মেধাবীরা কেন প্রাথমিক শিক্ষক পদে থাকছেন না

মো. জামিল বাসার

সারা দেশে মোট ৬৫ হাজার ৫৯৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। এসব বিদ্যালয়ে ৪ লাখেরও বেশি শিক্ষক কর্মরত। ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগের অপেক্ষায় আছেন। ২০২০ সালের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগবিধি পরিবর্তন করে প্রধান ও সহকারী শিক্ষকদের স্নাতক যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে। আগে মহিলাদের জন্য নিয়োগ যোগ্যতা ছিল এইচএসসি এবং পুরুষদের স্নাতক। বর্তমানে নারী, পুরুষ উভয়ের জন্যই নিয়োগ যোগ্যতা স্নাতক। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ আমরা দেখতে পাচ্ছি অধিকতর যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষকরা নিয়োগ পাওয়ার কিছুদিন পরই অন্যান্য চাকরিতে চলে যাচ্ছেন। চলে যাবেই না বা কেন? অন্যান্য মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, পরিদপ্তরের নিয়োগ যোগ্যতা হিসাবে যেখানেই স্নাতক চাওয়া হয়েছে, সেখানে শুরুতেই একজন কর্মচারী ১০ম গ্রেড পাচ্ছেন। একমাত্র প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রধান এবং সহকারী শিক্ষক নিয়োগবিধিতে গ্রেড ১৩তম।

দেশের চাকরির বাজার ভালো না থাকায় অনেক মেধাবীই প্রাথমিকের শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ নিচ্ছেন। নিয়োগ পাওয়ার পর যখন দেখছেন, সেখানে যোগ্য বেতন গ্রেড ও সম্মান নেই, তখন ভালো সুযোগ পেলে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন তারা। বিশ্বায়নের এই যুগে প্রাথমিকের মতো শিক্ষার মূল ভিত্তিতে যখন অবহেলা আর অবজ্ঞা দৃশ্যমান, তখন জ্ঞান-বিজ্ঞানে উন্নত জাতির স্বপ্ন দেখা অমূলক। স্নাতক যোগ্যতায় একই ব্যক্তি যখন পুলিশের সাব-ইনস্পেকটর হিসাবে নিয়োগ পাবেন, তখন শুরুতেই তার বেতন গ্রেড হবে ১০ম আর প্রাথমিকের শিক্ষক হলে ১৩তম। একই ব্যক্তি স্নাতক যোগ্যতায় ইউনিয়ন পরিষদের সচিব হলে তার গ্রেড হবে ১০ম আর প্রাথমিক শিক্ষক হলে ১৩তম। একই যোগ্যতায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের সহকারী শিক্ষক হলে তার বেতন গ্রেড হবে ১০ম আর প্রাথমিক শিক্ষক হলে ১৩তম। স্নাতক যোগ্যতায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়োগবিধি ছাড়া আর কোনো মন্ত্রণালয় বা দপ্তর-পরিদপ্তরের নিয়োগবিধিতে এমনটি নেই। তাই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি বিনীত নিবেদন-প্রাথমিক শিক্ষাকে প্রকৃতপক্ষে আন্তর্জাতিক মানের করতে হলে গ্রেড বৈষম্য দূর করে দেশের অন্যান্য দপ্তর-পরিদপ্তরের নিয়োগবিধির সঙ্গে মিল রেখে ন্যায্যতার ভিত্তিতে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগবিধি সংশোধনপূর্বক ১০ম গ্রেড প্রদান করে মেধাবীদের ধরে রাখুন।

মো. জামিল বাসার : শিক্ষক, ধনবাড়ী, টাংগাইল

মেধাবীরা কেন প্রাথমিক শিক্ষক পদে থাকছেন না

মো. জামিল বাসার

সারা দেশে মোট ৬৫ হাজার ৫৯৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। এসব বিদ্যালয়ে ৪ লাখেরও বেশি শিক্ষক কর্মরত। ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগের অপেক্ষায় আছেন। ২০২০ সালের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগবিধি পরিবর্তন করে প্রধান ও সহকারী শিক্ষকদের স্নাতক যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে। আগে মহিলাদের জন্য নিয়োগ যোগ্যতা ছিল এইচএসসি এবং পুরুষদের স্নাতক। বর্তমানে নারী, পুরুষ উভয়ের জন্যই নিয়োগ যোগ্যতা স্নাতক। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ আমরা দেখতে পাচ্ছি অধিকতর যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষকরা নিয়োগ পাওয়ার কিছুদিন পরই অন্যান্য চাকরিতে চলে যাচ্ছেন। চলে যাবেই না বা কেন? অন্যান্য মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, পরিদপ্তরের নিয়োগ যোগ্যতা হিসাবে যেখানেই স্নাতক চাওয়া হয়েছে, সেখানে শুরুতেই একজন কর্মচারী ১০ম গ্রেড পাচ্ছেন। একমাত্র প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রধান এবং সহকারী শিক্ষক নিয়োগবিধিতে গ্রেড ১৩তম।

দেশের চাকরির বাজার ভালো না থাকায় অনেক মেধাবীই প্রাথমিকের শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ নিচ্ছেন। নিয়োগ পাওয়ার পর যখন দেখছেন, সেখানে যোগ্য বেতন গ্রেড ও সম্মান নেই, তখন ভালো সুযোগ পেলে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন তারা। বিশ্বায়নের এই যুগে প্রাথমিকের মতো শিক্ষার মূল ভিত্তিতে যখন অবহেলা আর অবজ্ঞা দৃশ্যমান, তখন জ্ঞান-বিজ্ঞানে উন্নত জাতির স্বপ্ন দেখা অমূলক। স্নাতক যোগ্যতায় একই ব্যক্তি যখন পুলিশের সাব-ইনস্পেকটর হিসাবে নিয়োগ পাবেন, তখন শুরুতেই তার বেতন গ্রেড হবে ১০ম আর প্রাথমিকের শিক্ষক হলে ১৩তম। একই ব্যক্তি স্নাতক যোগ্যতায় ইউনিয়ন পরিষদের সচিব হলে তার গ্রেড হবে ১০ম আর প্রাথমিক শিক্ষক হলে ১৩তম। একই যোগ্যতায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের সহকারী শিক্ষক হলে তার বেতন গ্রেড হবে ১০ম আর প্রাথমিক শিক্ষক হলে ১৩তম। স্নাতক যোগ্যতায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়োগবিধি ছাড়া আর কোনো মন্ত্রণালয় বা দপ্তর-পরিদপ্তরের নিয়োগবিধিতে এমনটি নেই। তাই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি বিনীত নিবেদন-প্রাথমিক শিক্ষাকে প্রকৃতপক্ষে আন্তর্জাতিক মানের করতে হলে গ্রেড বৈষম্য দূর করে দেশের অন্যান্য দপ্তর-পরিদপ্তরের নিয়োগবিধির সঙ্গে মিল রেখে ন্যায্যতার ভিত্তিতে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগবিধি সংশোধনপূর্বক ১০ম গ্রেড প্রদান করে মেধাবীদের ধরে রাখুন।

মো. জামিল বাসার : শিক্ষক, ধনবাড়ী, টাংগাইল