‘উদ্যমী তরুণদের নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে সুন্দরবন পরিবার’

তরুণ প্রজন্ম জাতির অমূল্য সম্পদ। যাদের স্বাভাবিক জীবন বিশেষ করে শিক্ষাজীবনই নিশ্চিত করবে দেশের সুস্থ নেতৃত্ব তথা উন্নয়ন-অগ্রগতি। পরিবারের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে অনেক তরুণই সুশিক্ষাসহ মৌলিক সুবিধাবঞ্চিত হওয়ায় তারা বিপথগামী হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে তাদের শিক্ষাসহ জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখতে খণ্ডকালীন চাকরির  সুযোগ  অনেক সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। তাই আমাদের এবারের আয়োজনে নতুন প্রজন্মের ভবিষ্যত্ কর্মজীবন সম্পর্কে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন দেশের প্রথম ও গুরুত্বপূর্ণ কুরয়াির সেবা প্রতিষ্ঠান সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস প্রাইভেট লি.-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ তানভীর আহমেদ। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন নজরুল ইসলাম

১৯৮৩ সাল থেকে ডকুমেন্ট পার্সেল সেবা দিয়ে শুরু করা দেশের প্রথম এই কুরিয়ার সেবা প্রতিষ্ঠান ‘সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস প্রাইভেট লি.’ এবং ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রান্সপোর্টেশন সার্ভিস’ দেশব্যাপী এখন ৬ শতাধিক আউটলেট ও ৪৮৫ ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান থেকে ঘরে ঘরে দ্রুত ও নিরবিচ্ছিন্ন পার্সেল তথা কুরিয়ার সেবা প্রদান করে আসছে। একাধারে বীরমুক্তিযোদ্ধা, শিল্পোদ্যোক্তা তথা শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব  মরহুম মো. ইমামুল কবীর শান্ত বৃহত্তর খুলনা শহর থেকে শুরু করেন দেশের প্রাচীন ও আধুনিক এই কুরিয়ার সেবা প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম। তার মৃত্যুর পর ছোটভাই ডা. মো.  আহসানুল কবীর এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘ পথচলায় রাজধানীর দিলকুশার প্রধান কার্যালয় থেকে যথাক্রমে Document Service, Mobile & ICT Equipment Service, Value Declared Service এবং E-Commerce Service— এই ৪ প্রকার সেবা প্রদান করছে এই প্রতিষ্ঠানটি।

তরুণ প্রজন্মের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সুন্দরবন কুরিয়ার কেমন ভূমিকা রাখছে?
দেশব্যাপী আমাদের এই পরিবারে প্রায় ১০ হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারী কাজ করছেন। স্বল্পসংখ্যক ব্যতীত এই পরিবারের অধিকাংশ সদস্যই তরুণ। এটা কাজের প্রয়োজনেই। কাজে অনভিজ্ঞ, এমনকি শারীরিক প্রতিবন্ধীদেরকেও নিয়োগ দিয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি। বিশেষ করে তরুণদের কর্মসংস্থানের ব্যাপারে আমরা অত্যন্ত আন্তরিক। অনভিজ্ঞ এবং স্বল্প শিক্ষিতদেরকেও আমরা নিয়োগ দিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি।

অনভিজ্ঞদের কেউ নিতে চায় না, তাহলে নতুনদের কী  হবে?

নিয়োগের ক্ষেত্রে কাজের কাজী কে না চায়? সকল প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ বিভাগের চ্যালেঞ্জ থাকে একজন অভিজ্ঞ তথা দক্ষ কর্মী নিয়োগের। যিনি নিয়োগপ্রার্থী তিনিও কর্তার স্থানে অবস্থান করলে একই ডিমান্ড করতেন। নিয়োগ প্রক্রিয়া তথা বিধিতে আমাদের অবস্থানও একই। বিশেষ করে প্রতিষ্ঠানের দ্রুত উন্নয়নের স্বার্থে। তবে আগেই বলেছি, আমরা প্রচুর অনভিজ্ঞদের নিচ্ছি। এ ব্যাপারে আমরা সহনশীল নীতি অবলম্বন করছি। পক্ষান্তরে এটাও সত্য যে, কিছু পোস্ট পজেশন থাকে যেখানে অনভিজ্ঞ লোক নেওয়া আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হয়। বিশেষ করে প্রতিযোগিতার এই বাজারে।

তরুণ ফ্রেসারদের আপনারা কোথায়, কীভাবে কাজে লাগিয়ে থাকেন?
যোগ্যতানুযায়ী সাধারণত মাধ্যমিক/ উচ্চ মাধ্যমিক পাসকৃতদের লোডার, হেলপার, ডেলিভারিম্যান/ সার্ভিসম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। আর এদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিবেচনায় অভিজ্ঞতা চাওয়া হয় না। অষ্টম শ্রেণি পাসদেরকে পরিবহন বা অন্যত্র হেলপার হিসেবে নেওয়া হয়। তবে ড্রাইভারদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম এসএসসি পাস, বিশেষ করে অভিজ্ঞতা অবধারিত। অবশ্য ভারী যানবাহনের চালকদের ক্ষেত্রে ভালো অভিজ্ঞতা থাকলে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিলযোগ্য।

দেশে শিক্ষার্থীদের খণ্ডকালীন চাকরির বিষয়টি আলোচনা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকছে। আপনাদের প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের  কোনো সুযোগ রয়েছে কী?
খণ্ডকালীন চাকরি প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ডেলিভারিম্যান বা ডেলিভারি এজেন্ট পদে কাজের সুযোগ আমাদের এই সেক্টরে রয়েছে। সাধারণত লজিস্টিকস ডিপার্টমেন্ট বা বিভাগের অধীনে এই পদটি পরিচালিত হয়। এই পদে ফুল টাইমও আছে। একজন ডেলিভারিম্যান মূলত কোনো  প্রোডাক্ট বা সার্ভিস কাস্টমারের কাছে সরাসরি পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বে থাকেন। ১৮-৩০ বছর বয়সসীমার এই পদে এন্ট্রি লেভেলে কোনো অভিজ্ঞতা প্রযোজ্য না হলেও সম্ভাব্য মূল স্কিল হিসেবে সাইকেল/ মোটরসাইকেল/ গাড়ি চালানোর দক্ষতাসহ স্মার্টফোনের ম্যাপ ব্যবহারে দক্ষ হতে হয়। সেইসঙ্গে কাস্টমারের সাথে ভদ্র ও নম্রভাবে কথা বলতে পারার দক্ষতাও বিবেচনায় রাখা হয়।

‘উদ্যমী তরুণদের নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে সুন্দরবন পরিবার’

তরুণ প্রজন্ম জাতির অমূল্য সম্পদ। যাদের স্বাভাবিক জীবন বিশেষ করে শিক্ষাজীবনই নিশ্চিত করবে দেশের সুস্থ নেতৃত্ব তথা উন্নয়ন-অগ্রগতি। পরিবারের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে অনেক তরুণই সুশিক্ষাসহ মৌলিক সুবিধাবঞ্চিত হওয়ায় তারা বিপথগামী হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে তাদের শিক্ষাসহ জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখতে খণ্ডকালীন চাকরির  সুযোগ  অনেক সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। তাই আমাদের এবারের আয়োজনে নতুন প্রজন্মের ভবিষ্যত্ কর্মজীবন সম্পর্কে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন দেশের প্রথম ও গুরুত্বপূর্ণ কুরয়াির সেবা প্রতিষ্ঠান সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস প্রাইভেট লি.-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ তানভীর আহমেদ। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন নজরুল ইসলাম

১৯৮৩ সাল থেকে ডকুমেন্ট পার্সেল সেবা দিয়ে শুরু করা দেশের প্রথম এই কুরিয়ার সেবা প্রতিষ্ঠান ‘সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস প্রাইভেট লি.’ এবং ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রান্সপোর্টেশন সার্ভিস’ দেশব্যাপী এখন ৬ শতাধিক আউটলেট ও ৪৮৫ ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান থেকে ঘরে ঘরে দ্রুত ও নিরবিচ্ছিন্ন পার্সেল তথা কুরিয়ার সেবা প্রদান করে আসছে। একাধারে বীরমুক্তিযোদ্ধা, শিল্পোদ্যোক্তা তথা শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব  মরহুম মো. ইমামুল কবীর শান্ত বৃহত্তর খুলনা শহর থেকে শুরু করেন দেশের প্রাচীন ও আধুনিক এই কুরিয়ার সেবা প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম। তার মৃত্যুর পর ছোটভাই ডা. মো.  আহসানুল কবীর এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘ পথচলায় রাজধানীর দিলকুশার প্রধান কার্যালয় থেকে যথাক্রমে Document Service, Mobile & ICT Equipment Service, Value Declared Service এবং E-Commerce Service— এই ৪ প্রকার সেবা প্রদান করছে এই প্রতিষ্ঠানটি।

তরুণ প্রজন্মের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সুন্দরবন কুরিয়ার কেমন ভূমিকা রাখছে?
দেশব্যাপী আমাদের এই পরিবারে প্রায় ১০ হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারী কাজ করছেন। স্বল্পসংখ্যক ব্যতীত এই পরিবারের অধিকাংশ সদস্যই তরুণ। এটা কাজের প্রয়োজনেই। কাজে অনভিজ্ঞ, এমনকি শারীরিক প্রতিবন্ধীদেরকেও নিয়োগ দিয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি। বিশেষ করে তরুণদের কর্মসংস্থানের ব্যাপারে আমরা অত্যন্ত আন্তরিক। অনভিজ্ঞ এবং স্বল্প শিক্ষিতদেরকেও আমরা নিয়োগ দিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি।

অনভিজ্ঞদের কেউ নিতে চায় না, তাহলে নতুনদের কী  হবে?

নিয়োগের ক্ষেত্রে কাজের কাজী কে না চায়? সকল প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ বিভাগের চ্যালেঞ্জ থাকে একজন অভিজ্ঞ তথা দক্ষ কর্মী নিয়োগের। যিনি নিয়োগপ্রার্থী তিনিও কর্তার স্থানে অবস্থান করলে একই ডিমান্ড করতেন। নিয়োগ প্রক্রিয়া তথা বিধিতে আমাদের অবস্থানও একই। বিশেষ করে প্রতিষ্ঠানের দ্রুত উন্নয়নের স্বার্থে। তবে আগেই বলেছি, আমরা প্রচুর অনভিজ্ঞদের নিচ্ছি। এ ব্যাপারে আমরা সহনশীল নীতি অবলম্বন করছি। পক্ষান্তরে এটাও সত্য যে, কিছু পোস্ট পজেশন থাকে যেখানে অনভিজ্ঞ লোক নেওয়া আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হয়। বিশেষ করে প্রতিযোগিতার এই বাজারে।

তরুণ ফ্রেসারদের আপনারা কোথায়, কীভাবে কাজে লাগিয়ে থাকেন?
যোগ্যতানুযায়ী সাধারণত মাধ্যমিক/ উচ্চ মাধ্যমিক পাসকৃতদের লোডার, হেলপার, ডেলিভারিম্যান/ সার্ভিসম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। আর এদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিবেচনায় অভিজ্ঞতা চাওয়া হয় না। অষ্টম শ্রেণি পাসদেরকে পরিবহন বা অন্যত্র হেলপার হিসেবে নেওয়া হয়। তবে ড্রাইভারদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম এসএসসি পাস, বিশেষ করে অভিজ্ঞতা অবধারিত। অবশ্য ভারী যানবাহনের চালকদের ক্ষেত্রে ভালো অভিজ্ঞতা থাকলে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিলযোগ্য।

দেশে শিক্ষার্থীদের খণ্ডকালীন চাকরির বিষয়টি আলোচনা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকছে। আপনাদের প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের  কোনো সুযোগ রয়েছে কী?
খণ্ডকালীন চাকরি প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ডেলিভারিম্যান বা ডেলিভারি এজেন্ট পদে কাজের সুযোগ আমাদের এই সেক্টরে রয়েছে। সাধারণত লজিস্টিকস ডিপার্টমেন্ট বা বিভাগের অধীনে এই পদটি পরিচালিত হয়। এই পদে ফুল টাইমও আছে। একজন ডেলিভারিম্যান মূলত কোনো  প্রোডাক্ট বা সার্ভিস কাস্টমারের কাছে সরাসরি পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বে থাকেন। ১৮-৩০ বছর বয়সসীমার এই পদে এন্ট্রি লেভেলে কোনো অভিজ্ঞতা প্রযোজ্য না হলেও সম্ভাব্য মূল স্কিল হিসেবে সাইকেল/ মোটরসাইকেল/ গাড়ি চালানোর দক্ষতাসহ স্মার্টফোনের ম্যাপ ব্যবহারে দক্ষ হতে হয়। সেইসঙ্গে কাস্টমারের সাথে ভদ্র ও নম্রভাবে কথা বলতে পারার দক্ষতাও বিবেচনায় রাখা হয়।