আমাদের গ্র্যাজুয়েটরা বেকার থাকে না

২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়। সেদিনের সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় আর আজকের সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় এক নয়। গুণে-মানে এখন দেশের টপ-র‌্যাংকিং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি। অর্জনের ঝুলিতেও যোগ হয়েছে নানা প্রাপ্তি। দেশ রূপান্তরের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে নানা বিষয়ে কথা বলেছেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম মফিজুল ইসলাম

দেশ রূপান্তর : আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি জানতে চাই?

অধ্যাপক মফিজুল ইসলাম : প্রায় দুই যুগ আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছি আমরা। অপরাজনীতি, অপসংস্কৃতি, নেশায় আসক্তি, শিক্ষার্থীদের জঙ্গি-সম্পৃক্ততা থেকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে মুক্ত রাখতে পেরেছি। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে শিক্ষক উপদেষ্টা। আমাদের শিক্ষার্থীদের বিপথে যাওয়ার সুযোগ নেই। তারা ঠিকমতো ক্লাস করছে, লাইব্রেরিতে যাচ্ছে, গ্রুপ স্টাডি করছে। আমরা সেসব মনিটরিং করছি। আমাদের রয়েছে ১৮টি ‘স্টুডেন্ট ক্লাব’। এতে বাড়ছে ছাত্র-ছাত্রীদের নেতৃত্বগুণ ও আত্মবিশ্বাস। আমাদের গ্র্যাজুয়েটরা হবে পরিপূর্ণ মানুষ। লক্ষ্য একটাই, সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানের আদর্শ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলা।

দেশ রূপান্তর : শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন দিকটা বেশি পছন্দ করে এবং কেন?

অধ্যাপক মফিজুল ইসলাম : আমরা এ বিষয়ে একটা সমীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছি। আমার মনে হয়, শিক্ষার্থীরা বেশি পছন্দ করে ভালো শিক্ষক, যিনি ছাত্র-ছাত্রীদের শুধু বিদ্যাদানই করবেন না, তাদের যথার্থ পথপ্রদর্শকও হবেন। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগ দূর-দূরান্ত থেকে এসেছে, মধ্যবিত্ত ও গরিব পরিবারের সন্তান, গ্রাম থেকে এসেছে, ঢাকা শহরে তারা নতুন। নতুন পরিবেশে তারা চায় সত্যিকারের অভিভাবক, গাইড বা পথপ্রদর্শক। দ্বিতীয় পছন্দের জায়গাটি হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সেবা বা সার্ভিস। সেটা অনুধাবন করে আমরা ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ চালু করেছি।

দেশ রূপান্তর : আপনাদের কী কী ধরনের বৃত্তি বা সুবিধা চালু আছে?

অধ্যাপক মফিজুল ইসলাম : আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় একটি কল্যাণমুখী বিশ্ববিদ্যালয়। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সম্মানিত সদস্যরা কোন সম্মানী, ভাতা, এমনকি বোর্ড মিটিং করার জন্য সম্মানী নেন না। সমুদয় অর্থ শিক্ষার্থীকল্যাণ এবং অবকাঠামো-উন্নয়নে ব্যয় হয়। শিক্ষার্থীদের জন্য এইচএসসি/ও-লেভেলের রেজাল্টবেইজড বৃত্তি, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য বৃত্তি, সেমিস্টার রেজাল্টবেইজড বৃত্তি, প্রয়োজনানুসারে বৃত্তি, মহিলা শিক্ষার্থী বৃত্তি, উপজাতির বৃত্তিসহ প্রায় ডজনখানেক বৃত্তি চালু রয়েছে। আমরা বছরে প্রায় ১২ কোটি টাকা বৃত্তি দিয়ে থাকি। মেয়েদের জন্য রয়েছে ‘মহিলা হোস্টেল’, যেগুলো আমরা ছাত্রীদের সুবিধার্থে ভর্তুকি দিয়ে চালু রেখেছি।

দেশ রূপান্তর : কেন একজন শিক্ষার্থী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসবে?

অধ্যাপক মফিজুল ইসলাম : আগে পরিষ্কার হওয়া দরকার কেন কিছু সম্ভাবনাময় শিক্ষার্থী (প্রোসপেক্টিভ স্টুডেন্ট) সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চায় না বা আসবে না? ওইসব ছাত্র-ছাত্রীই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবে না যারা ক্লাসে উপস্থিতি ছাড়াই ডিগ্রি পেতে চায়, যারা গ্রুপ স্টাডি করতে চায় না, যারা প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস করবে না, যারা লাইব্রেরিতে যেতে নারাজ। তারা সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবে না। আমাদের শিক্ষকরা ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি যেমন মনোযোগী তেমনি তারা বেশ কঠোর। তারা পাঠদানে, প্রশ্নপত্র তৈরিতে, উত্তরপত্র নিরীক্ষায় কখনো স্ট্যান্ডার্ড কম্প্রোমাইজ করেন না। আমরা শিক্ষক নিয়োগে কখনো কম্প্রোমাইজ করি না। We always recruit the best Teachers. এটাই আমাদের আদর্শ। বলা চলে, বিশ্বখ্যাত অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির দর্শন ও আদর্শই আমরা অনুসরণ করি। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি যেমন বলে থাকে We are Best because our Teachers are Best আমরাও সেই পথে হাঁটছি। Higher Education Quality Enhancement Project-Gi External Peer Review Team-য়ের রিপোর্টে আমাদের দুটি ডিপার্টমেন্টকে Excellent Grade দেওয়া হয়েছে এবং বাকি সব বিভাগকে Very Good গ্রেড দেওয়া হয়েছে, যা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে বিরল।

দেশ রূপান্তর : দেশ-বিদেশে কর্মসংস্থানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবস্থান কেমন?

অধ্যাপক মফিজুল ইসলাম : আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছি। Career and Professional Development Service নামে একটি ডিপার্টমেন্ট খুলেছি। চাকরির এন্ট্রিতে যেসব অতিরিক্ত আবশ্যিক দক্ষতার প্রয়োজন, সর্বশেষ সেমিস্টারের পর শিক্ষার্থীদের আমরা সেসব বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। যেমন Soft Skill, CV writing, Interview Technique, Basic computing software, Presentation Skill, Leadership প্রভৃতি। আমাদের ফার্মেসি গ্র্যাজুয়েট, আর্কিটেকচার গ্র্যাজুয়েট, কম্পিউটার সায়েন্স গ্র্যাজুয়েট এবং টেক্সটাইল গ্র্যাজুয়েট কেউ বেকার থাকে না। চায়না বাজারে আমাদের টেক্সটাইল গ্র্যাজুয়েটদের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে; এটা সর্বজনবিদিত।

দেশ রূপান্তর : এখন পর্যন্ত আপনাদের অর্জন সম্বন্ধে জানতে চাই।

অধ্যাপক মফিজুল ইসলাম : গুণে-মানে আমরা এখন দেশের টপ-র‌্যাংকিং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি। সম্প্রতি সিমাগো নামে একটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন র‌্যাংকিং প্রতিষ্ঠান সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়কে নাম্বার ওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা দিয়েছে। এই অর্জন আমাদের গর্বের। আমরা কো-কারিকুলাম ও এক্সট্রা কারিকুলাম কার্যক্রমের ওপরও জোর দিয়েছি। আমাদের আইন বিভাগের ‘মুট কোর্ট সোসাইটি’ জাতীয়ভাবে বেশ কয়েকবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আমাদের ক্রিকেট টিম গতবার ক্লেমন ইউনি ক্রিকেট টুর্নামেন্টে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

দেশ রূপান্তর : আগামীতে আপনাদের পরিকল্পনা কী?

অধ্যাপক মফিজুল ইসলাম : এ বছরের ডিসেম্বর মাসেই আমরা নতুন ক্যাম্পাসে শিফ্ট করব। আমরা ইতিমধ্যে আগামী ১০ বছরের একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান তৈরির কাজে হাত দিয়েছি। নতুন ক্যাম্পাসে আমরা Most Modern Lab ও ডিজিটাল লাইব্রেরি স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। এ ছাড়া আমরা Entrepreneurship Development Program নামে একটি নতুন প্রোগ্রাম বা কোর্স চালু করতে চাই। যারা উদ্যোক্তা হতে চায়, তারা গোড়া থেকেই এই কোর্সে পড়াশোনা করবে। যাতে চাকরিদাতারা আমাদের কাছে ছুটে আসে অথবা আমাদের গ্র্যাজুয়েটরা উদ্যোক্তা হয়ে চাকরি দিতে পারে এটাই আমাদের আগামী দিনের লক্ষ্য।

আমাদের গ্র্যাজুয়েটরা বেকার থাকে না

২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়। সেদিনের সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় আর আজকের সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় এক নয়। গুণে-মানে এখন দেশের টপ-র‌্যাংকিং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি। অর্জনের ঝুলিতেও যোগ হয়েছে নানা প্রাপ্তি। দেশ রূপান্তরের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে নানা বিষয়ে কথা বলেছেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম মফিজুল ইসলাম

দেশ রূপান্তর : আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি জানতে চাই?

অধ্যাপক মফিজুল ইসলাম : প্রায় দুই যুগ আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছি আমরা। অপরাজনীতি, অপসংস্কৃতি, নেশায় আসক্তি, শিক্ষার্থীদের জঙ্গি-সম্পৃক্ততা থেকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে মুক্ত রাখতে পেরেছি। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে শিক্ষক উপদেষ্টা। আমাদের শিক্ষার্থীদের বিপথে যাওয়ার সুযোগ নেই। তারা ঠিকমতো ক্লাস করছে, লাইব্রেরিতে যাচ্ছে, গ্রুপ স্টাডি করছে। আমরা সেসব মনিটরিং করছি। আমাদের রয়েছে ১৮টি ‘স্টুডেন্ট ক্লাব’। এতে বাড়ছে ছাত্র-ছাত্রীদের নেতৃত্বগুণ ও আত্মবিশ্বাস। আমাদের গ্র্যাজুয়েটরা হবে পরিপূর্ণ মানুষ। লক্ষ্য একটাই, সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানের আদর্শ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলা।

দেশ রূপান্তর : শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন দিকটা বেশি পছন্দ করে এবং কেন?

অধ্যাপক মফিজুল ইসলাম : আমরা এ বিষয়ে একটা সমীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছি। আমার মনে হয়, শিক্ষার্থীরা বেশি পছন্দ করে ভালো শিক্ষক, যিনি ছাত্র-ছাত্রীদের শুধু বিদ্যাদানই করবেন না, তাদের যথার্থ পথপ্রদর্শকও হবেন। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগ দূর-দূরান্ত থেকে এসেছে, মধ্যবিত্ত ও গরিব পরিবারের সন্তান, গ্রাম থেকে এসেছে, ঢাকা শহরে তারা নতুন। নতুন পরিবেশে তারা চায় সত্যিকারের অভিভাবক, গাইড বা পথপ্রদর্শক। দ্বিতীয় পছন্দের জায়গাটি হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সেবা বা সার্ভিস। সেটা অনুধাবন করে আমরা ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ চালু করেছি।

দেশ রূপান্তর : আপনাদের কী কী ধরনের বৃত্তি বা সুবিধা চালু আছে?

অধ্যাপক মফিজুল ইসলাম : আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় একটি কল্যাণমুখী বিশ্ববিদ্যালয়। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সম্মানিত সদস্যরা কোন সম্মানী, ভাতা, এমনকি বোর্ড মিটিং করার জন্য সম্মানী নেন না। সমুদয় অর্থ শিক্ষার্থীকল্যাণ এবং অবকাঠামো-উন্নয়নে ব্যয় হয়। শিক্ষার্থীদের জন্য এইচএসসি/ও-লেভেলের রেজাল্টবেইজড বৃত্তি, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য বৃত্তি, সেমিস্টার রেজাল্টবেইজড বৃত্তি, প্রয়োজনানুসারে বৃত্তি, মহিলা শিক্ষার্থী বৃত্তি, উপজাতির বৃত্তিসহ প্রায় ডজনখানেক বৃত্তি চালু রয়েছে। আমরা বছরে প্রায় ১২ কোটি টাকা বৃত্তি দিয়ে থাকি। মেয়েদের জন্য রয়েছে ‘মহিলা হোস্টেল’, যেগুলো আমরা ছাত্রীদের সুবিধার্থে ভর্তুকি দিয়ে চালু রেখেছি।

দেশ রূপান্তর : কেন একজন শিক্ষার্থী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসবে?

অধ্যাপক মফিজুল ইসলাম : আগে পরিষ্কার হওয়া দরকার কেন কিছু সম্ভাবনাময় শিক্ষার্থী (প্রোসপেক্টিভ স্টুডেন্ট) সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চায় না বা আসবে না? ওইসব ছাত্র-ছাত্রীই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবে না যারা ক্লাসে উপস্থিতি ছাড়াই ডিগ্রি পেতে চায়, যারা গ্রুপ স্টাডি করতে চায় না, যারা প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস করবে না, যারা লাইব্রেরিতে যেতে নারাজ। তারা সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবে না। আমাদের শিক্ষকরা ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি যেমন মনোযোগী তেমনি তারা বেশ কঠোর। তারা পাঠদানে, প্রশ্নপত্র তৈরিতে, উত্তরপত্র নিরীক্ষায় কখনো স্ট্যান্ডার্ড কম্প্রোমাইজ করেন না। আমরা শিক্ষক নিয়োগে কখনো কম্প্রোমাইজ করি না। We always recruit the best Teachers. এটাই আমাদের আদর্শ। বলা চলে, বিশ্বখ্যাত অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির দর্শন ও আদর্শই আমরা অনুসরণ করি। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি যেমন বলে থাকে We are Best because our Teachers are Best আমরাও সেই পথে হাঁটছি। Higher Education Quality Enhancement Project-Gi External Peer Review Team-য়ের রিপোর্টে আমাদের দুটি ডিপার্টমেন্টকে Excellent Grade দেওয়া হয়েছে এবং বাকি সব বিভাগকে Very Good গ্রেড দেওয়া হয়েছে, যা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে বিরল।

দেশ রূপান্তর : দেশ-বিদেশে কর্মসংস্থানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবস্থান কেমন?

অধ্যাপক মফিজুল ইসলাম : আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছি। Career and Professional Development Service নামে একটি ডিপার্টমেন্ট খুলেছি। চাকরির এন্ট্রিতে যেসব অতিরিক্ত আবশ্যিক দক্ষতার প্রয়োজন, সর্বশেষ সেমিস্টারের পর শিক্ষার্থীদের আমরা সেসব বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। যেমন Soft Skill, CV writing, Interview Technique, Basic computing software, Presentation Skill, Leadership প্রভৃতি। আমাদের ফার্মেসি গ্র্যাজুয়েট, আর্কিটেকচার গ্র্যাজুয়েট, কম্পিউটার সায়েন্স গ্র্যাজুয়েট এবং টেক্সটাইল গ্র্যাজুয়েট কেউ বেকার থাকে না। চায়না বাজারে আমাদের টেক্সটাইল গ্র্যাজুয়েটদের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে; এটা সর্বজনবিদিত।

দেশ রূপান্তর : এখন পর্যন্ত আপনাদের অর্জন সম্বন্ধে জানতে চাই।

অধ্যাপক মফিজুল ইসলাম : গুণে-মানে আমরা এখন দেশের টপ-র‌্যাংকিং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি। সম্প্রতি সিমাগো নামে একটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন র‌্যাংকিং প্রতিষ্ঠান সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়কে নাম্বার ওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা দিয়েছে। এই অর্জন আমাদের গর্বের। আমরা কো-কারিকুলাম ও এক্সট্রা কারিকুলাম কার্যক্রমের ওপরও জোর দিয়েছি। আমাদের আইন বিভাগের ‘মুট কোর্ট সোসাইটি’ জাতীয়ভাবে বেশ কয়েকবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আমাদের ক্রিকেট টিম গতবার ক্লেমন ইউনি ক্রিকেট টুর্নামেন্টে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

দেশ রূপান্তর : আগামীতে আপনাদের পরিকল্পনা কী?

অধ্যাপক মফিজুল ইসলাম : এ বছরের ডিসেম্বর মাসেই আমরা নতুন ক্যাম্পাসে শিফ্ট করব। আমরা ইতিমধ্যে আগামী ১০ বছরের একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান তৈরির কাজে হাত দিয়েছি। নতুন ক্যাম্পাসে আমরা Most Modern Lab ও ডিজিটাল লাইব্রেরি স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। এ ছাড়া আমরা Entrepreneurship Development Program নামে একটি নতুন প্রোগ্রাম বা কোর্স চালু করতে চাই। যারা উদ্যোক্তা হতে চায়, তারা গোড়া থেকেই এই কোর্সে পড়াশোনা করবে। যাতে চাকরিদাতারা আমাদের কাছে ছুটে আসে অথবা আমাদের গ্র্যাজুয়েটরা উদ্যোক্তা হয়ে চাকরি দিতে পারে এটাই আমাদের আগামী দিনের লক্ষ্য।