ভিক্ষাবৃত্তি ইসলামের শিক্ষা নয়

ড. মো. শাহজাহান কবীর

প্রতীকী ছবি

ইসলামে ভিক্ষাবৃত্তি একটি ঘৃণিত ও অসম্মানজনক কাজ। ভিক্ষুকেরা সমাজে অত্যন্ত তুচ্ছ ও অবহেলিত জীবন যাপন করে। ইসলাম ভিক্ষাবৃত্তিকে কখনো প্রশ্রয় দেয়নি; মানুষের কাছে হাত পাততে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘মহান আল্লাহর কাছে হালাল কাজগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট এবং রাগান্বিত হওয়ার মতো কাজ হলো স্ত্রীকে তালাক দেওয়া এবং ভিক্ষাবৃত্তি করা।’

(ইবনে মাজাহ)অন্য হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি প্রয়োজন ছাড়া ভিক্ষা চায়, সে হাতে অঙ্গার একত্রিত করার মতো ভয়াবহ কাজ করে।’ (বায়হাকি) অন্য হাদিসে তিনি বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা সম্পদ অপচয় ও ভিক্ষাবৃত্তি অপছন্দ করেন।’ (বুখারি)

কোনো মুসলমান ভিক্ষার জন্য অন্যের কাছে হাত পাতলে তার চেহারার সজীবতা নষ্ট হয়ে যায় এবং সমাজের কাছে মর্যাদা হারায়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তিন ব্যক্তি ছাড়া কারও জন্য ভিক্ষা করা জায়েজ নেই। এক. ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি, যার সব সম্পদ শেষ হয়ে গেছে, তার জন্য ভিক্ষার অনুমতি রয়েছে। যখন প্রয়োজন শেষ হয়ে যাবে, তখন আর ভিক্ষা করা হালাল হবে না। দুই. ওই ব্যক্তি, যার সম্পদ কোনো কারণে ধ্বংস হয়ে গেছে। তার জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী ভিক্ষা করা হালাল। তিন. ওই ব্যক্তি, যে একেবারেই নিঃস্ব এবং তার বংশের তিনজন সাক্ষী দেয় যে, সে নিঃস্ব। তার জন্যও প্রয়োজন অনুযায়ী ভিক্ষা করা হালাল। এর বেশি হালাল নয়।’ (মুসলিম)

রাসুল (সা.) নিজেও পরিশ্রম করে উপার্জন করতেন। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘সালাত শেষ করে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ো এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ করো।’ (সুরা জুমআ: ১০)

লেখক: ড. মো. শাহজাহান কবীর, বিভাগীয় প্রধান, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

ভিক্ষাবৃত্তি ইসলামের শিক্ষা নয়

ড. মো. শাহজাহান কবীর

প্রতীকী ছবি

ইসলামে ভিক্ষাবৃত্তি একটি ঘৃণিত ও অসম্মানজনক কাজ। ভিক্ষুকেরা সমাজে অত্যন্ত তুচ্ছ ও অবহেলিত জীবন যাপন করে। ইসলাম ভিক্ষাবৃত্তিকে কখনো প্রশ্রয় দেয়নি; মানুষের কাছে হাত পাততে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘মহান আল্লাহর কাছে হালাল কাজগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট এবং রাগান্বিত হওয়ার মতো কাজ হলো স্ত্রীকে তালাক দেওয়া এবং ভিক্ষাবৃত্তি করা।’

(ইবনে মাজাহ)অন্য হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি প্রয়োজন ছাড়া ভিক্ষা চায়, সে হাতে অঙ্গার একত্রিত করার মতো ভয়াবহ কাজ করে।’ (বায়হাকি) অন্য হাদিসে তিনি বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা সম্পদ অপচয় ও ভিক্ষাবৃত্তি অপছন্দ করেন।’ (বুখারি)

কোনো মুসলমান ভিক্ষার জন্য অন্যের কাছে হাত পাতলে তার চেহারার সজীবতা নষ্ট হয়ে যায় এবং সমাজের কাছে মর্যাদা হারায়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তিন ব্যক্তি ছাড়া কারও জন্য ভিক্ষা করা জায়েজ নেই। এক. ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি, যার সব সম্পদ শেষ হয়ে গেছে, তার জন্য ভিক্ষার অনুমতি রয়েছে। যখন প্রয়োজন শেষ হয়ে যাবে, তখন আর ভিক্ষা করা হালাল হবে না। দুই. ওই ব্যক্তি, যার সম্পদ কোনো কারণে ধ্বংস হয়ে গেছে। তার জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী ভিক্ষা করা হালাল। তিন. ওই ব্যক্তি, যে একেবারেই নিঃস্ব এবং তার বংশের তিনজন সাক্ষী দেয় যে, সে নিঃস্ব। তার জন্যও প্রয়োজন অনুযায়ী ভিক্ষা করা হালাল। এর বেশি হালাল নয়।’ (মুসলিম)

রাসুল (সা.) নিজেও পরিশ্রম করে উপার্জন করতেন। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘সালাত শেষ করে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ো এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ করো।’ (সুরা জুমআ: ১০)

লেখক: ড. মো. শাহজাহান কবীর, বিভাগীয় প্রধান, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি