বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগে ও পরে

বিশ্ববিদ্যালয় জীবন একজন শিক্ষার্থীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তার আগে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া। তবে পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে একজন শিক্ষার্থীকে তুমুল প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। কিন্তু নিজেকে একটু গুছিয়ে নিলে সেই প্রতিযোগিতাটা সহজ হয়ে ওঠে। এর জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। এই প্রস্তুতির বিভিন্ন দিক নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর।
ড. সৌমিত্র শেখর
ড. সৌমিত্র শেখর

বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করার প্রক্রিয়াটি পূর্বের যেকোনো সময়ের চেয়ে প্রতিযোগিতাপূর্ণ। আমাদের দেশের স্কুল ও কলেজের শিক্ষাধারার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় বা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের পরীক্ষার মধ্যে খানিকটা ভিন্নতা রয়েছে। বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের জন্য যে আলাদা আলাদা প্রস্তুতি, সে অনুযায়ী নিজেকে প্রস্তুত করে নিতে হবে। মনোযোগের সঙ্গে সুচিন্তিতভাবে সময়টার যথাযথ ব্যবহার করতে হবে। নিতে হবে পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি।

দূরত্ব কোনো বাধা নয়
শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকের বদ্ধমূল ধারণা হচ্ছে—তাকে ঢাকায় অবস্থান করেই উচ্চশিক্ষা নিতে হবে। এমনকি ঢাকায় থাকবে বলেই যেকোনো বিষয়ে ভর্তি হয়ে যায়। তারা ঢাকা থেকে দূরবর্তী কোনো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভালো বিষয়ে ভর্তি হতে চায় না। এই বিষয়গুলো এখনো বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে কাজ করে। বাংলাদেশে এখন ঢাকা ছাড়াও অনেক ভালো মানের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সময়োপযোগী অনেক বিষয় নিয়ে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে।যাতায়াতব্যবস্থাও বেশ সন্তোষজনক। এ জন্য একজন শিক্ষার্থীকে দূরত্বের কথা ভুলে ভর্তির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

বিষয়ের প্রতি ভালো লাগা থাকতে হবে
উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিষয় নির্বাচন করাটা খুবই জরুরি। যে বিষয়টি সম্পর্কে নিজের ধারণা নেই, যে বিষয়টিকে ভালো লাগে না, সেই ধরনের বিষয় নির্বাচন করা উচিত হবে না। যে বিষয়ে তার ভালো লাগা রয়েছে, সেই বিষয়েই ভর্তি হওয়া উচিত।

সিদ্ধান্ত নিতে হবে প্রথম সেমিস্টারেই
একজন শিক্ষার্থী যদি সরকারি চাকরি, করপোরেট চাকরি বা দেশের বাইরে চাকরি—যেখানেই ক্যারিয়ার গড়তে চায়, তাকে প্রথম বর্ষের প্রথম সেমিস্টার থেকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। এতে দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি যেমন থাকবে, ডিটারমিনেশন যেমন থাকবে, তেমনি দেখা যাবে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার পরপর চাকরিতে প্রবেশ করাটাও তার জন্য তুলনামূলক সহজ হবে। চাকরির জন্য তাকে খুব বেশি সময় অপেক্ষা করতে হবে না।

গড্ডলিকাপ্রবাহে গা ভাসানো যাবে না
অস্বীকার করার সুযোগ নেই, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নানান সংকট রয়েছে। এ জন্য নেতিবাচক বিষয়াদি বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে অতিক্রম করতে হবে। অনেকে তা অতিক্রম করতে না পেরে গড্ডলিকাপ্রবাহে গা ভাসিয়ে দেয়; একটা সময় নিজেই নিজেকে প্রত্যাহার করে নেয়। সে ভেবে নেয় আমার দ্বারা এত প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা দিয়ে চাকরি হবে না। তবে নিজের ভবিষ্যৎ গঠনে গড্ডলিকাপ্রবাহে গা ভাসানো থেকে বিরত থাকতে হবে। গ্রহণ করতে হবে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা, নিজের ওপর পূর্ণ আস্থা ও আত্মবিশ্বাস।

পড়তে হবে, জানতে হবে
আর যারা পড়াশোনা করবে, তারা আমাদের যে সেমিস্টার পদ্ধতি, সেটি অনুসারে ভালো করতে হবে। ক্লাসে উপস্থিত থেকে শুরু করে অ্যাসাইনমেন্ট, মিডটার্ম, প্রেজেন্টেশন বা সেমিস্টার ফাইনালে তাকে ভালো করতে হবে। কিন্তু সে যদি ওপেন কমপিটিশনে যেতে চায়, তাহলে তাকে একই সঙ্গে নিজের বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে এবং একই সঙ্গে বাংলাদেশ, আন্তর্জাতিক, গণিত, তথ্যপ্রযুক্তি থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সবকিছুই জানতে হবে। ফ্রি হ্যান্ডে ইংরেজি লেখাটা তাকে রপ্ত করতে হবে, যা একটা টোটাল প্রিপারেশনের অংশ। এটা যে যত দ্রুত নিতে পারবে, সে ততটাই এগিয়ে যাবে।

শিক্ষার্থীদের আত্মনিয়ন্ত্রণ করতে হবে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের যথাযথ ব্যবহার করতে হবে। এটা অনেক সময় ভালো কাজে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এর মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার সময় নষ্ট করে। যেহেতু ছাত্রছাত্রীদের বয়স অনেক কম থাকে, এই সময় তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। এ সময় পরিবারের একটা বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে, পরিবারের সদস্যদের নিয়মিত খোঁজ রাখতে হবে। আমাদের অনেক পরিবারই জানে না, সন্তানেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে বা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির পর কী করছে। এটা কোনোভাবেই একটা ছেলে বা একটা মেয়ের জার্নি নয়, জার্নিটা পুরো একটা পরিবারের। এখানে পারিবারিক বন্ধন ও পারিবারিক সুরক্ষার দরকার আছে।

নিজেকে সচেতন হতে হবে
উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির পরই জেনে নিতে হবে বা শিক্ষকদের জানিয়ে দিতে হবে—ওই কোর্সটি শেষ করতে কী কী প্রতিবন্ধকতা তাঁকে অতিক্রম করতে হবে। সে ফার্স্ট ইয়ারে দুটো সেমিস্টারে পরীক্ষা দিয়ে সেকেন্ড ইয়ারে উঠল, কিন্তু সে ট্রান্সক্রিপ্টই তুলল না। সে জানলই না কোন সাবজেক্টে তার ভালো মার্কস আসছে, কোনটাতে আসেনি। তোমরা যে পরীক্ষা দেবে, ফলাফল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার রেজাল্ট তুলে নেবে। এর ফলে তুমি নিজেই তোমার পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। নিজে সচেতন হতে পারলে সংকট অনেকটাই কমে যাবে।

সংকট অতিক্রম করতে হবে
অবশ্যই তথ্যপ্রযুক্তি বা আইটির সঙ্গে থাকতে হবে। তবে এটা সব সময় মনে রাখতে হবে, একটা সময় যেমন তথ্যের অপ্রতুলতা সংকট তৈরি করেছিল, এখন তেমনি তথ্যের অতিপ্রতুলতা বা অতিপ্রাপ্যতা সংকট তৈরি করে; মানুষকে বিভ্রান্ত করে ফেলে। একজন শিক্ষার্থীকে সেই দক্ষতা অর্জন করতে হবে, প্রকৃত তথ্য আমি কীভাবে নেব। একটা সময়ে ছিল অপ্রাপ্তির অসুখ, এখন রয়েছে অতিপ্রাপ্তির বিড়ম্বনা। এমন সংকটকে অতিক্রম করতে হবে। যারা অতিক্রম করতে পারবে, তারাই এগিয়ে যাবে।

অনুলিখন: মো. আশিকুর রহমান

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগে ও পরে

বিশ্ববিদ্যালয় জীবন একজন শিক্ষার্থীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তার আগে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া। তবে পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে একজন শিক্ষার্থীকে তুমুল প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। কিন্তু নিজেকে একটু গুছিয়ে নিলে সেই প্রতিযোগিতাটা সহজ হয়ে ওঠে। এর জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। এই প্রস্তুতির বিভিন্ন দিক নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর।
ড. সৌমিত্র শেখর
ড. সৌমিত্র শেখর

বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করার প্রক্রিয়াটি পূর্বের যেকোনো সময়ের চেয়ে প্রতিযোগিতাপূর্ণ। আমাদের দেশের স্কুল ও কলেজের শিক্ষাধারার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় বা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের পরীক্ষার মধ্যে খানিকটা ভিন্নতা রয়েছে। বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের জন্য যে আলাদা আলাদা প্রস্তুতি, সে অনুযায়ী নিজেকে প্রস্তুত করে নিতে হবে। মনোযোগের সঙ্গে সুচিন্তিতভাবে সময়টার যথাযথ ব্যবহার করতে হবে। নিতে হবে পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি।

দূরত্ব কোনো বাধা নয়
শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকের বদ্ধমূল ধারণা হচ্ছে—তাকে ঢাকায় অবস্থান করেই উচ্চশিক্ষা নিতে হবে। এমনকি ঢাকায় থাকবে বলেই যেকোনো বিষয়ে ভর্তি হয়ে যায়। তারা ঢাকা থেকে দূরবর্তী কোনো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভালো বিষয়ে ভর্তি হতে চায় না। এই বিষয়গুলো এখনো বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে কাজ করে। বাংলাদেশে এখন ঢাকা ছাড়াও অনেক ভালো মানের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সময়োপযোগী অনেক বিষয় নিয়ে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে।যাতায়াতব্যবস্থাও বেশ সন্তোষজনক। এ জন্য একজন শিক্ষার্থীকে দূরত্বের কথা ভুলে ভর্তির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

বিষয়ের প্রতি ভালো লাগা থাকতে হবে
উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিষয় নির্বাচন করাটা খুবই জরুরি। যে বিষয়টি সম্পর্কে নিজের ধারণা নেই, যে বিষয়টিকে ভালো লাগে না, সেই ধরনের বিষয় নির্বাচন করা উচিত হবে না। যে বিষয়ে তার ভালো লাগা রয়েছে, সেই বিষয়েই ভর্তি হওয়া উচিত।

সিদ্ধান্ত নিতে হবে প্রথম সেমিস্টারেই
একজন শিক্ষার্থী যদি সরকারি চাকরি, করপোরেট চাকরি বা দেশের বাইরে চাকরি—যেখানেই ক্যারিয়ার গড়তে চায়, তাকে প্রথম বর্ষের প্রথম সেমিস্টার থেকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। এতে দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি যেমন থাকবে, ডিটারমিনেশন যেমন থাকবে, তেমনি দেখা যাবে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার পরপর চাকরিতে প্রবেশ করাটাও তার জন্য তুলনামূলক সহজ হবে। চাকরির জন্য তাকে খুব বেশি সময় অপেক্ষা করতে হবে না।

গড্ডলিকাপ্রবাহে গা ভাসানো যাবে না
অস্বীকার করার সুযোগ নেই, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নানান সংকট রয়েছে। এ জন্য নেতিবাচক বিষয়াদি বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে অতিক্রম করতে হবে। অনেকে তা অতিক্রম করতে না পেরে গড্ডলিকাপ্রবাহে গা ভাসিয়ে দেয়; একটা সময় নিজেই নিজেকে প্রত্যাহার করে নেয়। সে ভেবে নেয় আমার দ্বারা এত প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা দিয়ে চাকরি হবে না। তবে নিজের ভবিষ্যৎ গঠনে গড্ডলিকাপ্রবাহে গা ভাসানো থেকে বিরত থাকতে হবে। গ্রহণ করতে হবে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা, নিজের ওপর পূর্ণ আস্থা ও আত্মবিশ্বাস।

পড়তে হবে, জানতে হবে
আর যারা পড়াশোনা করবে, তারা আমাদের যে সেমিস্টার পদ্ধতি, সেটি অনুসারে ভালো করতে হবে। ক্লাসে উপস্থিত থেকে শুরু করে অ্যাসাইনমেন্ট, মিডটার্ম, প্রেজেন্টেশন বা সেমিস্টার ফাইনালে তাকে ভালো করতে হবে। কিন্তু সে যদি ওপেন কমপিটিশনে যেতে চায়, তাহলে তাকে একই সঙ্গে নিজের বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে এবং একই সঙ্গে বাংলাদেশ, আন্তর্জাতিক, গণিত, তথ্যপ্রযুক্তি থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সবকিছুই জানতে হবে। ফ্রি হ্যান্ডে ইংরেজি লেখাটা তাকে রপ্ত করতে হবে, যা একটা টোটাল প্রিপারেশনের অংশ। এটা যে যত দ্রুত নিতে পারবে, সে ততটাই এগিয়ে যাবে।

শিক্ষার্থীদের আত্মনিয়ন্ত্রণ করতে হবে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের যথাযথ ব্যবহার করতে হবে। এটা অনেক সময় ভালো কাজে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এর মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার সময় নষ্ট করে। যেহেতু ছাত্রছাত্রীদের বয়স অনেক কম থাকে, এই সময় তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। এ সময় পরিবারের একটা বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে, পরিবারের সদস্যদের নিয়মিত খোঁজ রাখতে হবে। আমাদের অনেক পরিবারই জানে না, সন্তানেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে বা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির পর কী করছে। এটা কোনোভাবেই একটা ছেলে বা একটা মেয়ের জার্নি নয়, জার্নিটা পুরো একটা পরিবারের। এখানে পারিবারিক বন্ধন ও পারিবারিক সুরক্ষার দরকার আছে।

নিজেকে সচেতন হতে হবে
উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির পরই জেনে নিতে হবে বা শিক্ষকদের জানিয়ে দিতে হবে—ওই কোর্সটি শেষ করতে কী কী প্রতিবন্ধকতা তাঁকে অতিক্রম করতে হবে। সে ফার্স্ট ইয়ারে দুটো সেমিস্টারে পরীক্ষা দিয়ে সেকেন্ড ইয়ারে উঠল, কিন্তু সে ট্রান্সক্রিপ্টই তুলল না। সে জানলই না কোন সাবজেক্টে তার ভালো মার্কস আসছে, কোনটাতে আসেনি। তোমরা যে পরীক্ষা দেবে, ফলাফল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার রেজাল্ট তুলে নেবে। এর ফলে তুমি নিজেই তোমার পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। নিজে সচেতন হতে পারলে সংকট অনেকটাই কমে যাবে।

সংকট অতিক্রম করতে হবে
অবশ্যই তথ্যপ্রযুক্তি বা আইটির সঙ্গে থাকতে হবে। তবে এটা সব সময় মনে রাখতে হবে, একটা সময় যেমন তথ্যের অপ্রতুলতা সংকট তৈরি করেছিল, এখন তেমনি তথ্যের অতিপ্রতুলতা বা অতিপ্রাপ্যতা সংকট তৈরি করে; মানুষকে বিভ্রান্ত করে ফেলে। একজন শিক্ষার্থীকে সেই দক্ষতা অর্জন করতে হবে, প্রকৃত তথ্য আমি কীভাবে নেব। একটা সময়ে ছিল অপ্রাপ্তির অসুখ, এখন রয়েছে অতিপ্রাপ্তির বিড়ম্বনা। এমন সংকটকে অতিক্রম করতে হবে। যারা অতিক্রম করতে পারবে, তারাই এগিয়ে যাবে।

অনুলিখন: মো. আশিকুর রহমান