প্রতি গ্রামেই গ্র্যাজুয়েট তৈরির লক্ষ্য

বাংলাদেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্নদ্রষ্টা অধ্যাপক এম আলিমউল্যা মিয়ান প্রতিষ্ঠা করেন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি)। ঢাকার উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টরে নিজস্ব ২০ বিঘা জমিতে আইইউবিএটির সবুজ ক্যাম্পাস। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি রয়েছে মিয়ান রিসার্চ সেন্টারে গবেষণায় যুক্ত হওয়ার সুযোগ। দেশ রূপান্তরের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিস্তারিত তুলে ধরেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুর রব

দেশ রূপান্তর : আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিষয়ে জানতে চাই।

অধ্যাপক আব্দুর রব : দেশের প্রতিটি গ্রাম থেকে অন্তত একজন পেশাদার স্নাতক গড়ে তোলার প্রত্যয়ে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এম আলিমউল্যা মিয়ানের উদ্যোগে ১৯৯১ সালে দেশের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে যাত্রা শুরু করে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির (আইইউবিএটি)। বর্তমানে সাত হাজারের বেশি শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়টির ৬টি অনুষদের ১১টি প্রোগ্রামে পড়ছেন। তাদেরকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে রয়েছেন প্রায় ৩০০ শিক্ষক।

দেশ রূপান্তর : এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কোন দিক শিক্ষার্থীদের পছন্দের।

অধ্যাপক আব্দুর রব : প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই আইইউবিএটি নিরলস পরিশ্রম করেছে দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে ভূমিকা রাখার। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত চলে ইংরেজি বলার চর্চা। বিভিন্ন কোর্সে কর্মজীবনের নানা ব্যবহারিক দিক নিয়ে ধারণা দেওয়া হয়। স্মাতকের শেষ অংশে নির্ধারিত প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের যুক্ত হতে হয় ইন্টার্ন হিসেবে। এছাড়া নিয়মিত বিতর্ক, বিএনসিসি, বিজনেস সোসাইটি, রোবটিকস ক্লাব, রোটার‌্যাক্ট, প্রোগ্রামিং ক্লাব, বিভাগীয় সোসাইটিসহ নানা সহশিক্ষা কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা গড়ে উঠছেন। ঢাকা ও এর আশপাশের অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে বিনামূল্যে পরিবহন সেবা। ইনডোর গেমস, সুবিশাল মাঠ, আধুনিক কম্পিউটার ল্যাব, সুবিশাল লাইব্রেরি আর স্বাস্থ্যসম্মত ক্যান্টিন নিয়ে শিক্ষার্থীদের আপন করে নিয়েছে আইইউবিএটি।

আমাদের প্রোগ্রামগুলোর মধ্যে শিক্ষার্থীদের একটি বৃহৎ অংশের পছন্দ হলো কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল। এরপর রয়েছে কৃষি বিজ্ঞান, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অন্যান্য শাখা, বিবিএ ও এমবিএ প্রোগ্রাম। তবে নার্সিং ও হোটেল ট্যুরিজমও ছাত্রদের বেশ পছন্দের। তাদের পছন্দের কারণ হলো এগুলো সবই পেশাধর্মী শিক্ষা, যা তাদের কর্মজীবনে সহায়ক।

দেশ রূপান্তর : আপনাদের কী কী ধরনের বৃত্তি চালু আছে?

অধ্যাপক আব্দুর রব : শিক্ষার্থীদের জন্য মেধাবৃত্তিসহ নানা আর্থিক প্রণোদনার ব্যবস্থা আছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলের ভিত্তিতে ভর্তিকালীন সময়ে সর্বোচ্চ শতভাগ মেধাবৃত্তির সুযোগ আছে আইইউবিএটিতে। পড়াশোনা চলাকালীন সময়েও ভালো ফলাফলের ভিত্তিতে আছে শিক্ষাবৃত্তি। এছাড়া নারী শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় উৎসাহ দিতে অতিরিক্ত ১৫ শতাংশ বৃত্তি দেওয়া হয়।

দেশ রূপান্তর : কেন একজন শিক্ষার্থী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসবে?

অধ্যাপক আব্দুর রব : দেশের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আইইউবিএটির রয়েছে শিক্ষাদানের দীর্ঘ সময়ের অভিজ্ঞতা। বেসরকারিভাবে দেশে প্রথম বিবিএ প্রোগ্রাম চালু হয় এই বিশ্ববিদ্যালয়ে, যা বর্তমানে এসিবিপিএস নিবন্ধিত প্রোগ্রাম। এছাড়া আইইউবিএটির চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামের মধ্যে তিনটি প্রোগ্রামই দ্য ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। এখানে শিক্ষার্থী-শিক্ষক অনুপাত ২৩:১। ৭০ জনেরও বেশি পিএইচডিধারী শিক্ষকের সঙ্গে আছেন প্রায় ৩০০ দক্ষ-অভিজ্ঞ শিক্ষক। শহরের মাঝে সবুজে ঘেরা এমন শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ একজন শিক্ষার্থীকে পড়াশোনায় উদ্বুদ্ধ করে। পড়াশোনার পাশাপাশি রয়েছে মিয়ান রিসার্চ সেন্টারে গবেষণায় যুক্ত হওয়ার সুযোগ। অর্থের অভাবে যেন কোনো মেধাবী শিক্ষার্থী পিছিয়ে না পড়ে তার সব রকম ব্যবস্থা নিয়ে প্রস্তুত আছে আইইউবিএটি। সব শিক্ষার্থীর জন্য আছে স্বাস্থ্যবীমা।

দেশ রূপান্তর : দেশ-বিদেশে কর্মসংস্থানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবস্থান কেমন?

অধ্যাপক আব্দুর রব : আইইউবিএটির অ্যালামনাই অ্যান্ড প্লেসমেন্ট অফিস থেকে প্রতিটি স্নাতককে তাদের যোগ্যতা অনুসারে চাকরি খুঁজে পেতে সাহায্য করা হয়। প্রতিবছর দেশ-বিদেশের শতাধিক প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে আইইউবিএটি ক্যাম্পাসে আয়োজন করা হয় ন্যাশনাল ক্যারিয়ার ফেস্টিভ্যাল। এছাড়া ক্যাম্পাসে নিয়মিতভাবে আয়োজন করা হয় নানা রকম কর্মশালা, যা শিক্ষার্থীদের চাকরির বাজারের প্রতিযোগিতার জন্য গড়ে তোলে। দেশের উচ্চপর্যায়ের ব্যাংক, টেলিফোন সেবা, এফএমসিজিসহ নানা ক্ষেত্রে আইইউবিএটির স্নাতকদের দৃঢ় অবস্থান আছে। যুক্তরাজ্য-ইউরোপের নানা দেশেও আইইউবিএটির স্নাতকরা ভালো প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন।

দেশ রূপান্তর : এখন পর্যন্ত আপনাদের অর্জন সম্বন্ধে জানতে চাই।

অধ্যাপক আব্দুর রব : ১৯৯৭ সালে আইইউবিএটি অ্যাসোসিয়েশন অব কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটিজের সদস্য হয়, যার মাধ্যমে কমনওয়েলথের সব দেশেই আইইউবিএটির ডিগ্রি স্বীকৃতি পায়। পরিবেশবান্ধব ক্যাম্পাস হিসেবে ২০০৮ সালে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা বিশ্ববিদ্যালয়টিকে ‘গ্রিন ক্যাম্পাস’ হিসেবে ঘোষণা দেন। এছাড়া ২০২২ সালের ইউআই গ্রিন মেট্রিক ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশে আইইউবিএটির অবস্থান দ্বিতীয়, আর বিশ্বের ৭৯টি দেশের ৯৫৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অবস্থান ২৯৪তম। ২০২১ সালে উরি (ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিস উইথ রিয়েল ইমপ্যাক্ট) র‌্যাংকিংয়ে নৈতিক মানের বিবেচনায় বিশ্বের শীর্ষ ৫০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ৩৯তম অবস্থান অর্জন করেছে আইইউবিএটি। ২০২২ সালের দ্য টাইমস হায়ার এডুকেশন ইমপ্যাক্ট র‌্যাংকিংয়ে ৬০১-৮০০তম অবস্থানে আছে প্রতিষ্ঠানটি। শিমাগো ইনস্টিটিউশনস র‌্যাংকিং ২০২২-এ সারা বিশ্বে আইইউবিএটির অবস্থান ৭৩৫তম। বিশ্বের ২৭টিরও বেশি দেশের ১১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্বাক্ষর চুক্তি হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।

দেশ রূপান্তর : আগামীতে আপনাদের পরিকল্পনা কী?

অধ্যাপক আব্দুর রব : দেশের প্রতিটি গ্রামে ছড়িয়ে পড়ার যে প্রত্যয় নিয়ে আইইউবিএটি যাত্রা শুরু করেছিল, সেই প্রত্যয় অনেকটাই সফল হয়েছে। শুধু দেশের ভেতরেই নয়; বরং আন্তর্জাতিক পরিসরে নিজেদের সেরাটা দিয়ে মেলে ধরতে চাই আমরা। ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শীর্ষে জায়গা করে নেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে আইইউবিএটি। আইইউবিএটির প্রতিষ্ঠাতা এই বিশ্ববিদ্যালয়কে কৃষ্ণচূড়া ফুলের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন।

কৃষ্ণচূড়া ফুলের গাছে যেমন ফুল ফুটলে তা দূর থেকে দেখা যায়; তেমনি একটি গ্রামে একজন শিক্ষিত পেশাজীবী স্নাতক থাকলে তার মাধ্যমে গোটা গ্রাম তথা সারা দেশ উপকৃত হয়। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আগামীর প্রজন্মকে প্রস্তুত করতে আইইউবিএটির এই প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।

প্রতি গ্রামেই গ্র্যাজুয়েট তৈরির লক্ষ্য

বাংলাদেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্নদ্রষ্টা অধ্যাপক এম আলিমউল্যা মিয়ান প্রতিষ্ঠা করেন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি)। ঢাকার উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টরে নিজস্ব ২০ বিঘা জমিতে আইইউবিএটির সবুজ ক্যাম্পাস। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি রয়েছে মিয়ান রিসার্চ সেন্টারে গবেষণায় যুক্ত হওয়ার সুযোগ। দেশ রূপান্তরের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিস্তারিত তুলে ধরেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুর রব

দেশ রূপান্তর : আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিষয়ে জানতে চাই।

অধ্যাপক আব্দুর রব : দেশের প্রতিটি গ্রাম থেকে অন্তত একজন পেশাদার স্নাতক গড়ে তোলার প্রত্যয়ে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এম আলিমউল্যা মিয়ানের উদ্যোগে ১৯৯১ সালে দেশের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে যাত্রা শুরু করে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির (আইইউবিএটি)। বর্তমানে সাত হাজারের বেশি শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়টির ৬টি অনুষদের ১১টি প্রোগ্রামে পড়ছেন। তাদেরকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে রয়েছেন প্রায় ৩০০ শিক্ষক।

দেশ রূপান্তর : এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কোন দিক শিক্ষার্থীদের পছন্দের।

অধ্যাপক আব্দুর রব : প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই আইইউবিএটি নিরলস পরিশ্রম করেছে দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে ভূমিকা রাখার। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত চলে ইংরেজি বলার চর্চা। বিভিন্ন কোর্সে কর্মজীবনের নানা ব্যবহারিক দিক নিয়ে ধারণা দেওয়া হয়। স্মাতকের শেষ অংশে নির্ধারিত প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের যুক্ত হতে হয় ইন্টার্ন হিসেবে। এছাড়া নিয়মিত বিতর্ক, বিএনসিসি, বিজনেস সোসাইটি, রোবটিকস ক্লাব, রোটার‌্যাক্ট, প্রোগ্রামিং ক্লাব, বিভাগীয় সোসাইটিসহ নানা সহশিক্ষা কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা গড়ে উঠছেন। ঢাকা ও এর আশপাশের অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে বিনামূল্যে পরিবহন সেবা। ইনডোর গেমস, সুবিশাল মাঠ, আধুনিক কম্পিউটার ল্যাব, সুবিশাল লাইব্রেরি আর স্বাস্থ্যসম্মত ক্যান্টিন নিয়ে শিক্ষার্থীদের আপন করে নিয়েছে আইইউবিএটি।

আমাদের প্রোগ্রামগুলোর মধ্যে শিক্ষার্থীদের একটি বৃহৎ অংশের পছন্দ হলো কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল। এরপর রয়েছে কৃষি বিজ্ঞান, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অন্যান্য শাখা, বিবিএ ও এমবিএ প্রোগ্রাম। তবে নার্সিং ও হোটেল ট্যুরিজমও ছাত্রদের বেশ পছন্দের। তাদের পছন্দের কারণ হলো এগুলো সবই পেশাধর্মী শিক্ষা, যা তাদের কর্মজীবনে সহায়ক।

দেশ রূপান্তর : আপনাদের কী কী ধরনের বৃত্তি চালু আছে?

অধ্যাপক আব্দুর রব : শিক্ষার্থীদের জন্য মেধাবৃত্তিসহ নানা আর্থিক প্রণোদনার ব্যবস্থা আছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলের ভিত্তিতে ভর্তিকালীন সময়ে সর্বোচ্চ শতভাগ মেধাবৃত্তির সুযোগ আছে আইইউবিএটিতে। পড়াশোনা চলাকালীন সময়েও ভালো ফলাফলের ভিত্তিতে আছে শিক্ষাবৃত্তি। এছাড়া নারী শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় উৎসাহ দিতে অতিরিক্ত ১৫ শতাংশ বৃত্তি দেওয়া হয়।

দেশ রূপান্তর : কেন একজন শিক্ষার্থী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসবে?

অধ্যাপক আব্দুর রব : দেশের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আইইউবিএটির রয়েছে শিক্ষাদানের দীর্ঘ সময়ের অভিজ্ঞতা। বেসরকারিভাবে দেশে প্রথম বিবিএ প্রোগ্রাম চালু হয় এই বিশ্ববিদ্যালয়ে, যা বর্তমানে এসিবিপিএস নিবন্ধিত প্রোগ্রাম। এছাড়া আইইউবিএটির চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামের মধ্যে তিনটি প্রোগ্রামই দ্য ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। এখানে শিক্ষার্থী-শিক্ষক অনুপাত ২৩:১। ৭০ জনেরও বেশি পিএইচডিধারী শিক্ষকের সঙ্গে আছেন প্রায় ৩০০ দক্ষ-অভিজ্ঞ শিক্ষক। শহরের মাঝে সবুজে ঘেরা এমন শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ একজন শিক্ষার্থীকে পড়াশোনায় উদ্বুদ্ধ করে। পড়াশোনার পাশাপাশি রয়েছে মিয়ান রিসার্চ সেন্টারে গবেষণায় যুক্ত হওয়ার সুযোগ। অর্থের অভাবে যেন কোনো মেধাবী শিক্ষার্থী পিছিয়ে না পড়ে তার সব রকম ব্যবস্থা নিয়ে প্রস্তুত আছে আইইউবিএটি। সব শিক্ষার্থীর জন্য আছে স্বাস্থ্যবীমা।

দেশ রূপান্তর : দেশ-বিদেশে কর্মসংস্থানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবস্থান কেমন?

অধ্যাপক আব্দুর রব : আইইউবিএটির অ্যালামনাই অ্যান্ড প্লেসমেন্ট অফিস থেকে প্রতিটি স্নাতককে তাদের যোগ্যতা অনুসারে চাকরি খুঁজে পেতে সাহায্য করা হয়। প্রতিবছর দেশ-বিদেশের শতাধিক প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে আইইউবিএটি ক্যাম্পাসে আয়োজন করা হয় ন্যাশনাল ক্যারিয়ার ফেস্টিভ্যাল। এছাড়া ক্যাম্পাসে নিয়মিতভাবে আয়োজন করা হয় নানা রকম কর্মশালা, যা শিক্ষার্থীদের চাকরির বাজারের প্রতিযোগিতার জন্য গড়ে তোলে। দেশের উচ্চপর্যায়ের ব্যাংক, টেলিফোন সেবা, এফএমসিজিসহ নানা ক্ষেত্রে আইইউবিএটির স্নাতকদের দৃঢ় অবস্থান আছে। যুক্তরাজ্য-ইউরোপের নানা দেশেও আইইউবিএটির স্নাতকরা ভালো প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন।

দেশ রূপান্তর : এখন পর্যন্ত আপনাদের অর্জন সম্বন্ধে জানতে চাই।

অধ্যাপক আব্দুর রব : ১৯৯৭ সালে আইইউবিএটি অ্যাসোসিয়েশন অব কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটিজের সদস্য হয়, যার মাধ্যমে কমনওয়েলথের সব দেশেই আইইউবিএটির ডিগ্রি স্বীকৃতি পায়। পরিবেশবান্ধব ক্যাম্পাস হিসেবে ২০০৮ সালে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা বিশ্ববিদ্যালয়টিকে ‘গ্রিন ক্যাম্পাস’ হিসেবে ঘোষণা দেন। এছাড়া ২০২২ সালের ইউআই গ্রিন মেট্রিক ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশে আইইউবিএটির অবস্থান দ্বিতীয়, আর বিশ্বের ৭৯টি দেশের ৯৫৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অবস্থান ২৯৪তম। ২০২১ সালে উরি (ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিস উইথ রিয়েল ইমপ্যাক্ট) র‌্যাংকিংয়ে নৈতিক মানের বিবেচনায় বিশ্বের শীর্ষ ৫০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ৩৯তম অবস্থান অর্জন করেছে আইইউবিএটি। ২০২২ সালের দ্য টাইমস হায়ার এডুকেশন ইমপ্যাক্ট র‌্যাংকিংয়ে ৬০১-৮০০তম অবস্থানে আছে প্রতিষ্ঠানটি। শিমাগো ইনস্টিটিউশনস র‌্যাংকিং ২০২২-এ সারা বিশ্বে আইইউবিএটির অবস্থান ৭৩৫তম। বিশ্বের ২৭টিরও বেশি দেশের ১১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্বাক্ষর চুক্তি হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।

দেশ রূপান্তর : আগামীতে আপনাদের পরিকল্পনা কী?

অধ্যাপক আব্দুর রব : দেশের প্রতিটি গ্রামে ছড়িয়ে পড়ার যে প্রত্যয় নিয়ে আইইউবিএটি যাত্রা শুরু করেছিল, সেই প্রত্যয় অনেকটাই সফল হয়েছে। শুধু দেশের ভেতরেই নয়; বরং আন্তর্জাতিক পরিসরে নিজেদের সেরাটা দিয়ে মেলে ধরতে চাই আমরা। ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শীর্ষে জায়গা করে নেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে আইইউবিএটি। আইইউবিএটির প্রতিষ্ঠাতা এই বিশ্ববিদ্যালয়কে কৃষ্ণচূড়া ফুলের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন।

কৃষ্ণচূড়া ফুলের গাছে যেমন ফুল ফুটলে তা দূর থেকে দেখা যায়; তেমনি একটি গ্রামে একজন শিক্ষিত পেশাজীবী স্নাতক থাকলে তার মাধ্যমে গোটা গ্রাম তথা সারা দেশ উপকৃত হয়। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আগামীর প্রজন্মকে প্রস্তুত করতে আইইউবিএটির এই প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।