ঝরে পড়া রোধে মডেল

অনুসরণীয় হোক কয়রার স্কুলটি

এমন পরিস্থিতির মধ্যে আমরা আশার আলোও দেখতে পাই খুলনার কয়রাকে ঘিরে। সেখানকার মহেশ্বরীপুরের হড্ডা গ্রামের হড্ডা ডিএম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিশুদের ঝরে পড়া রোধে দারুণ সাফল্য দেখিয়েছে।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্মিলিত প্রয়াসে এমন অভাবনীয় ঘটনা ঘটেছে সেখানে। জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২২ প্রতিযোগিতায় খুলনা জেলায় শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার কমাতে সেরা বিদ্যালয় হিসেবে নির্বাচিতও হয়েছে এ প্রতিষ্ঠান।

ঝরে পড়া রোধ করতে দারুণ এক মডেল হাজির করেছে এ বিদ্যালয়। কাছাকাছি বাড়ি, এমন শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি করে দল করা হয়েছে। তাদের কেউ একজন ক্লাসে অনুপস্থিত থাকলে অন্যরা শিক্ষকদের জানায়। এভাবে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত খোঁজখবর রাখেন শিক্ষকেরা।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, তাঁরা পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা করে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার একেবারেই শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন। ২০১৫ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীও ঝরে পড়েনি। অভাবের কারণে গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া বা কৃষিশ্রমে যুক্ত হওয়া শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনা সক্ষম হয়েছে।

বর্তমানে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০৬। শিক্ষক রয়েছেন পাঁচজন। শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতে শ্রেণিকক্ষগুলো সাজানো হয়েছে মনোমুগ্ধকরভাবে। রাখা হয়েছে শিক্ষামূলক বিভিন্ন খেলনা। রয়েছে সুশাসন ও শুদ্ধাচারে সততা স্টোর, মুক্তিযুদ্ধ কর্নার ও মানবতার দেয়াল। প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে পাঠদান করানো হয়। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে অভিভাবকদের সহযোগিতায় শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয় দুপুরের খাবার। সব দিক দিয়ে একটি আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়।

ঝরে পড়া রোধে সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা আছে। তবে সেখানে বড় ভূমিকা রাখতে হবে স্কুলের শিক্ষকদেরই, এর জন্য সহযোগিতা নিতে হবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও অভিভাবকদেরও। কয়রা স্কুলের আদর্শ এই মডেল গোটা দেশে অনুসরণীয় হয়ে উঠুক। আমরা চাই প্রতিটি শিশুই শিক্ষার আলোয় আলোকিত হোক।

ঝরে পড়া রোধে মডেল

অনুসরণীয় হোক কয়রার স্কুলটি

এমন পরিস্থিতির মধ্যে আমরা আশার আলোও দেখতে পাই খুলনার কয়রাকে ঘিরে। সেখানকার মহেশ্বরীপুরের হড্ডা গ্রামের হড্ডা ডিএম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিশুদের ঝরে পড়া রোধে দারুণ সাফল্য দেখিয়েছে।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্মিলিত প্রয়াসে এমন অভাবনীয় ঘটনা ঘটেছে সেখানে। জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২২ প্রতিযোগিতায় খুলনা জেলায় শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার কমাতে সেরা বিদ্যালয় হিসেবে নির্বাচিতও হয়েছে এ প্রতিষ্ঠান।

ঝরে পড়া রোধ করতে দারুণ এক মডেল হাজির করেছে এ বিদ্যালয়। কাছাকাছি বাড়ি, এমন শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি করে দল করা হয়েছে। তাদের কেউ একজন ক্লাসে অনুপস্থিত থাকলে অন্যরা শিক্ষকদের জানায়। এভাবে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত খোঁজখবর রাখেন শিক্ষকেরা।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, তাঁরা পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা করে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার একেবারেই শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন। ২০১৫ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীও ঝরে পড়েনি। অভাবের কারণে গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া বা কৃষিশ্রমে যুক্ত হওয়া শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনা সক্ষম হয়েছে।

বর্তমানে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০৬। শিক্ষক রয়েছেন পাঁচজন। শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতে শ্রেণিকক্ষগুলো সাজানো হয়েছে মনোমুগ্ধকরভাবে। রাখা হয়েছে শিক্ষামূলক বিভিন্ন খেলনা। রয়েছে সুশাসন ও শুদ্ধাচারে সততা স্টোর, মুক্তিযুদ্ধ কর্নার ও মানবতার দেয়াল। প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে পাঠদান করানো হয়। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে অভিভাবকদের সহযোগিতায় শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয় দুপুরের খাবার। সব দিক দিয়ে একটি আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়।

ঝরে পড়া রোধে সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা আছে। তবে সেখানে বড় ভূমিকা রাখতে হবে স্কুলের শিক্ষকদেরই, এর জন্য সহযোগিতা নিতে হবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও অভিভাবকদেরও। কয়রা স্কুলের আদর্শ এই মডেল গোটা দেশে অনুসরণীয় হয়ে উঠুক। আমরা চাই প্রতিটি শিশুই শিক্ষার আলোয় আলোকিত হোক।