পরিমিতিবোধ ইসলামের শিক্ষা

মাহমুদুল হক হাসান

সব কাজে পরিমিতিবোধের শিক্ষা দেয়। ধন-সম্পদ মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দার জন্য এক বিশেষ নিয়ামত। মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের সব প্রয়োজনে সম্পদ অপরিহার্য। মহান রাব্বুল আলামিন তার সিফাত ও নীতি অনুযায়ী মানুষকে বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করেছেন। কাউকে দিয়েছেন অঢেল ধন-সম্পদ আবার কাউকে রেখেছেন ভীষণ অভাবে। পবিত্র কোরআনের সুরা জুখরুফে এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘আমিই তো পার্থিব জীবনে তাদের জীবিকা বণ্টন করে দিই এবং একজনকে অপরজনের ওপর মর্যাদায় শ্রেষ্ঠ করি, যাতে তারা একে অপরকে কাজ আদায়ের জন্য (কর্মচারী) নিয়োগ করতে পারে। তারা যা সঞ্চয় করে তার চেয়ে তোমার প্রভুর রহমতই শ্রেষ্ঠ।’ আয়াত : ৩২

ইসলামের শিক্ষা হলো, সব কাজে মধ্যমপন্থা অবলম্বন জরুরি। নবী করিম (সা.)-এর সুন্নত। প্রাচুর্য ও সচ্ছলতা মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দার জন্য এক বিশেষ অনুগ্রহ। ইসলামে অপচয় ও অপব্যয় নিষিদ্ধের পাশাপাশি কৃপণতাকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে আদম সন্তান, মসজিদে নামাজ আদায়ের সময় তোমরা তোমাদের সুন্দর পোশাক পরিধান করবে, আহার করবে এবং পানাহার করবে কিন্তু অপচয় করবে না। কারণ তিনি অপচয়কারীকে পছন্দ করেন না।’ সুরা আরাফ : ৩১

অপচয়কারীর ব্যাপারে পবিত্র কোরআনের অন্যত্র বলা হয়েছে, নিশ্চয়ই অপচয়কারীরা শয়তানের ভাই। আর শয়তান তো তার প্রভুর প্রতি অতিশয় অকৃতজ্ঞ। সুরা বনী ইসরাইল : ২৭

সব কাজে মধ্যপন্থা অবলম্বনে পবিত্র কোরআনের সুরা বনী ইসরাইলের ২৯ নম্বর আয়াতে এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘তুমি একেবারে ব্যয়কুণ্ঠ হয়ো না আবার পুরোপুরি মুক্তহস্তও হয়ো না, তাহলে তুমি তিরস্কৃত ও নিঃস্ব হয়ে পড়বে।’ অপচয়কারীকে পবিত্র কোরআন-হাদিসে নিন্দনীয় আখ্যা দেওয়া হয়েছে।

অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, বর্তমান সমাজের কিছু বিত্তবান নিজেদের ব্যক্তিগত ব্যবহার থেকে শুরু করে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ নির্দয়ভাবে অপচয় করে থাকেন, যা অত্যন্ত পীড়াদায়ক। হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহতায়ালা তোমাদের জন্য তিনটি বিষয় অপছন্দ করেন, প্রথমত, অনর্থক কথা বলা, দ্বিতীয়ত, সম্পদের অপচয় করা আর তৃতীয়ত, অহেতুক প্রশ্ন করা।’ সহিহ বোখারি : ১৪৭৭

পরিমিতিবোধ ইসলামের শিক্ষা

মাহমুদুল হক হাসান

সব কাজে পরিমিতিবোধের শিক্ষা দেয়। ধন-সম্পদ মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দার জন্য এক বিশেষ নিয়ামত। মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের সব প্রয়োজনে সম্পদ অপরিহার্য। মহান রাব্বুল আলামিন তার সিফাত ও নীতি অনুযায়ী মানুষকে বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করেছেন। কাউকে দিয়েছেন অঢেল ধন-সম্পদ আবার কাউকে রেখেছেন ভীষণ অভাবে। পবিত্র কোরআনের সুরা জুখরুফে এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘আমিই তো পার্থিব জীবনে তাদের জীবিকা বণ্টন করে দিই এবং একজনকে অপরজনের ওপর মর্যাদায় শ্রেষ্ঠ করি, যাতে তারা একে অপরকে কাজ আদায়ের জন্য (কর্মচারী) নিয়োগ করতে পারে। তারা যা সঞ্চয় করে তার চেয়ে তোমার প্রভুর রহমতই শ্রেষ্ঠ।’ আয়াত : ৩২

ইসলামের শিক্ষা হলো, সব কাজে মধ্যমপন্থা অবলম্বন জরুরি। নবী করিম (সা.)-এর সুন্নত। প্রাচুর্য ও সচ্ছলতা মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দার জন্য এক বিশেষ অনুগ্রহ। ইসলামে অপচয় ও অপব্যয় নিষিদ্ধের পাশাপাশি কৃপণতাকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে আদম সন্তান, মসজিদে নামাজ আদায়ের সময় তোমরা তোমাদের সুন্দর পোশাক পরিধান করবে, আহার করবে এবং পানাহার করবে কিন্তু অপচয় করবে না। কারণ তিনি অপচয়কারীকে পছন্দ করেন না।’ সুরা আরাফ : ৩১

অপচয়কারীর ব্যাপারে পবিত্র কোরআনের অন্যত্র বলা হয়েছে, নিশ্চয়ই অপচয়কারীরা শয়তানের ভাই। আর শয়তান তো তার প্রভুর প্রতি অতিশয় অকৃতজ্ঞ। সুরা বনী ইসরাইল : ২৭

সব কাজে মধ্যপন্থা অবলম্বনে পবিত্র কোরআনের সুরা বনী ইসরাইলের ২৯ নম্বর আয়াতে এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘তুমি একেবারে ব্যয়কুণ্ঠ হয়ো না আবার পুরোপুরি মুক্তহস্তও হয়ো না, তাহলে তুমি তিরস্কৃত ও নিঃস্ব হয়ে পড়বে।’ অপচয়কারীকে পবিত্র কোরআন-হাদিসে নিন্দনীয় আখ্যা দেওয়া হয়েছে।

অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, বর্তমান সমাজের কিছু বিত্তবান নিজেদের ব্যক্তিগত ব্যবহার থেকে শুরু করে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ নির্দয়ভাবে অপচয় করে থাকেন, যা অত্যন্ত পীড়াদায়ক। হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহতায়ালা তোমাদের জন্য তিনটি বিষয় অপছন্দ করেন, প্রথমত, অনর্থক কথা বলা, দ্বিতীয়ত, সম্পদের অপচয় করা আর তৃতীয়ত, অহেতুক প্রশ্ন করা।’ সহিহ বোখারি : ১৪৭৭