প্রথম আলোর খবর অনুযায়ী, প্রতিটি বিভাগে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষকের পদসংখ্যা নির্দিষ্ট করে দেওয়া আছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশেষ ব্যবস্থায় ইচ্ছেমতো পদসংখ্যা বাড়িয়ে নেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপকের মূল পদ সাতটি। কিন্তু বিভাগটিতে এখন অধ্যাপক রয়েছেন ১২ জন। এর মধ্যে ৫ জনকে নেওয়া হয়েছে ‘পুনর্বিন্যাস বা রিস্ট্রাকচারিং’ সুবিধায়। এ বিভাগে কোনো প্রভাষক নেই।
আমাদের পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যখন প্রয়োজনের বেশি অভিজ্ঞ শিক্ষক তথা অধ্যাপক আছেন, তখন শিক্ষার মান কোন অবস্থায় আছে, তা–ও বিবেচনায় নিতে হবে। বিশ্বের সেরা এক হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় যদি বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় না থাকে, তাহলে এত অধ্যাপক কী করছেন? দেশের পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যখন প্রয়োজনের বেশি অধ্যাপক নেওয়া হচ্ছে, তখন নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চলছে অনভিজ্ঞ ও নবীন শিক্ষক দিয়ে।
জামালপুরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট শিক্ষক ৪৬ জন। অধ্যাপক মাত্র একজন। গোপালগঞ্জে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক আছেন মাত্র তিনজন। এর মধ্যে একজন চুক্তিতে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে সব মিলিয়ে ৩৪টি বিভাগ রয়েছে।