ২৩ জানুয়ারি আইনটি পাস করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।

আইনে বলা আছে, বিসিএস পরীক্ষায় কোনো ব্যক্তি পরীক্ষার্থী না হওয়ার পরও নিজেকে পরীক্ষার্থী হিসেবে হাজির করে বা পরীক্ষার্থী বলে ভান করে মিথ্যা তথ্য প্রদান করে পরীক্ষার সময় পরীক্ষার হলে প্রবেশ করলে বা অন্য কোনো ব্যক্তির নামে বা কোনো কল্পিত নামে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলে এটি একটি অপরাধ বলে ধরা হবে। এ অপরাধের জন্য ওই ব্যক্তিকে অনধিক দুই বছরের কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, আগে এ বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছু বলা ছিল না। বিসিএসের পরীক্ষায় ভুয়া পরীক্ষার্থী ধরা পড়লেও যথাযথ আইন না থাকায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেত না। এ আইনের ফলে ভুয়া পরীক্ষার্থীদের দুই বছর পর্যন্ত কারাবাসের সাজা দেওয়ার বিধান রয়েছে। এ ছাড়া অর্থদণ্ড বা কারাবাস—দুই ধরনের সাজাই দেওয়া যাবে। এ আইন ভুয়া পরীক্ষার্থীদের জন্য একটি বার্তা বলে মনে করেন ওই কর্মকর্তা।

পিএসসির ওই কর্মকর্তা বলেন, যোগ্য প্রার্থী বা মেধাবীরাই যাতে বিসিএসের মাধ্যমে চাকরি পান, তা নিশ্চিত করতে এ আইন কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। এতে ভুয়া পরীক্ষার্থীরা যেমন নিরুৎসাহিত হবেন, তেমনি এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে ভয় পাবেন। মূলত মেধাবীদের জায়গা করে দেওয়া ও বিসিএস পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতেই যুগোপযোগী এ আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এখন থেকে পিএসসি এ আইন প্রয়োগ করতে পারবে বলেই জানান ওই কর্মকর্তা।

বিসিএস পরীক্ষায় ভুয়া পরীক্ষার্থী হিসেবে কেউ ধরা পড়লে বা প্রমাণিত হলে অনধিক দুই বছরের কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।

এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে কয়েক চাকরিপ্রার্থী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভুয়া পরীক্ষার্থী অন্যজনের পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেলে এটা মেধাবীদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। কারণ, একজন ভুয়া পরীক্ষার্থীর মাধ্যমে কেউ চাকরি পেলে একজন মেধাবী বঞ্চিত হন। এ আইনের মাধ্যমে সাজা ও অর্থদণ্ডের বিধান থাকায় সহজে আর কেউ এ ধরনের সাহস পাবেন না। যথাযথ পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাবীরাই চাকরি পাক, এ প্রত্যাশা আমাদের।